শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে উত্থান পতনে সাধারণ বিমা কোম্পানিগুলো রেকর্ড করতে বেশ সিদ্ধহস্ত। বিক্রেতা সংকট দেখিয়ে এ খাতের কোম্পানিগুলো যেমন একযোগে সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ সীমায় হল্টেড হয়, আবার ক্রেতা সংকটে ফেলেও সার্কিট ব্রেকারের সর্বনিম্ন কিনারায় দল বেঁধে হল্টেড হয়। আজও তেমনি সার্কিট ব্রেকারের সর্বনিম্ন ধাপে একযোগে প্রায় সবগুলো কোম্পানির শেয়ার হল্টেড হয়েছে।

ব্যতিক্রম চিত্র দেখিয়েছে কেবল সদ্য তালিকাভ্ক্তু মেঘনা ইন্সুরেন্স কোম্পানি। এটি আগের দিনের মতো একাকী বিপরীত পথে সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ চুড়ায় হল্টেড থেকেছে। আজ দিনের শুরুতে হুড়মুড় করে সাধারণ বিমার প্রায় সব শেয়ার সার্কিট ব্রেকারের সর্বনিম্ন ধাপে বিক্রেতা হয়ে আবির্ভূত হয়।

এই সময়ে বিমা খাতের নেতিবাচক প্রবণতা গোটা বাজারকে নেগেটিভ ধারায় প্রবাহিত করে। লেনদেনের ১০-১৫ মিনিটের মধ্যেই এখাতের ৪০টি শেয়ার সার্কিট ব্রেকারের সর্বনিম্ন ধাপে বিক্রেতা সেজে হাজির হতে থাকে। ফলে বিক্রেতাদের ছোটপাট দেখে এখাতের সব শেয়ারের ক্রেতারা নিখোঁজ হতে থাকে।। এক পর্যায়ে সাধারণ বিমার ৪১টি কোম্পানির মধ্যে ৪০টি কোম্পানিরই শেয়ার ক্রেতাশুন্য হয়ে যায়।

লেনদেনের শেষ পর্যায়ে দুই-তিনটি কোম্পানি ক্রেতা সংকটের গ্লানি ঘুচাতে চাইলেও পারেনি। ক্রেত সংকটের কাতারেই শেষ পর্যন্ত আটকে ছিল। আজ সাধারণ বিমার শেয়ার দর কমেছে ১.৯৯ শতাংশ থেকে ১.৭৫ শতাংশ পর্যন্ত। আজ ডিএসইতে দরপতনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকায় সাধারণ বিমার শেয়ার ছিল ৬টি। দর পতনের শীর্ষ ৩০ কোম্পানির তালিকায় বিমার শেয়ার ছিল ১৪টি।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সিতাকুন্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোর অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত কোম্পানিগুলো বিমার টাকা দাবি করতে শুরু করেছে। প্রাথমিক হিসাবে প্রায় ২৫০ কোটি টাকার বেশি বিমার টাক দাবি করতে পার বলে মনে করছে খাতসংশ্লিষ্টরা। এতে বিমা কোম্পানিগুলো চাপের মুখে পড়তে পারে, এমন আশংকায় এখাতের শেয়ার দর পতন ধারায় রয়েছে।

এছাড়া, প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে বিমা খাতে নতুন কোন প্রকল্প বা প্রণোদনার কথা বলা হয়নি। চলমান প্রকল্পগুলোর নামই বাজেটে উল্লেখ করা হয়েছে। এটিও বিমা খাতের শেয়ারদর পতন ধারায় নেমে আসার অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন এখাতের বিনিয়োগকারীরা।