শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দিনভর সূচকের নাটকীয়তার পর লেনদেনের একেবারে শেষ বেলায় ক্রয়চাপে উত্থানে ফিরছে পুঁজিবাজার। দিনভর সূচকের টানাটানি থাকলেও শেষ সময়ে এসে হঠাৎ দ্রুত বাড়তে থাকে শেয়ার দর, উঠে যায় সূচক। পুঁজিবাজার চাঙা করতে অর্থমন্ত্রীর নানা নির্দেশনার পরও বাজারে মন্দাভাবের মধ্যে দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা দুই শতাংশে নামিয়ে আনার পর প্রথম কর্মদিবসে এই চিত্র দেখা গেল।

ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর বাজারে ধস ঠেকাতে ‘দুই শতাংশের এই বাধা’ দেয়ার পর লেনদেনে যে গতিহীনতা দেখা গিয়েছিল, সেটি থেকে বাজার বের হতে পারেনি। কোনো নির্দেশনার পরও যখন পুঁজিবাজারে পতন ঠেকানো যাচ্ছিল না। ঠিক তখন শেয়ার দর কমার সর্বোচ্চ সীমা বা সার্কিট ব্রেকার ২ শতাংশ নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

সার্কিট ব্রেকার নির্ধারণের পর বৃহস্পতিবার উত্থানে ফিরেছে পুঁজিবাজার। এদিন পুঁজিবাজারের সব সূচক বেড়েছে। সূচকের সাথে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর এবং টাকার পরিমাণে লেনদেন আগের কার্যদিবস থেকে বেড়েছে।

আজ প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫০.৩৩ পয়েন্ট বা ০.৮১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৩৭.৯৭ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১০.২৪ পয়েন্ট বা ০.৭৫ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৯.৩৯ পয়েন্ট বা ০.৮৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৩৭৩.৭০ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ৩০৭.৩৮ পয়েন্টে।

ডিএসইতে আজ টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৫৩৯ কোটি ১২ লাখ টাকার। যা আগের কার্যদিবস থেকে ২৬ কোটি ০১ লাখ টাকা বেশি। আগের কার্যদিবস লেনদেন হয়েছিল ৫১৩ কোটি ১১ লাখ টাকার।

ডিএসইতে আজ ৩৭৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৭৩টির বা ৭২.৯৯ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। দর কমেছে ৬১টির বা ১৬.৩১ শতাংশের এবং ৪০টির বা ১০.৭০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ১১৮.৩৭ পয়েন্ট বা ০.৬৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ২৮০.৭৭ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৫৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১৩২টির, কমেছে ৮৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৫টির দর। আজ সিএসইতে ১৩ কোটি ৬২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।