শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিবিধ খাতের ১৫টি কোম্পানির মধ্যে চলতি অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানু-মার্চ’২২) আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ১৩টি কোম্পানি। এর মধ্যে তৃতীয় প্রান্তিকে ৫টি কোম্পানির আয় বাড়লেও মুনাফায় চমক দেখিয়েছে চার কোম্পানি। এছাড়া ৮টি কোম্পানির মুনাফা কমেছে। আর দুটি কোম্পানি এখনো তৃতীয় প্রান্তিকের প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি। যেগুলো হলো: অ্যারামিট লিমিটেড ও বিএসইসি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

তৃতীয় প্রান্তিকে আয় বেড়েছে ৫ কোম্পানির: বেক্সিমকো লিমিটেড: কোম্পানিটির তৃতীয় প্রান্তিকে (জানু-মার্চ’২২) শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৪ টাকা ৪৫ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ২ টাকা ৩৮ পয়সা। অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২১-মার্চ’২২) শেষে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ১৮ পয়সা। এর আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৪ টাকা ৩০ পয়সা।

ইনডেক্স এগ্রো: কোম্পানিটির তৃতীয় প্রান্তিকে (জানু-মার্চ’২২) শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ২২ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৪৫ পয়সা। অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২১-মার্চ’২২) শেষে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ টাকা ৮৫ পয়সা। এর আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৪ টাকা ৮১ পয়সা।

জেএমআই হসপিটাল: কোম্পানিটির তৃতীয় প্রান্তিকে (জানু-মার্চ’২২) শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৬০ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৪৯ পয়সা। অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২১-মার্চ’২২) শেষে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ৮০ পয়সা। এর আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১ টাকা ৭০ পয়সা।

সিনোবাংলা: কোম্পানিটির তৃতীয় প্রান্তিকে (জানু-মার্চ’২২) শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৬১ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৪৮ পয়সা। অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২১-মার্চ’২২) শেষে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ১৯ পয়সা। এর আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১ টাকা ২১ পয়সা।

এসকে ট্রিমস: কোম্পানিটির তৃতীয় প্রান্তিকে (জানু-মার্চ’২২) শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১৫ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ১২ পয়সা। তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২১-মার্চ’২২) শেষে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৪ পয়সা। এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ৯৮ পয়সা।

তৃতীয় প্রান্তিকে আয় কমেছে ৮ কোম্পানির: আমান ফিড: কোম্পানিটির তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২২) শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১৬ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৪৫ পয়সা। অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২১-মার্চ’২২) শেষে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ৫ পয়সা। এর আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১ টাকা ১১ পয়সা।

বার্জার পেইন্টস্: কোম্পানিটির তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২২) শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১৭ টাকা ৫২ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ১৯ টাকা ৪৫ পয়সা। অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২১-মার্চ’২২) শেষে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৩ টাকা ১৮ পয়সা। এর আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৩৬ টাকা ৩ পয়সা।

জিকিউ বলপেন: কোম্পানিটির তৃতীয় প্রান্তিকে (জানু-মার্চ’২২) শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ৩৬ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ২ টাকা ৫১ পয়সা। তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২১-মার্চ’২২) শেষে লোকসান দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ৪ পয়সা। এর আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ৭ টাকা ৪৮ পয়সা।

খান ব্রাদার্স: কোম্পানিটির তৃতীয় প্রান্তিকে (জানু-মার্চ’২২) শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৪ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ৩ পয়সা। অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২১-মার্চ’২২) শেষে লোকসান দাঁড়িয়েছে ১৬ পয়সা। এর আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ১২ পয়সা।

ন্যাশনাল ফিড: কোম্পানিটির তৃতীয় প্রান্তিকে (জানু-মার্চ’২২) শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৬ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে আয় ছিল ৭ পয়সা। অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২১-মার্চ’২২) শেষে লোকসান দাঁড়িয়েছে ৭ পয়সা। এর আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১ টাকা ২৫ পয়সা।

সাভার রিফ্যাকটরিজ: কোম্পানিটির তৃতীয় প্রান্তিকে (জানু-মার্চ’২২) শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৩৪ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ২৫ পয়সা। অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২১-মার্চ’২২) শেষে লোকসান দাঁড়িয়েছে ২৭ পয়সা। এর আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ৬৯ পয়সা।

উসমানিয়া গ্লাস: কোম্পানিটির তৃতীয় প্রান্তিকে (জানু-মার্চ’২২) শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৭৩ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ১ টাকা ৫৩ পয়সা। অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২১-মার্চ’২২) শেষে লোকসান দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ৩০ পয়সা। এর আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ৪ টাকা ৮৮ পয়সা।