শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: গ্রাহকরাই বিমা শিল্পের প্রাণ। গ্রাহকের আস্থা অর্জনের মাধ্যমেই এ খাতের বিকাশ ঘটাতে হবে। বিমা সেবাকে একটি নির্ভরযোগ্য আর্থিক নিরাপত্তা বিধানের মাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য বিমা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও নিষ্ঠা এবং পেশাদারির সঙ্গে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। গ্রাহকের বিমা দাবি যথাসময়ে পরিশোধ, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নীতিগুলো প্রতিপালন, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে স্বচ্ছতা নিশ্চিত ও গ্রাহকবান্ধব সেবা প্রদানে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

তাহলেই এ খাতে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে; সুশাসন নিশ্চিত হবে। দেশের অর্থনীতিতে এ খাতের অবদান আরও বাড়বে। দেশে এমন বিমা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও কম নয়। তবে বিশ্বাসযোগ্য এবং আস্থাশীল বিমা প্রতিষ্ঠান রয়েছে হাতেগোণা কয়েকটি। এর মধ্যে অন্যতম মেঘনা ইন্সুরেন্স লিমিটেড।

ফলে কোম্পানিটির প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা থাকবে বলে মনে করছেন কোম্পানিটির সচিব আবদুস সামাদ। বর্তমানে আমাদের প্রতিষ্ঠানের আইপিও চলছে। এতে যারা আমাদের প্রতিষ্ঠানের শেয়ারহোল্ডার হবেন, বা যারা শেয়ার কিনবেন, তারা অবশ্যই লাভবান হবেন। কেননা আমাদের কোম্পানি উত্তরোত্তর উন্নতি করছে। আমাদের ব্যবসা বেশি হচ্ছে, ফলে আমাদের মুনাফাও বেশি হবে। আর মুনাফা বেশি হলে শেয়ারহোল্ডাররাও লাভবান হবেন।

কোম্পানিটি গত চার বছর ধরে মুনাফা ও ইপিএসে ভাল অবস্থানে রয়েছে। এর মধ্যে কোম্পানিটি ২০১৮ সালে ১ কোটি ৭১ লাখ ৮ হাজার ৬৮১ টাকা মুনাফা করে। ঐ সময় কোম্পানিটির ইপিএস হয় ২.৩২ পয়সা। ২০১৯ সালে কোম্পানিটি মুনাফা করে ১ কোটি ৮৭ লাখ ৩৩ হাজার ৮১৬ টাকা। ঐ সময় কোম্পানিটির ইপিএস হয় ২ টাকা ৬০ পয়সা।

২০২০ সালে কোম্পানিটি মুনাফা করে ১ কোটি ১৯ লাখ ১৪ হাজার ৬৩০ টাকা। ঐ সময় কোম্পানিটির ইপিএস হয় ৯৫ পয়সা। ২০২১ সালে কোম্পানিটি মুনাফা করে ৪ কোটি ৪০ লাখ ১ হাজার ৪২৭ টাকা। ঐ সময় কোম্পানিটির ইপিএস হয় ১ টাকা ৮৩ পয়সা। কোম্পানিটির মুনাফা ও ইপিএস ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি বাড়ছে।

আইপিও’র মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ১৬ কোটি টাকা সংগ্রহ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পুঁজিবাজার থেকে যে ১৬ কোটি টাকা উত্তোলনের লক্ষ্য আমরা ঠিক করেছি, সেটা আমরা ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে অথবা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করবো। সরকারি যেসব নিয়ম-নীতি আছে সেগুলো মেনেই আমরা বিনিয়োগ করবো। এতে আমরা অবশ্যই কিছুটা লাভবান হবো।

আপনারা জানেন যে, বর্তমানে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার নিয়ম-কানুন যথেষ্ট সময়োপযোগী ও বেশ কঠোর। তাছাড়া আমরাও আমাদের অঙ্গীকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই পুঁজিবাজার থেকে উত্তোলন করা অর্থ আমরা সঠিকভাবে কাজে লাগাবো, যাতে কোম্পানি এবং এর শেয়ারহোল্ডাররা লাভবান হয়।

উল্লেখ্য, পুঁজিবাজার থেকে ১৬ কোটি টাকা মূলধন সংগ্রহের অনুমোদন পাওয়া মেঘনা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদন আগামী ১১ মে থেকে শুরু হবে, যা চলবে ১৮ মে পর্যন্ত। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির ৮১৩তম কমিশন সভায় মেঘনা ইন্স্যুরেন্সের আইপিও অনুমোদন দেয়া হয়। আইপিওর মাধ্যমে প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যের ১ কোটি ৬০ লাখ শেয়ার ইস্যু করে পুঁজিবাজার থেকে ১৬ কোটি টাকা উত্তোলন করবে মেঘনা ইন্স্যুরেন্স।

সর্বশেষ নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ৩১ মার্চ ২০২১ সমাপ্ত হিসাব বছরের শেষ তিন মাসে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৮৩ পয়সা। গত পাঁচ বছরের ভারিত গড় হারে ইপিএস ৫৬ পয়সা। ওই বছরের ৩১ মার্চ শেষে পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) ১৬ টাকা ৪১ পয়সা।

কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটাল পার্টনারস ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড, প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির আগে কোম্পানিটি কোনো ধরনের লভ্যাংশ ঘোষণা, অনুমোদন বা বিতরণ করতে পারবে না।