শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: দেশের পুঁজিবাজারে অন্যতম শীর্ষ ব্রোকারহাউজ মশিউর সিকিউরিটিজ লিমিটেড আরও তিনটি ডিজিটাল বুথ চালুর অনুমোদন পেয়েছে। সিরাজগঞ্জ, চাঁদপুর ও ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জের জন্য বুথ তিনটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মুলত দেশের পুঁজিবাজারের পরিধি বাড়াতে মশিউর সিকিউরিটিজে খোলা হয়েছে ‘ডিজিটাল বুথ’। পুঁজিবাজারে লেনদেন করার জন্য বিনিয়োগকারীদের সুবিধার্থে এসব ‘ডিজিটাল বুথ’ চালু করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যভুক্ত ট্রেকহোল্ডার মশিউর সিকিউরিটিজ।

মশিউর সিকিউরিটিজের এই নতুন তিনটি বুথ শিগগিরই কার্যক্রম শুরু করবে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির জেনারেল ম্যানেজার টুটুল ভট্ট্রাচার্য। এসময় তিনি বলেন, পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে মশিউর সিকিউরিটিজ দীর্ঘদিন যাবত কাজ করে আসছে। বিগত কয়েক বছর ধরে প্রতিষ্ঠানটি বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রান্তিক পর্যায়ের বিনিয়োগকারীরা যাতে সহজে পুঁজিবাজারে অংশগ্রহণ করতে পারে এর লক্ষ্যে মশিউর সিকিউরিটিজ এই বুথগুলো কার্যকরি ভূমিকা রাখবে বলে আমরা মনে করি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য সকলকে সুযোগ করে দেয়ার উদ্দেশ্যে আমরা ডিজিটাল বুথ কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। এতে করে দেশের সকল শ্রেণীর মানুষের অংশগ্রহন করতে সক্ষম হবে। পুঁজিবাজার শুধু শহর কেন্দ্রিক নয় সে বিষয়টি সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে চাই।

এ বিষয়ে বিএসইসি’র নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র বলেন, ‘স্থানীয়, প্রবাসী ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে আগ্রহ করতে তুলতে দেশে ও বিদেশে ডিজিটাল বুথ খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। ইতোমধ্যে বেশ কিছু ব্রোকার তাদের পচ্ছন্দমতো জায়গায় বুথ খোলার আবেদন জানিয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউজকে বুথ চালু করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বাদ বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোর আবেদন যাচাই-বাছাই করে অনুমোদন দেওয়া হবে।’

প্রসঙ্গত, এর গত গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত ডিজিটাল বুথ খোলার নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়, স্টক এক্সচেঞ্জের সম্মতিক্রমে যেকোনো স্টক ব্রোকার ডিজিটাল বুথের জন্য কমিশনে আবেদন করতে পারবে। সিটি করপোরেশনের মধ্যে, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ ছাড়াও দেশের বাইরেও ডিজিটাল বুথ স্থাপন করা যাবে।

ওই বুথ স্টক ব্রোকারের প্রধান অফিস দ্ধারা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কোনো ধরনের তৃতীয়পক্ষ দ্ধারা পরিচালনা করা যাবে না। ডিজিটাল বুথ পরিচালনার জন্য স্টক ব্রোকারের প্রয়োজনীয় কাঠামো এবং সুযোগ-সুবিধা, আর্থিক সক্ষমতা ও জনবল থাকতে হবে। দেশের ভেতরে প্রতিটি বুথ খোলার জন্য স্টক এক্সচেঞ্জে ১ লাখ টাকা জমা দিতে হবে। দেশের বাহিরে খুলতে দিতে ১০ লাখ টাকা।

বুথ চালু করতে চাওয়া ব্রোকার হাউজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ ও ওয়েবসাইট থাকতে হবে। এছাড়া, প্রতিটি বুথে কাস্টমার সার্ভিসের জন্য একটি ফোন নম্বর, নারী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য পৃথক সুবিধা, কমপক্ষে একজন অনুমোদিত প্রতিনিধি, ভার্চুয়াল ট্রেডিং মনিটর বা ডিসপ্লে টিকার ও নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট ব্যবস্থা থাকতে হবে। আর বুথের সামনে সাইনবোর্ড থাকবে, যেখানে স্টক ব্রোকারের নাম, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, লোকাল এড্রেসের বিস্তারিত তথ্য, যোগাযোগ নাম্বার ও মেইল এড্রেস থাকবে।