শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ এবং রসায়ন খাতের কোম্পানি ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেড তাদের আর্থিক প্রতিবেদনে অদাবিকৃত ডিভিডেন্ডের হিসাব পরিস্কার করতে পারেনি। সম্প্রতি কোম্পানিটির ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের উপর তদন্ত করে ঢাকা স্টক একচেঞ্জ (ডিএসই)। ডিএসইর তদন্তে কোম্পানিটির প্রকাশিত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ডিএসইর তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ওরিয়ন ইনফিউশনের আর্থিক প্রতিবেদনে বিএসইসির নির্দেশনা অনুযায়ি অদাবিকৃত ডিভিডেন্ডের হিসাব পরিস্কারভাবে দেওয়ার নিয়মটি অমান্য করা হয়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনার অনুচ্ছেদ ৩ এ বলা আছে, অদাবিকৃত ডিভিডেন্ডের হিসাবের সম্পূর্ণ হিসাব অর্থ্যাৎ বিও একাউণ্ট নম্বর এবং বিনিয়োগকারীর নাম উল্লেখ করতে হয়। তবে পরবর্তীতে এর ব্যাখা দেওয়া হয়েছে বলে কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, অদাবিকৃত ডিভিডেন্ড বলতে বুঝায় কোম্পানি তার আয় থেকে শেয়ারের মালিক বা বিনিয়োগকারীদের অনুকূলে ডিভিডেন্ড বাবদ চেক ইস্যু করে। কিন্তু যতদিন পর্যন্ত শেয়ার মালিকরা সেই চেকের টাকা কোম্পানির ব্যাংক একাউন্ট থেকে তুলে না নেয়, ততোদিন কোম্পানির একাউন্টেই ওই টাকা থাকে। এটি কোম্পানির জন্য একটি দায়। কারণ এই টাকাগুলো শেয়ার মালিকরা কোম্পানির কাছে পাবে।

এছাড়া ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার প্রতি নিট পরিচালন নগদ আন্তঃ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) অনেক কমেছে এক বছরে। যে ব্যাপারটি নিয়ে যথাযথ ব্যাখা চেয়েছে ঢাকা স্টক একচেঞ্জ। ২০২১ সালের ৩০ জুন হিসাবমতে শেয়ার প্রতি নিট পরিচালন ক্যাশ ফ্লো ছিলো ৩ টাকা ০১ পয়সা। যা ২০২২ সালের ৩০ জুন প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদনে ১ টাকা ৪০ পয়সা ছিলো। দুই বছরের ব্যবধানে ক্যাশ ফ্লো কমেছে ৫৩ দশমিক ৪৯ শতাংশ। যার কোন ব্যাখ্যা প্রতিবেদনে নেই।

ঢাকা স্টক একচেঞ্জ তালিকাভুক্তি আইনে ২০১৫ ৩৭(২) অনুচ্ছেদ মতে উল্লেখিত বিষয়ে কোম্পানির অবস্থান পরিস্কার করার জন্য ৩১ জানুয়ারির মধ্যে বলা হয়েছিলো। কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০২১সালে ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করে।

তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির ৪০ দশমিক ৬১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে পরিচালকদের। প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার রয়েছে ৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ। বিদেশী বিনিয়োগ রয়েছে দশমিক ২১ শতাংশ। কোম্পানিটিতে সাধারণ বিনিয়োগকারীর ৪৯ দশমিক ৮২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।