শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (কেপিসিএল) বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) থেকে মৌখিকভাবে বিদ্যুৎ ক্রয়ের অনুমোদন পেয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

২০২১ সালের মে মাসে কোম্পানিটির যথাক্রমে ১১৫ ও ৪০ মেগাওয়াটের দুটি কেন্দ্রের মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার পর সেগুলো বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়। এরপর সেটি আবার চালু করতে প্রায় ১০ মাস লেগে গেল। সরকার কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ আর বাড়াবে না- এমন সিদ্ধান্ত হলেও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে মেয়াদ বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনুরোধ করে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।

দীর্ঘ আলোচনা শেষে গত ২৩ মার্চ সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে কেপিসিএলের দুটিসহ মোট পাঁচটি কেন্দ্র থেকে নতুন করে বিদ্যুৎ কেনার অনুমোদন দেয়া হয়।

আগেই জানানো হয়েছিল, নতুন করে অনুমোদন হবে ‘নো ইলেকট্রিসিটি, নো পেমেন্ট’ ভিত্তিতে। অর্থাৎ যতটুকু বিদ্যুৎ সরকার কিনবে, ততটুকুর টাকাই দেয়া হবে। আগের মতো কেন্দ্র বসিয়ে ভাড়া অর্থাৎ ক্যাপাসিটি পেমেন্ট সরকার দেবে না।

লেনদেন চলাকালে কেপিসিএলের পক্ষ থেকে বিনিয়োগকারীদের জন্য বার্তা আসে। এতে বলা হয়, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড থেকে তাদের খুলনায় ১১৫ মেগাওয়াটের কেপিসিএল টু ও যশোরের নওয়াপাড়ায় ৪০ মেগাওয়াটে কেপিসিএল বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে দুই বছরের জন্য বিদ্যুৎ কেনার কথা জানানো হয়েছে মৌখিকভাবে। তবে কোম্পানিকে এখনও লিখিত কোনো আদেশ দেয়া হয়নি। এতে আরও বলা হয়, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড মৌখিকভাবে জানানোর পর গত ২৪ মার্চ বিকেল থেকে উৎপাদন শুরু হয়েছে।

সরকার যদিও ‘নো ইলেকট্রিসিটি, নো পেমেন্ট ’ ভিত্তিতে নতুন করে বিদ্যুৎ কেনার অনুমোদন দিয়েছে, তার পরও কেপিসিএলের দুই কেন্দ্রের জন্য খরচ ধরেছে পৌনে ২ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে খুলনার গোয়ালপাড়ায় ১১৫ মেগাওয়াটের কেন্দ্রটি থেকে বিদ্যুৎ কিনতে সরকারের খরচ হবে ১ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা। যশোরের নওয়াপাড়ায় ৪০ মেগাওয়াটের কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কিনতে দুই বছরে সরকারের খরচ হবে ৪৬০ কোটি টাকা।

একই দিন আর যে তিনটি কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কেনার অনুমোদন দেয়া হয়, তার মধ্যে সামিট পাওয়ারের নারায়ণগঞ্জের মদনগঞ্জে ১০২ মেগাওয়াটের কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কেনা বাবদ সরকারকে পরিশোধ করতে হবে ১ হাজার ১৫৭ কোটি টাকা।

নারায়ণগঞ্জ মেঘনা ঘাটে ১০০ মেগাওয়াটের ওরিয়ন পাওয়ার মেঘনা ঘাট কোম্পানি পুঁজিবাজারে সরাসরি তালিকাভুক্ত নয়। তবে এটি তালিকাভুক্ত কোম্পানি ওরিয়ন ফার্মার সহযোগী কোম্পানি। এই কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কিনতে সরকারকে খরচ করতে হবে ১ হাজার ১৪৬ কোটি টাকা।

বাকি কেন্দ্রটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয়। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ ১০০ মেগাওয়াটের ডাচ-বাংলা পাওয়ার অ্যাসোসিয়েট থেকে বিদুৎ কেনা বাবদ সরকারের খরচ হবে ১ হাজার ১৪৬ কোটি টাকা।