শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবায়েত উল ইসলাম বলেন, কোম্পানিগুলো একের পর এক সময় চেয়েই যাচ্ছে। ৩১ মার্চের পর আর সময় দেওয়া হবে না। এরপর কঠোর শাস্তি হিসেবে কয়েকগুন অর্থ জরিমানা করা হবে। অন্যের অর্থ কোম্পানিগুলো কি করেছে, কোথায় রেখেছে, তা বের করে দিতে হবে। আইপিও ইস্যু থেকে শুরু করে সব ডিভিডেন্ড সিএমএসএফ এর কাছে জমা দিতে হবে।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর দিলকুশায় হোটেল পূর্বাণীতে ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের (সিএমএসএফ) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিএমএসএফ এর চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মূখ্য সচিব ও এনবিআরের চেয়ারম্যান মোঃ নজিবুর রহমান।

চেয়ারম্যান বলেন, ২০টির বেশি কোম্পানি বাজার থেকে বের হয়ে যেতে চাচ্ছে। এতে করে কোম্পানিগুলো বিনিয়োগকারীদের থেকে শেয়ার কিনে নিতে চায়। কোম্পানিগুলোকে বাজারে যে পরিমাণ শেয়ার রয়েছে সেই পরিমাণ অর্থ সিএমএসএফ কাছে জমা দিতে হবে। এতে করে বিনিয়োগকারীরা সহজেই তাদের অর্থ ফিরে পাবে। এর জন্য কোম্পানিগুলোকে কষ্ট করে অর্থ বণ্টন করতে হবে না।

পুঁজিবাজার স্থিতিশীল তহবিল থেকে এখন পর্যন্ত ২৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে বিএসইসি। এর মধ্যে ২০০ কোটি টাকা ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) মাধ্যমে এবং বাকি ৫০ কোটি টাকার মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করা হয় বলে জানায় বিএসইসির একটি সূত্র। ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড (সিএমএসএফ) গঠন করার পর এটি পরিচালনায় জারি করা হয়েছে ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড রুলস। নীতিমালা অনুযায়ী একটি কমিটিও গঠন করে দিয়েছে বিএসইসি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে বিএসইসির দায়িত্ব রয়েছে। সেই দায়িত্ব থেকেই বিএসইসি বাজার ঠিক রাখার জন্য এই ফান্ড গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। সেই ফান্ডের সুফল ইতোমধ্যে উপলদ্ধি করতে পারছে বিনিয়োগকারীরা। গত কয়েকদিন ধরে বাজার খারাপ হওয়ার ফলে সেই ফান্ড থেকে ১০০ কোটি টাকা নিয়ে হাজির হয়েছে আইসিবি। এছাড়া, মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলো বিনিয়োগ করেছে ৫০ কোটি টাকা। এরফলে বুঝা যায় এই ফান্ড গঠন করার যে উদ্দ্যেশ্য ছিলো বিএসইসির তা এখন বাস্তবে রূপ নিয়েছে।

স্বাগতিক বক্তব্য রাখেন দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অ্যান্ড পাবলিক লিস্টেড কোম্পানির সদ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট আজম জে চৌধুরী, সিএমএসএফ এর প্রথম চিফ অব অপারেশন মোঃ মনোয়ার হোসেন।