ipo lagoশেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: ভালো শেয়ারের যোগান দিতে পুঁজিবাজারে আসছে বিভিন্ন খাতের ১২টি কোম্পানি। কোম্পানিগুলো ফিক্সড প্রাইস ও বুকবিল্ডিং পদ্ধতির মাধ্যমে বাজারে আসতে চায়।  প্রতিষ্ঠানগুলো পুঁজিবাজার থেকে টাকা নিয়ে কোম্পানির উন্নয়ন, ঋণ পরিশোধ ও আইপিও বাবদ ব্যয় করবে। বর্তমানে এসব কোম্পানির আইপিও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে পাইপ লাইনে থাকা এ কোম্পানিগুলো হচ্ছে-  আমরা নেটওয়ার্কস, এসটিএস হোল্ডিংস লিমিটেড (অ্যাপোলো হাসপাতাল), ইফকো গার্মেন্টস অ্যান্ড টেক্সটাইল লিমিটেড, ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট লিমিটেড, প্যাসিফিক ডেনিমস লিমিটেড, হ্যামপ্যাল রি ম্যানুফ্যাকচারিং বাংলাদেশ লিমিটেড, মারহাবা স্পিনিং, ভিএফএস থ্রেড ডায়িং লিমিটেড এবং শেফার্ড টেক্সটাইলস মিলস লিমিটেড।

তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- বসুন্ধরা পেপার, ফরচুন সুজ, আমান কটন। কোম্পানিগুলো বিভিন্ন মার্চেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে সম্প্রতি  নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) আবেদন করেছে। আর কয়েকটি কোম্পানি তাদের রোড শো সম্পন্ন করেছে। এছাড়া সম্প্রতি আশুগঞ্জ পাওয়ার নামে একটি কোম্পানি পুঁজিবাজারে আসার জন্য বিএসইসিতে যোগাযোগ করছে বলে জানা গেছে।

জানতে চাইলে পুঁজিবাজার কেলেঙ্কারি তদন্ত কমিটির প্রধান ও কৃষি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার ইব্রাহীম খালেদ বলেন, পুঁজিবাজারে নতুন কোম্পানি আসবে এটা ভালো খরব। তবে যেসব কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের কাছে থেকে অর্থ সংগ্রহ করবে তাদের আর্থিকভিত্তি কেমন তা খতিয়ে দেখার দায়িত্ব বিএসইসির। কারণ, দুর্বল কোম্পানি যদি পুঁজিবাজারে আসার সুযোগ পায়, তবে তা বিনিয়োগকারী এবং বাজারে কারও জন্য ভালো হবে না। বিএসইসিকে সেই বিষয়ে নজরদারি বাড়াতে হবে।

জানা গেছে, পুঁজিবাজারে আসতে ইচ্ছুক কোম্পানিগুলোর মধ্যে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে বাজারে আসতে চায়। এ কোম্পানিগুলো হচ্ছে- এসটিএস হোল্ডিংস লিমিটেড (অ্যাপোলো হাসপাতাল), বসুন্ধরা পেপার মিল, আমরা নেটওয়ার্কস, আমান কটন এবং ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট। সম্প্রতি কোম্পানিগুলো বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে বাজারে আসার জন্য রোডশো সম্পন্ন করেছে।

সূত্রমতে, বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে এসটিএস হোল্ডিংস লিমিটেড ৭৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- আমরা নেটওয়ার্কস লিমিটেড ৫৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা এবং ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট লিমিটেড ৬০ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে চায়। একইভাবে- বসুন্ধরা পেপার ২০০ কোটি এবং আমান কটন ৮০ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে ইচ্ছুক।

অন্য প্রতিষ্টানগুলোর মধ্যে- প্যাসিফিক ডেনিমস্ লিমিটেড পুঁজিবাজার থেকে ৭৫ কোটি টাকা,হ্যামপ্যাল রি-ম্যানুফ্যাকচারিং বাংলাদেশ লিমিটেড ২০ কোটি টাকা,  ইফকো গার্মেন্টস এ্যান্ড টেক্সটাইল লিমিটেড ২০ কোটি টাকা, মারহাবা স্পিনিং ৫০ কোটি টাকা, ভিএফএস থ্রেড ডায়িং লিমিটেড ২২ কোটি টাকা, শেফার্ড টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড তুলতে চায় ২০ কোটি টাকা ও ফরচুন সুচ ২২ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে চায়।

বিষয়টি নিয়ে কথা বললে ডিএসইর সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান পরিচালক মো. রকিবুর রহমান বলেন, ভালো শেয়ারের যোগান দেবে প্রতিষ্ঠান- কর্তৃপক্ষের  এমন কথা যদি সঠিক থাকে তবে তা বিনিয়োগকারীদের জন্য  ভালো। কারণ ভালো শেয়ারে বিনিয়োগ করলে তারা বছর শেষে ভালো রিটার্ন পেতে পারে। আর কোম্পানি যদি তাদের কথা রাখতে ব্যর্থ হয়, তবে শেষ ভোগান্তিটা তাদেরই ভুগতে হয়।