lafarge cement lagoশেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিমেন্ট খাতের কোম্পানি লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় দুই সিমেন্ট জায়ান্ট লাফার্জ সিমেন্ট ও হোলসিম নিজেদের মধ্যে একীভূত হলেও বাংলাদেশে সেটি হচ্ছে না। এখানে লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট লিমিটেড অপর কোম্পানি হোলসিম লিমিটেডকে অধিগ্রহণ করবে। সহজ কথায়, হোলসিমকে কিনে নিবে লাফার্জ।

কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুসারে বিশ্বব্যাপী কোম্পানি দুটি একীভূত হচ্ছে।বাংলাদেশসহ দুয়েকটি দেশ ছাড়া বাকী সব জায়গায় ইতোমধ্যে একীভুতকরণ প্রক্রিয়া শেষ করেছে ফরাসি কোম্পানি লাফার্জ ও সুইস কোম্পানি হোলসিম।

জানা গেছে, বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে দুটি কোম্পানিই পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত থাকায় সহজেই একীভূতকরণ করা গেছে।কিন্তু বাংলাদেশে লাফার্জ সুরমা তালিকাভুক্ত হলেও হোলসিম পুঁজিবাজারের বাইরে আছে। তাই কোম্পানি দুটির মধ্যে মার্জার সম্ভব নয়। তাই লাফার্জ সুরমা হোলসিমকে কিনে নিচ্ছে।

হোলসিমের কোনো কোনো শেয়ারহোল্ডার তাদের শেয়ার বিক্রিতে অনীহা দেখানোয় মাঝখানে অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া কিছুটা গতিহীন ছিল।তবে ওই সমস্যার সমাধান হওয়ায় প্রক্রিয়াটি দ্রুত গতিতে এগুচ্ছে। কিছুদিনের মধ্যেই এটি চূড়ান্ত হতে পারে। তবে হোলসিমের সম্পদ মূল্য কত নির্ধারণ হয়েছে, লাফার্জ কীভাবে টাকার সংস্থান করবে সে সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি।

এদিকে বিশ্বের অনেক দেশে স্থানীয় আইনের শর্ত অনুসারে মার্জারের জন্য উভয় কোম্পানিকে কিছু সম্পদ বিক্রি করতে হয়েছে। কোনো কোনো দেশে নিজেদের একাধিক প্ল্যান্ট পর্যন্ত বিক্রি করতে হয়েছে।

উল্লেখ, প্রতিযোগিতা আইন একচেটিয়া ব্যবসা  প্রতিরোধ আইনসহ এ জাতীয় আইনে একটি কোম্পানির সর্বোচ্চ উৎপাদনের সীমা বেঁধে দেওয়া আছে। বাজারে মোট চাহিদার নির্ধারিত অংশ পর্যন্ত পণ্য সরবরাহ করতে পারে প্রতিটি কোম্পানি। এককভাবে নির্ধারিত পরিমাণের বেশি পণ্য উৎপাদন ও বিক্রি করা আইনে নিষিদ্ধ।

লাফার্জ ও হোলসিম-দুটোই বিভিন্ন দেশে বড় আকারের উৎপাদক ছিল। দুটি কোম্পানি একসাথে হয়ে যাওয়ায় এদের সম্মিলিত উৎপাদন ক্ষমতা আইনে নির্ধারিত সীমার বেশি হয়ে যাওয়ায় নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছ থেকে মার্জারের অনুমতি পাওয়ার জন্য কিছু কারখানা বিক্রি করে উৎপাদন ক্ষমতা নির্ধারিত সীমার মধ্যে নিয়ে আসতে হয়েছে।

অন্যদিকে ব্যাংক ঋণের ভার কমিয়ে আনতেও কোথাও কোথাও কিছু সম্পদ বিক্রি করতে হয়েছে। সম্প্রতি চীনে ১৭টি কারখানা ও চারটি গ্রাইন্ডিং মিল বিক্রি করতে হয়েছে লাফার্জহোলসিমকে। এর আগে ভারতেও কয়েকটি কারখানা বিক্রি করতে হয়েছে। জানা গেছে, বাংলাদেশে এমন কোনো সমস্যায় পড়তে হবে না লাফার্জকে। তাই কোনো সম্পদ বিক্রি করারও প্রয়োজন হবে না।