foodশেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের  ১৪ কোম্পানির প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির হালচাল নিয়ে শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম অনুসন্ধানে নেমেছে। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে ১৪ কোম্পানির মধ্যে নয়টি মুনাফা দেখিয়েছে। এছাড়া ৫ কোম্পানি অবস্থা শোচনীয়। এসব কোম্পানি বছরের পর বছর লোকসান দিয়ে আসছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে এপ্রিল ও মে মাসে প্রকাশিত অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণে এই তথ্য বের হয়েছে। শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বৃদ্ধি পাওয়া এই নয় কোম্পানির মধ্যে সাতটি তৃতীয় প্রান্তিকের এবং দুটি কোম্পানি প্রথম ও দ্বিতীয় প্রান্তিকের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

ইপিএস বেড়েছে যেসব কোম্পানির: ২০১৫-১৬ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) এ্যাগ্রিকালচারাল মার্কেটিং কোম্পানির ইপিএস আগের একই সময়ের তুলনায় ১৬ শতাংশ বেড়ে ১ টাকা ৭৮ পয়সা হয়েছে; নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) ২২ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৫ টাকা ৬৭ পয়সা। একই সময়ে এ্যাপেক্স ফুডসের ইপিএস ১৪০ শতাংশ বেড়ে ৫৩ পয়সায় উঠেছে। তবে নয় মাসে এই কোম্পানির লোকসান হয়েছে ২ টাকা ৭৯ পয়সা।

এমারেল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজের ইপিএস তৃতীয় প্রান্তিকে আগের বছরের তুলনায় ৯৫ শতাংশ বেড়ে ১ টাকা ২৭ পয়সায় উঠেছে; নয় মাসে ৯২ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৩ টাকা ৭৯ পয়সা। এই সময়ে ফাইন ফুডসের ইপিএস ৬৫০ শতাংশ বেড়ে ১১ পয়সা হয়েছে। তবে নয় মাসে এই কোম্পানির লোকসান হয়েছে ১৩ পয়সা।

তৃতীয় প্রান্তিকে গোল্ডেন হারভেস্ট এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের ইপিএস আগের বছরের তুলনায় ৬৫ শতাংশ বেড়ে ৬১ পয়সা হয়েছে; নয় মাসে ৩৭ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১ টাকা ২৩ পয়সা। শেয়ারপ্রতি লোকসানে থাকা মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক ইন্ডাস্ট্রিজের তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ২৪ পয়সা। তবে নয় মাসে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৩ টাকা ১৫ পয়সা।

এ সময়ে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের ইপিএস ৬৮ শতাংশ বেড়ে ২ টাকা ২৭ পয়সায় উঠেছে; নয় মাসে ৬১ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৬ টাকা ২৬ পয়সা। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো বাংলাদেশের ইপিএস ৪ শতাংশ বেড়েছে ৩১ টাকা ১৬ পয়সায় উঠেছে।

জেমিনী সী ফুডের ইপিএস দ্বিতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৪ শতাংশ বেড়ে ৭ টাকা ২৬ পয়সা হয়েছে; নয় মাসে ২৩০ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১৫ টাকা ৮০ পয়সা।

ইপিএস কমেছে ফু-ওয়াং ফুডসের: তৃতীয় প্রান্তিকে খাদ্য খাতের এই কোম্পানির ইপিএস আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৩ শতাংশ কমে ২৪ পয়সা হয়েছে; নয় মাসে ৪৩ শতাংশ কমে হয়েছে ৬৫ পয়সা।

লোকসান হয়েছে চার কোম্পানির: তৃতীয় প্রান্তিকে মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারপ্রতি লোকসান আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কমে ১০ পয়সা হয়েছে; ২৯ পয়সা লোকসান হয়েছে নয় মাসে।  এই সময়ে রহিমা ফুড কর্পোরেশনের লোকসান কমে ১১ পয়সা হয়েছে; নয় মাসে হয়েছে ৪৪ পয়সা।

শ্যামপুর সুগার মিলসের শেয়ারপ্রতি লোকসান তৃতীয় প্রান্তিকে কমে ১২ টাকা ৫০ পয়সা হয়েছে; নয় মাসে হয়েছে ৫১ টাকা ৭ পয়সা। এই সময়ে জিল বাংলা সুগার মিলসের লোকসান বেড়ে ১১ টাকা ২১ পয়সা হয়েছে; নয় মাসে লোকসান হয়েছে ৪০ টাকা ৩০ পয়সা।