dse lago newশেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে অস্থিতিশীলতার আভাসে ফের দু:চিন্তায় পড়ছে লাখ লাখ  বিনিয়োগকারীরা। সাম্প্রতিক পুঁজিবাজারের অব্যাহত দরপতনে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে বিনিয়োগকারীদের। তারা বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে চরম অস্থিরতায় ভুগছেন । মাঝে মধ্যে দু এক কার্যদিবস বাজার ভাল হলেও স্থিতিশীলতায় ফিরছে না।

যার কারণে বিনিয়োগকারীরা নতুন করে বিনিয়োগমুখী হচ্ছেন না। এছাড়া বিনিয়োগকারীদের হাতে নগদ টাকা না থাকাও বিনিয়োগে না ফেরার অন্যতম কারণ। ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে হারানো পুঁজি ফিরে পাওয়ার আশায় থাকলেও তাদের সেই প্রত্যাশা কিছুতেই পূরণ হচ্ছে না। ফলে ক্ষোভ আর হতাশার মধ্যে হাবুডাবু খাচ্ছে বিনিয়োগকারীরা।

বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, টানা ছয় বছর ধৈর্য্য ধরে একটি স্থিতিশীল বাজার পাচ্ছি না। ছয় বছরেরও যে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাজারকে স্থিতিশীল করতে সে সংস্থার দরকার কি?।  সরকারের উচিৎ নিয়ন্ত্রক বাংলাদেশ সংস্থা সিকউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইবি) বিলুপ্ত ঘোষণা করা। না হয় সংস্থাটির চেয়ারম্যান সহ কর্মকর্তাদের মাঝে পরিবর্তন আনা উচিৎ।

মঙ্গলবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে(ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দর কমে যাওয়ায় সূচকের মাঝারি ধরনের পতন হয়েছে। দেশের অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দরপতনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে দিনের লেনদেন। এদিকে সূচকের পাশাপাশি দেশের উভয় বাজারে আর্থিক লেনদেনের পরিমাণও কমেছে।

মঙ্গলবার ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৬৭ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারের দর কমেছে। লেনদেন হওয়া ৩২১টি ইস্যুর মধ্যে দর বেড়েছে ৭২টির, কমেছে ২১৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৩টির দর। এ হিসাবে লেনদেনে অংশ নেওয়া ইস্যুগুলোর মধ্যে ৬৭ শতাংশ ইস্যুরই দর কমেছে। দর কমে যাওয়া ইস্যুগুলোর মধ্যে ৩৬টির দর ৩ শতাংশ বা তার বেশি কমেছে। সবচেয়ে বেশি দর কমেছে ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্সের। এ কোম্পানির দর কমেছে ১৩ শতাংশেরও বেশি।

এদিকে ডিএসইর আর্থিক লেনদেন ফের ৩০০ কোটি টাকার ঘরে নেমে এসেছে। দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ৩৩৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। সোমবারের তুলনায় লেনদেন কমেছে প্রায় ৮৬ কোটি টাকা।

লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে এসিআই। দিনশেষে কোম্পানিটির ২২ কোটি ২৮ লাখ ৯৩ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা মবিল যমুনার লেনদেন হয়েছে ১৩ কোটি ৭৩ লাখ ৬৯ হাজার টাকা। ১০ কোটি ৭৮ লাখ ৯৯ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ডরিন পাওয়ার। লেনদেনে এরপর রয়েছে যথাক্রমে- ইবনে সিনা, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, কেয়া কসমেটিকস, বেক্সিমকো ফার্মা, ইউনাইটেড পাওয়ার, আমান ফিড, এসিআই ফরমুলেশন্স।