স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের বড় দরপতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। ফলে চলতি সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে চার কার্যদিবস সূচকের বড় দরপতন হয়েছে। মুলত চার কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ১৬৪ পয়েন্ট সূচকের দরপতন হয়েছে। এতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার দর ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ দরপতন হয়েছে।

ফলে সূচকের টানা পতনে বাজার নিয়ে নতুন করে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়েছে। বিনিয়োগকারীরা তাদের পুঁজি নিয়ে দু:চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন। তবে সূচকের টানা দরপতন হলেও ডিএসই-বিএসইসি নিরব আচরণ করছেন। ডিএসই-বিএসইসি নিরব আচরনে বিনিয়োগকারীদের মাঝে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এছাড়া যখনই বাজার নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মাঝে আস্থা জাগতে শুরু করে ঠিক ততই নানা গুজবে বাজারকে অস্থির করে।

তবে সূচকের টানা দরপতনে লেনদেন পাঁচশ কোটি টাকার ঘরে নেমে এসেছে। এখন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে পুঁজিবাজারে কি সত্যিকার অর্থে দরপতন হচ্ছে নাকি পরিকল্পিতভাবে গ্যাম্বলাররা কম দামে শেয়ার হাতিয়ে নেওয়ার পাঁয়তারা করছে। একটি চক্র পরিকল্পিত ভাবে, ধীরে ধীরে আস্থা ফিরে আসা পুঁজিবাজারে অস্থিরতা তৈরি করছে বলে মন্তব্য করেছেন অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারী কাজী হোসাইন আলী কাজী।

এদিকে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের সাথে কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর ও টাকার পরিমাণে লেনদেন। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৫৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ২৮৩ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ১৩৪ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ১৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ২ হাজার ৩৩ পয়েন্টে।

দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৯৮ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৭২ টির, দর কমেছে ২৯২ টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৪ টির। ডিএসইতে ৫৩০ কোটি ১৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ৫০ কোটি ৬৭ লাখ টাকা বেশি। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৬১১ কোটি ৮৭ লাখ টাকার ।

অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৯৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৯৪৭ পয়েন্টে। সিএসইতে ২১৪ টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির মধ্যে ৫৭ টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৩৭ টির এবং ২০ টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ২২ কোটি ৬১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।