শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: খেলাপি ঋণ, তারল্য সংকট, আমদানির ঋণপত্র (এলসি) সীমিত হওয়া ও বেসরকারি ঋণের প্রবাহ কমে যাওয়ার মধ্যেও দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মুনাফায় ভালো প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। অর্থনৈতিক অস্থিরতায় দেশের উৎপাদন খাত চ্যালেঞ্জের মধ্যে থাকলেও আর্থিক খাত বিশেষ করে ব্যাংকগুলো তাদের মুনাফা বাড়ানোর সক্ষমতা দেখিয়েছে। এছাড়া বছরের পর বছর ধরে লভ্যাংশ হিসেবে বোনাস শেয়ার দেয়া ব্যাংকগুলোর মধ্যে নগদ লভ্যাংশ দেয়ার প্রবণতা দিন দিন বেড়েছে।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর ২০২৩ সালের ঘোষণা করা লভ্যাংশের চিত্র পর্যালোচনা করে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। ব্যাংকগুলো ভালো লভ্যাংশ দিলেও পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের খুব একটা আকৃষ্ট করতে পারছে না। ফলে অবমূল্যায়িত অবস্থায় পড়ে রয়েছে বেশিরভাগ ব্যাংকের শেয়ার দাম। ব্যাংকের শেয়ার বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে না পারার কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞদের একটি অংশ বলছেন,

ভালো লভ্যাংশ দিলেও সার্বিকভাবে ব্যাংক খাত সমস্যার মধ্যে রয়েছে। ব্যাংকের খেলাপি ঋণ বাড়ছে। আবার কিছু ব্যাংক মার্জ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবার ঋণ বিতরণ খুব একটা ভালো অবস্থায় নেই। মুনাফার সক্ষমতাও কমে গেছে। এসব কারণে ব্যাংকের শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীরা খুব একটা আকৃষ্ট হচ্ছেন না।

পুঁজিবাজারে বর্তমানে ব্যাংক খাতের ৩৬টি ব্যাংক রয়েছে। এরমধ্যে ১১টি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ লভ্যাংশ সংক্রান্ত সভা করেছেন। যেগুলোর ২০২৩ সালের ব্যবসায়িক অবস্থাও প্রকাশ করা হয়েছে। লভ্যাংশ সভা করা ১১টি ব্যাংকের মধ্যে ১০টির পর্ষদ ভালো লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আর অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে লড়াই করা আইসিবি ইসলামীক ব্যাংকের পর্ষদ কোন লভ্যাংশ দেবে না বলে জানিয়েছে। এখন পর্যন্ত লভ্যাংশ ঘোষণা করা ব্যাংকগুলোর মধ্যে এগিয়ে রয়েছে ডাচ-বাংলা ব্যাংক।

এ ব্যাংকটির পর্ষদ ৩৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এরপরের অবস্থানে থাকা উত্তরা ব্যাংকের পর্ষদ ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ব্যাংকগুলো থেকে ভালো লভ্যাংশ ঘোষণা করা হলেও এই খাতটি শেয়ার দরে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। অথচ এ খাত থেকে সবসময় ভালো লভ্যাংশ পাওয়া যায়। এছাড়া শেয়ারের বাজার দরের তুলনায় লভ্যাংশ অনুপাতও (ডিভিডেন্ড ইল্ড) খুবই ভালো।

বিশেষজ্ঞ বলছেন, বিনিয়োগকারীরা যুক্তিসঙ্গত আচরণ করছেন না। যে কারণে ব্যাংকের শেয়ার এখন সবচেয়ে অবমূল্যায়িত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। লভ্যাংশের বিষয় বিবেচনায় নিলে এখন ব্যাংকের শেয়ারে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ হওয়ার কথা। কিন্তু আমাদের দেশের পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরা লভ্যাংশ পাওয়ার আশায় বিনিয়োগ করেন না। তারা দ্রুত মুনাফা তুলে নেয়ার চেষ্টা করেন। এজন্য বুঝে না বুঝে দুর্বল কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করেন।

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে ১১টি ২০২৩ সালের সমাপ্ত বছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ৯টিই ব্যাংক ২০২২ সালের চেয়ে বেশি লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাশাপাশি এই ব্যাংকগুলোর মধ্যে ৯টিই গত বছরের চেয়ে বেশি নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এছাড়া গত বছরের চেয়ে কিছুটা কম নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করলেও মুনাফায় ধস নেমেছে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের।

ডিএসই সূত্র জানা যায়, সমাপ্ত অর্থবছরে ডাচ-বাংলা ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৩৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ১৭.৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ও ১৭.৫০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ রয়েছে।

২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের এ লভ্যাংশ প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ। ফলে প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যের শেয়ারের বিপরীতে ১.৭৫ টাকা নগদ লভ্যাংশ পাবেন শেয়ারহোল্ডারা। সমাপ্ত হিসাব বছরের কোম্পানির সমন্বিতভাবে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১০.৭২ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ৭.৫৭ টাকা।

সমাপ্ত অর্থবছরে উত্তরা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এর মধ্যে সাড়ে ১৭ শতাংশ নগদ ও সাড়ে ১২ শতাংশ স্টক বা বোনাস লভ্যাংশ। প্রতিষ্ঠানটি গত ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হওয়া সর্বশেষ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারধারীদের এ লভ্যাংশ দেবে। এছাড়া সর্বশেষ হিসাব বছরে উত্তরা ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৩২ পয়সা, ২০২২ সালে যা ছিল ৩ টাকা ৬৯ পয়সা। সে হিসাবে কোম্পানিটির ইপিএস বেড়েছে ১৭ শতাংশ।

সিটি ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ। ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের এ লভ্যাংশ প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ।

ফলে প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যের শেয়ারের বিপরীতে ১.৫০ টাকা নগদ লভ্যাংশ পাবেন শেয়ারহোল্ডারা। সমাপ্ত হিসাব বছরের কোম্পানির সমন্বিতভাবে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৫.২১ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ৩.৯০ টাকা।

পূবালী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ১২.৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ও ১২.৫০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ রয়েছে। ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের এ লভ্যাংশ প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ।

ফলে প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যের শেয়ারের বিপরীতে ১.২৫ টাকা নগদ লভ্যাংশ পাবেন শেয়ারহোল্ডারা। সমাপ্ত হিসাব বছরের কোম্পানির সমন্বিতভাবে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৬.৭৬ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ৫.৪৯ টাকা।

ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা দিয়েছে। ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের এ লভ্যাংশ প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ। ফলে প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যের শেয়ারের বিপরীতে ২.৫০ টাকা নগদ লভ্যাংশ পাবেন শেয়ারহোল্ডারা। সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানির সমন্বিতভাবে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৫.০৭ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ৪.২৪ টাকা।

ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।এর মধ্যে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ রয়েছে। ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের

এ লভ্যাংশ প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ। ফলে প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যের শেয়ারের বিপরীতে ১ টাকা নগদ লভ্যাংশ পাবেন শেয়ারহোল্ডারা। সমাপ্ত হিসাব বছরের কোম্পানির সমন্বিতভাবে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৪.৭৩ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ৩.৭৫ টাকা।

প্রাইম ব্যাংকের ২০২৩ সমাপ্ত হিসাব বছরে (জানুয়ারি-ডিসেম্বর) শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১৭ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জানা যায়, সদ্য ২০২৩ সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে চার টাকা ২৪ পয়সা। আগের ২০২২ বছরে কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি মুনাফা ছিল তিন টাকা ৫৩ পয়সা। এ সময়ের ব্যবধানে শেয়ার প্রতি মুনাফা বেড়েছে ৭১ পয়সা বা ২০ দশমিক ১১ শতাংশ।

শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১৪ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর পুরোটাই নগদ লভ্যাংশ। ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের এ লভ্যাংশ প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ।

ফলে প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যের শেয়ারের বিপরীতে ১.৪০ টাকা নগদ লভ্যাংশ পাবেন শেয়ারহোল্ডারা। সমাপ্ত হিসাব বছরের কোম্পানির সমন্বিতভাবে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৩.২২ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ৩.২২ টাকা।

মার্কেন্টাইল ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর পুরোটাই নগদ লভ্যাংশ। ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের এ লভ্যাংশ প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ।

ফলে প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যের শেয়ারের বিপরীতে ১ টাকা নগদ লভ্যাংশ পাবেন শেয়ারহোল্ডারা। সমাপ্ত হিসাব বছরের কোম্পানির সমন্বিতভাবে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১.৮৬ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ২.১২ টাকা।

মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক (এমটিবি) পিএলসির পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর পুরোটাই নগদ লভ্যাংশ। ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের এ লভ্যাংশ প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ।

ফলে প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যের শেয়ারের বিপরীতে ১ টাকা নগদ লভ্যাংশ পাবেন শেয়ারহোল্ডারা। সমাপ্ত হিসাব বছরের কোম্পানির সমন্বিতভাবে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ২.৯১ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ২.৪১ টাকা।
আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক লিমিটেড গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য নো ডিভিডেন্ড ঘোষণা করে। সূত্র মতে, সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৮৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি ৩৮ পয়সা লোকসান হয়েছিল।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০১০ সালের মহাধসের পর পুঁজিবাজার আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। এর প্রধান কারণ ব্যাংক খাতের দুরবস্থা। একের পর এক ব্যাংকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের তথ্য উঠে এসেছে। এর সঙ্গে ব্যাংকগুলো লভ্যাংশ হিসেবে মাত্রারিক্ত বোনাস শেয়ার দিয়েছে। এতে একদিকে ব্যাংকের শেয়ার সংখ্যা বেড়েছে, অন্যদিকে নগদ লভ্যাংশ দেয়ার সক্ষমতা কমেছে। যে কারণে কয়েক বছর ধরে বেশিরভাগ ব্যাংক লভ্যাংশের ক্ষেত্রে অনেকটাই বোনাস শেয়ার নির্ভর হয়ে পড়েছে। যদিও এখন ব্যাংকগুলোর মধ্যে নগদ লভ্যাংশের প্রবনতা বাড়ছে।