শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের কোম্পানি প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের চলতি হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিক শেষে জীবন বিমা তহবিল ১৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকা কমেছে। গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় ২০২৩ হিসাব বছরের প্রথমার্ধের (জানুয়ারি-জুন) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, গত জুন শেষে কোম্পানিটির জীবন বিমা তহবিল হয়েছে ৬৯০ কোটি ৬০ লাখ ৪০ হাজার টাকা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৭০৮ কোটি ৫৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৩ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) প্রাইম ইসলামী লাইফের মোট আয়ের তুলনায় বিমা দাবিসহ মোট ব্যয় ৮০ কোটি ৭২ লাখ ৯০ হাজার টাকা বেশি হয়েছে। গত বছরের একই সময়ে এ খাতে ৯৯ কোটি ১৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা বেশি ব্যয় হয়েছিল।

৩১ ডিসেম্বর ২০২২ সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটি। ঘোষিত লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য আগামী ৬ নভেম্বর বেলা ১২টায় ডিজিটাল প্লাটফর্মের মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। আর এ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর।

কোম্পানিটি সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আগে সমাপ্ত ২০২০ হিসাববছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি কোম্পানিটি। এর আগে ২০১৯ হিসাববছরের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় তারা। ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি।

২০০৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রাইম ইসলামী লাইফের অনুমোদিত মূলধন ৫০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি ৫২ লাখ টাকা। মোট শেয়ারসংখ্যা ৩ কোটি ৫ লাখ ২০ হাজার ২৩০। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে রয়েছে ৩৬ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ শেয়ার।

এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩০ দশমিক ৭৩ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ৩৩ দশমিক ১৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।