শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। এর ফলে টানা তিন কার্যদিবস দরপতনের কবলে দেশের পুঁজিবাজার। টানা দরপতনের ফলে ফের আস্থা সংকটে ভুগছে বিনিয়োগকারীরা। মুলত বড় বিনিয়োগকারীর শেয়ার বিক্রির চাপে ঘুরে দাঁড়াতো পারছে না পুঁজিবাজার।

বিশেষ করে বীমা খাতের শেয়ারে সেল প্রেসারে টালমাতাল অবস্থা বিরাজ করছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমেছে ২৯ পয়েন্ট। বিষয়টি নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে খতিয়ে দেখার দাবী জানিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।

ডিএসইর তথ্যমতে, মঙ্গলবার বিমা কোম্পানির শেয়ারের দাম বৃদ্ধির মধ্যদিয়ে দিনের লেনদেন শুরু হয়ে চলে দুপুর ১টা পর্যন্ত। এরপর শুরু হয় শেয়ার বিক্রির চাপ। সেই চাপের কারণে শেষ দেড় ঘণ্টা লেনদেন হয় সূচক পতনের মধ্য দিয়ে। ফলে দিন শেষে বাজারটিতে ৩৩৪ প্রতিষ্ঠানের মোট ১১ কোটি ৪৪ লাখ ৮৮ হাজার ৭৯৫ শেয়ার ও ইউনিট কেনা-বেচা হয়েছে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৬৬৯ কোটি ১৪ লাখ ৫২ হাজার টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৯৮১ কোটি ৪৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা। অর্থাৎ দিনের ব্যবধানে লেনদেন কমেছে। লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ৪৫টির, কমেছে ১২১টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দাম।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, মঙ্গলবার ডিএসইতে ৬৬৯ কোটি ১৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগেরদিন সোমবার লেদেন হয়েছিল ৯৮১ কোটি ৪৪ টাকা। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৩৪টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৪৫টি এবং কমেছে ১২১টির। শেয়ার পরিবর্তন হয়নি ১৬৮টির। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১১ দশমিক ৬৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৯৮ দশমিক ৯১ পয়েন্টে।

ডিএসইএস সূচক ২ দশমিক ৮৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৬৯ দশমিক ২০ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক দশমিক ১০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৮৫ দশমিক ৫০ পয়েন্টে। অপরদিক চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) এদিন ৯ কোটি ৬৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগেরদিন সোমবার লেদেন হয়েছিল ৩৯ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৮৪টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৩৩টি এবং কমেছে ৮০টির। শেয়ার পরিবর্তন হয়নি ৭১টির।

এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ২৯ দশমিক ৬৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৬২০ দশমিক ৬৫ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসই-৫০ সূচক দশমিক ৩৮ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক দশমিক ১৪ পয়েন্ট, সিএসসিএক্স ১৭ দশমিক ২৩ পয়েন্ট এবং সিএসআই সূচক দশমিক ৯৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৩১০ দশমিক ৬০ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৩৫২ দশমিক ৪৮ পয়েন্টে, ১১ হাজার ১৩৮ দশমিক ৬৪ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ১৬৮ দশমিক ৭০ পয়েন্টে।