শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: ১৬৯টি কোম্পানির শেয়ারে ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দিয়ে নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কোম্পানিগুলোর গত ৪ কার্যদিবসের (২৬ ফেব্রুয়ারি ১ লা মার্চ) শেয়ার দরের গড় অনুযায়ী ফ্লোর প্রাইজ নির্ধারণ করা হবে।

বুধবার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এক নির্দেশনায় এই ফ্লোর প্রাইস দেওয়া হয়েছে। যা বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) থেকে কার্যকর হবে। আগেও এসব কোম্পানির শেয়ারে ফ্লোর প্রাইস দিয়ে তা তুলে নেওয়া হয়েছিল।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ১৬৯টির ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করা হবে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ এই চার কর্মদিবসের সর্বশেষ প্রাইসের গড় দামের ভিত্তিতে। কোম্পানিগুলোর শেয়ারের ওপেনিং প্রাইস হবে গত ২৮ জুলাই নির্ধারিত ফ্লোরপ্রাইস অথবা গত ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৪ দিনের গড় মূল্যের মধ্যে যেটি কম, সেটি। একইসঙ্গে এটি হবে নতুন ফ্লোরপ্রাইস।

২০২২ সালের ২৮ জুলাই আরোপিত সার্কুলারে আগের ৪ কার্যদিবসের গড় মূল্যকে ফ্লোরপ্রাইস ও সার্কিট ব্রেকারের সর্বনিম্নসীমা ঘোষণা করা হয়। এর আগে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সুরক্ষা ও শেয়ারবাজারের লেনদেনে গতি ফেরানোর কথা বলে গত বছরের ২১ ডিসেম্বর ১৬৯টি প্রতিষ্ঠানের (কোম্পানির ও মিউচুয়াল ফান্ড) ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয় বিএসইসি। তার ঠিক দুই মাস ১০ দিন পর আবারও ১৬৯ প্রতিষ্ঠানে ফ্লোর প্রাইস আরোপ করলো বিএসইসি। এসব প্রতিষ্ঠান বাজার মূলধন বাজারের মোট মূলধনের প্রায় ৫ শতাংশ।

২১ ডিসেম্বর বলা হয়েছিল, ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়া কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দাম এক দিনে সর্বোচ্চ ১ শতাংশের বেশি কমতে পারবে না। তবে নিয়ম অনুযায়ী, এসব প্রতিষ্ঠানের দাম এক দিনে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারবে। এখন আর এসব শর্ত কিছু থাকবে না। ২০২২ সালের ২৮ জুলাই দরপতন ঠেকাতে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সব কোম্পানিতে ফ্লোর প্রাইস আরোপ করেছিল। যা ২৯ জুলাই থেকে কার্যকর করেছিল বিএসইসি।