শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: জ্বালানী তেলের মুল্যবৃদ্ধি ও ডলারের বাজারে অস্থিরতার প্রভাব পড়ছে দেশের পুঁজিবাজারে। এতে করে বাজারে টানা পতনের ফলে বিনিয়োগকারীদের দাবি উঠেছিলো ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করার। বিষয়টি নজরে নিয়ে ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণও করেছে বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাবাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

কিন্তু এরই মধ্যে বিভিন্ন ফোরামে কমিশনের ফ্লোর প্রাইস নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। বিষয়টি কমিশন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। কমিশন গুজব সৃষ্টিকারীদের শনাক্ত করছে এবং অতি দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেও জানিয়েছে।

বিভিন্ন ফোরামে কমিশনের ফ্লোর প্রাইস নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে জানতে পারার পর বৃহস্পতিবার বিএসইসির অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে এই সংক্রান্ত একটি পোস্ট দেয়া হয়েছে।

বাজারে এমন গুজব ছড়ানোর ফলে পুঁজিবাজারে এক সপ্তাহ টানা দরপতন হয়। বিষয়টি নজরে নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রতিটি শেয়ারে যে সর্বনিম্ন মূল্য বা ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দেয়া হয়েছে, সেটি আপাতত তুলে নেয়ার কোনো চিন্তা নেই। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত শেয়ারে ফ্লোর প্রাইস অব্যাহত থাকবে।

এতে বলা হয়, বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় গত ২৮ জুলাই ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করা হয়েছে। যা ৩১ জুলাই থেকে কার্যকর হয়ে বর্তমানেও রয়েছে। ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে নেয়া হবে বলে নানা মহল থেকে গুজব ছড়ানো হচ্ছে যা কমিশন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা গুজব সৃষ্টিকারীদের শনাক্ত করছে এবং অতি দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেও জানানো হয়।

২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ার পর পুঁজিবাজারে ধস ঠেকাতে দেশের পুঁজিবাজারে প্রথম বারের মতো ফ্লোর প্রাইস দেয়া হয়। পরে বাজার ঊর্ধ্বগতিতে ফিরলে ধাপে ধাপে তা তুলে দেয়া হয়। গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রুশ হামলার পর বিশ্বজুড়ে অর্থনীতিতে টালমাটাল পরিস্থিতিতে দেশের শেয়ানবাজারে যে ধস নামে, সেটি ঠেকাতে গত ২৮ জুলাই দ্বিতীয় বার দেয়া হয় ফ্লোর প্রাইস।