emerald oilশেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুষিঙ্গক খাতের কোম্পানি এমারাল্ড ওয়েলের বন্ধ কারখানা ২০ আগস্ট চালু করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ভারতীয় চার জন শ্রমিক কাজে যোগ দেয়ায় কোম্পানির উৎপাদন শুরু হয়েছে। নির্ধারিত তারিখের মধ্যে উৎপাদন শুরু করা হয়েছে বলে জানায় এমারাল্ড ওয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড কর্তৃপক্ষ।

চলতি বছরের শুরুর দিকেই এমারাল্ড অয়েলের রাইস ব্র্যান অয়েল মিলের উৎপাদন বন্ধ হয়। আর্থিক সংকটের কারণে কারখানার টেকনিশিয়ানসহ অনেক কর্মী চলে যান। এর মধ্যে ৫ বছরের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় ভারতীয় কয়েকজন কর্মী দেশে ফিরে যান।

কোম্পানির উৎপাদন সম্পর্কে এমারাল্ড অয়েলের কোম্পানি সচিব মেহেরুন্নেছা রোজি বলেন, আমরা ২০ তারিখে উৎপাদন শুরুর কথা বলেছিলাম। নির্ধারিত সময়ে কারখানা চালু করে ইতোমধ্যে উৎপাদনে ফিরেছে কোম্পানি।

ভারতীয় শ্রমিক সম্পর্কে রোজী আরো বলেন, ভারতীয় অনেক শ্রমিকের ভিসার মেয়াদ ৫ বছর পূর্ণ হওয়ার তারা দেশে ফিরে গেছেন। নতুন করে ভারতীয় চার জন শ্রমিক কাজে যোগ দিয়েছে। উৎপাদন বাড়াতে আমাদের আরো শ্রমিকের প্রয়োজন হলে তাদের নিয়োগ দেয়া হবে। কোম্পনিটি বন্ধ রাখা সম্পর্কে তিনি বলেন, বর্ষাকালে আমাদের উৎপাদন বন্ধ থাকে। শিগগিরই উৎপাদনে ফিরে আসার তিনি স্বস্থি প্রকাশ করেন।

কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক এহসানুল হক তুষার ‘কারখানা চালু হয়েছে’ বলে ‘ব্যস্ততার কারণে’ কথা বলতে না পারায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। বিভিন্ন সূত্র জানায়, কারখানার সর্বোচ্চ সক্ষমতা ব্যবহার করতে গেলে প্রতিদিন ৩০০ টন কাঁচামাল প্রয়োজন হয়। যার বাজারমূল্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা। কারখানা চালু করতে অন্যান্য খরচসহ প্রতিদিন ১ কোটি টাকা ব্যয় হয় কোম্পানি কর্তৃপক্ষের। চলতি বছরের শুরুর দিকেই এমারাল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজের মিলে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।

অর্থ আত্মসাতের দায়ে একাধিক উদ্যোক্তার নামে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলা ও ব্যাংকের কাছে বড় দেনার কারণে কোনো ব্যাংকের কাছ থেকে চলতি মূলধন না পাওয়ায় উৎপাদন বন্ধ করে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি কারখানায় উৎপাদিত তেল বাজারে বিক্রি করে এর দাম তুলে আনতে কমপক্ষে ১৫ দিন সময় লাগবে। সে হিসেবে ধারাবাহিক উৎপাদনের যাওয়া কোম্পানির চলতি মূলধন দ্রুত উঠে আসবে বলে বিশেষজ্ঞ অনেকের ধারণা