3 bank lago শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩ ব্যাংকের চুরি যাওয়া তথ্যের খবর প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক ওয়েব সাইট ‘ডাটা ব্রিচ টুডে’। এতে বলা হয়, বাংলাদেশের তিনটি বাণিজ্যিক ব্যাংকসহ দক্ষিণ এশিয়ার মোট পাঁচটি ব্যাংকের তথ্য চুরি করেছে তুরস্কের হ্যাকারদের একটি দল।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ১০ কোটি মার্কিন ডলার অর্থ চুরির ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই দেশের আরো তিনটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের তথ্য চুরির খবর প্রকাশ করেছে। নাম না প্রকাশ করার শর্তে এক সাইবার গবেষকের বরাত দিয়ে বাংলাদেশের তিনটি ব্যাংক- ডাচ-বাংলা ব্যাংক, দ্য সিটি ব্যাংক ও সেনাবাহিনী পরিচালিত ট্রাস্ট ব্যাংকের চুরি যাওয়া তথ্যের একটি বিবরণ জানিয়েছে ‘ডাটা ব্রিচ টুডে’।

ওই গবেষক জানান, এর আগে কাতার এবং আরব আমিরাতে ব্যাংক দুটির চুরি হওয়া তথ্যের মতোই এই পাঁচটি ব্যাংকের চুরি হওয়া তথ্য খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হচ্ছে না। তবে এখনো সম্ভাব্য ঝুকির ব্যাপারে সচেতন থাকা উচিত। তার গবেষণায় উঠে এসেছে বাংলাদেশের তিনটি ব্যাংকের তথ্য চুরির বিবরণ:

ডাচ বাংলা ব্যাংক : হ্যাকারদের ফাঁস করা তথ্যে ডাচ বাংলা ব্যাংকের গ্রাহকদের ব্যাংকিং লেনদেনের ৩১২ কেবি আর্কাইভের রেকর্ড রয়েছে। এর মধ্যে কিছু তথ্য থেকে অ্যাডমিনের ইউজার নেম/ পাসওয়ার্ড সংক্রান্ত কিছু তথ্য তিনি পেয়েছেন। এসব তথ্য ব্যবহার করে পাবলিক ইন্টারনেট থেকে ব্যাংকের এটিএম ট্রানজেকশন অ্যানালাইজারে ঢুকতে পেরেছিলেন ওই গবেষক।

এবার ডাচ বাংলা-ট্রাস্ট-সিটি ব্যাংকের তথ্য চুরি: তিনি বলেন, ‘ওইসব ইউজার নেইম ও পাসওয়ার্ড খুবই সহজ (ডিফল্ট)। ডাচ বাংলা ব্যাংকের ওয়েবসাইটের ঝুঁকি রয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে। ফলে ব্যাংটির ইন্টারনেট সার্ভার বা ফাইলে অনুপ্রবেশের সুযোগ তৈরি হতে পারে।’

ট্রাস্ট ব্যাংক : হ্যাকারদের ফাঁস করা তথ্যে সবচেয়ে কম তথ্য পাওয়া গেছে ট্রাস্ট ব্যাংকের। ব্যাংটির তথ্যের পরিমাণ মাত্র ৯৬ কেবি। এর মধ্যে দুটি স্প্রেডশিট রয়েছে। এতে ইউজার আইডি, ই-মেইল অ্যাড্রেস, ইউজার নেম ও এনক্রিপটেড পাসওয়ার্ড রয়েছে। তথ্যগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সাম্প্রতিক তথ্যটি ২০১৫ সালের জুন মাসের।

দ্য সিটি ব্যাংক : এই ব্যাংকটির ১১.২ এমবি তথ্য চুরি হয়েছে। এতে একটি স্প্রেডশিট রয়েছে, যাতে ১০ লাখ গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য রয়েছে বলে জানিয়েছে ডেটা ব্রিচ টুডে। এসব ব্যক্তিগত তথ্যের মধ্যে ব্যাংকের গ্রাহকের পরিচয় ও ঠিকানাসহ বিস্তারিত তথ্য রয়েছে। সিটি ব্যাংকের সবচেয়ে সাম্প্রতিক তথ্যটি ২০১৫ সালের অগাস্ট মাসের।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার চুরি করে নিয়ে যায় হ্যাকাররা, যা বিশ্ব মিডিয়ায় তোলপাড় সৃষ্টি করে। চুরি যাওয়া অর্থের মধ্যে শ্রীলঙ্কা থেকে দুই কোটি ডলার উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে ফিলিপাইনে চলে যাওয়া আট কোটি ১০ লাখ ডলারের বেশিরভাগেরই কোনো হদিস মিলছে না। এই ঘটনায় পদত্যাগ করতে হয়েছে ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমানকে।