tonu comillaকুমিল্লা ব্যুরো:  কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজছাত্রী সোহাগী জাহান তনু হত্যা মামলায় পাঁচ সেনা সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। বৃহস্পতিবার বিকাল পৌনে ৫টা থেকে শুরু হওয়া জিজ্ঞাসাবাদ রাত সাড়ে ৯টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত চলছিল।

সেনা সদস্যদের জিজ্ঞাসা করছেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (সিআইডি) আব্দুল কাহার আকন্দ পিপিএম। তার সঙ্গে আছেন সিআইডির সিনিয়র এএসপি এহসান উদ্দিন, কুমিল্লা ও নোয়াখালী বিভাগের সিআইডির পুলিশ সুপার ড. নাজমুল করিম খানসহ কুমিল্লা জেলা ও গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তারা।

এর আগে, দুপুরে মামলার তদন্তে সহায়তা করতে তদন্ত সহায়ক দলের প্রধান সিআইডি ঢাকার সিনিয়র পুলিশ সুপার আবদুল কাহার আখন্দের নেতৃত্বে সিআইডির উচ্চ পর্যায়ের একটি টিম কুমিল্লায় পৌঁছে।

উল্লেখ্য, গত ২০ মার্চ রাতে কুমিল্লা সেনানিবাসের একটি জঙ্গল থেকে তনুর লাশ পাওয়া যায়। তাকে হত্যার করে লাশ ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। ঘটনাটি তদন্তে র‌্যাব, পুলিশসহ একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা মাঠে নামে। গত ৩১ মার্চ সন্ধ্যায় জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) থেকে মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে মামলাটি তারাই তদন্ত করছে।

এ ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে সারা দেশে চলছে বিক্ষোভ। বিশেষ করে ঘটনাটি ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় হওয়াতে বেশি স্পর্শকাতর হয়ে পড়েছে। তবে সপ্তাহখানেক পরে সেনাসদরদপ্তর থেকে বিবৃতি দিয়েছে জানানো হয়, তারাও তনুর ঘটনায় অত্যন্ত মর্মাহত। এ ব্যাপারে দায়িত্বপ্রাপ্তদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করারও আশ্বাস দেয়া হয়।

এদিকে প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে অনুমান করলেও তনুর প্রথম ময়নাতদন্ত রিপোর্টে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। তবে ঠিক কারণে তার মৃত্যু হয়েছে এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট করে কিছু না বলায় প্রতিবেদন নিয়েও সমালোচনা হয়েছে।  দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে লাশ তুলে নমুনা নেয়া হয়েছে। এখন সেই প্রতিবেদনের অপেক্ষা।