tonu comillaশেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, কুমিল্লা ব্যুরো: কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের অর্নাসের ছাত্রী সোহাগী জাহান তনুকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি। তনুর প্রথম ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এই তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। এমনকি রাসায়নিক ক্রিয়ায় তার মৃত্যু হয়নি। কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. কামতা প্রসাদ সাহা সোমবার তার ব্যক্তিগত চেম্বার নগরীর বাদুরতলায় সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, প্রথম ময়নাতদন্তের চিকিৎসক ডা. শারমিন সুলতানা দুপুরে তার কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। তিনি রিপোর্ট গ্রহণের জন্য আইনশৃংখলা বাহিনীর তদন্ত কর্মকর্তাকে ফোন করেছেন। তারা যে কোনো সময় রিপোর্ট নিতে পারবেন।

তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, পৃথিবীর ৫ ভাগ ময়নাতদন্তে মৃত্যুর নির্দিষ্ট কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না। কোনো প্রভাবে রিপোর্ট এমন হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘কোনো প্রভাব ময়নাতদন্তকে প্রভাবিত করেনি। চিকিৎসক যা পেয়েছেন, তাই উল্লেখ করেছেন।

তনুর পরিবারের দাবি- তার মাথার পেছনে আঘাত ছিল। মাথায় আঘাতের বিষয়ে মন্তব্য করেননি কামদা প্রসাদ সাহা। গত ২০ মার্চ রাত সাড়ে ১০টার দিকে তনুর লাশ সেনানিবাসে বাসার দুই-তিন শত গজ দূর থেকে উদ্ধার হয়। তার মাথার লম্বা চুল কাটা ছিল।

হত্যার ঘটনায় তার বাবা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের কর্মচারি ইয়ার হোসেন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের নামে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। এখন এ মামলার তদন্ত করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি।

গত ২১ মার্চ তনুর প্রথম ময়নাতদন্ত হয়। এরপর চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে ভিসেরা পাঠানো হয়। ভিসেরা রিপোর্ট রোববার কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আসে। ফরেনসিক ও মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক শারমিন সুলতানা প্রথম ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন দাখিল করেন। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ মার্চ দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্তের জন্য তনুর লাশ কবর থেকে তোলা হয়।

কুমিল্লার পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন জানান, কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. কামতা প্রসাদ সাহার নেতৃত্বে তিন সদস্যের মেডিক্যাল টিম তনুর লাশের আলামত সংগ্রহ করেছেন। পরে লাশ আগের কবরে দাফন করা হয়।

দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত সম্পর্কে ডা. কামদা প্রসাদ সাহা বলেন, বোর্ড গঠন করে দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। কিছু পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রামের প্রধান রাসায়নিক পরীক্ষাগারে আদামত পাঠানো হয়েছে। সেখানের রিপোর্ট পাওয়া সাপেক্ষে দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেওয়া হবে।