দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতার বিকল্প নেই। বাজার টানা দরপতনে দু:চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। তারা তাদের নতুন পুঁজি নিয়ে দু:চিন্তায় রয়েছেন। অধিকাংশ নতুন বিনিয়োগকারীরা তাদের পুঁজি হারাতে শোকে কাতর হয়ে গেছেন।

এ অবস্থায় বিনিয়োগকারীরা কি করবেন তা বুঝে উঠিতে পারছেন না। এখন যেন বাজার মরার উপর খরার ঘাঁ চলছে। তাই বর্তমান পুঁজিবাজার স্থিতিশীল করতে হলে ব্যাংকের এক্সপোজার লিমিট আরো ২ বছর বাড়ানো বিকল্প নেই বলে মনে করেন বাজার বিশ্লেষকরা।

সম্প্রতি বিএসইসি চেয়ারম্যান খায়রুল হোসেন বলেছেন, উন্নত মনিটরিং সেল, সার্ভিল্যান্স সফটওয়্যার, ডিমিউচুয়ালাইজেশন চালুসহ বেশকিছু পদক্ষেপ নেয়ায় পুঁজিবাজার এখন যেকোনো সময়ের তুলনায় স্থিতিশীল।

বিশ্বের উন্নত দেশের মতো বাংলাদেশের পুঁজিবাজার ‘এ’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে। স্থিতিশীল অবস্থার কারণে বিদেশীরাও এখানে বিনিয়োগে আগ্রহী হচ্ছেন। সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের প্রবৃদ্ধি অনেক বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে পুঁজিবাজার বিকাশের বিকল্প নেই।

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহম্মেদ বলেন, পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে ব্যাংকের অতিরিক্ত বিনিয়োগ সমন্বয়ে আরো দুই বছর সময় দেয়া উচিত। কারন বেসরকারি বিনিয়োগের প্রধান মাধ্যম শেয়ারবাজার। ২০১০ সালে বাজারের বিরূপ আচরণের কারণে অধিকাংশ লোক এখান থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ প্রত্যাহার করায় এ সংকট আরো তীব্র হয়েছে।

বিনিয়োগকারী সম্মিলিত জাতীয় ঐক্যের আহ্বায়ক রুহুল আমিন ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, পুঁজিবাজার আজ ধ্বংসের ধারপ্রান্তে চলছে। বিনিয়োগকারীরা বছরের পর বছর ধৈর্য্য ধরে কোন ফল পাচ্ছে  না। বাজার একটু স্বাভাবিক হতে না হতে একটার পর একটা আইন হচ্ছে।

এভাবে পুঁজিবাজার ধ্বংস হচ্ছে। তাই পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে ব্যাংকের অতিরিক্ত বিনিয়োগ সমন্বয়ে আরো দুই বছর বাড়ানো উচিত। এছাড়া বাজার স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কোনো ধরণের আইপিও দেয়া যাবে না।

উল্লেখ্য,গত শনিবার আ’লীগের বর্ষীয়ান নেতা ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, পুঁজিবাজার দেশের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এখানে আরও বহুজাতিক কোম্পানি নিয়ে আসা হবে। পুঁজিবাজারে ব্যাংকের এক্সপোজার লিমিট ২ বছর বাড়ানো উচিত বলে মনে করেন তিনি। এছাড়া ২০১৬ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত এই সময়সীমা বেঁধে দেওয়া ঠিক না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

শহিদুল ইসলাম