পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বেসরকারি টেলিযোগাযোগ খাতের সর্ববৃহৎ বিদেশি কোম্পানি গ্রামীণফোন লিমিটেড (জিপি) বিনিয়োগের চেয়ে বহুগুণ অর্থ মাদার কোম্পানি টেলিনর গ্রুপে প্রত্যাবাসিত বা পাচার করছে। নিট লাভের চেয়ে অধিক গুণ বেশি হারে লভ্যাংশ প্রদানের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত জিপি প্রতি বছরই মূল বিনিয়োগকৃত অর্থের দেড় বা দ্বিগুণ মুনাফা করে তাদের মূল কোম্পানিতে প্রত্যাবাসিত করছে। পাশাপাশি জিপির বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অনিয়মের অভিযোগ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, গ্রামীণফোন নরওয়ের টেলিনর গ্রুপের মাধ্যমে ১৯৯৬ সালে লাইসেন্স প্রাপ্তির পরবর্তী বছরেই তাদের পরিচালনা কার্যক্রম শুরু করে। তখন কোম্পানিতে ৬২ শতাংশ মালিকানা ছিল বিদেশি বিনিয়োগকারী নরওয়েজিয়ান কোম্পানিটির হাতে। বাকি ৩৮ শতাংশ ছিল গ্রামীণের বিভিন্ন অঙ্গ প্রতিষ্ঠানের কাছে। ২০০৯ সালে এটি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মাধ্যমে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হয়।

গ্রামীণফোনের আর্থিক বিবরণী থেকে জানা যায় ২০০৭ সাল নাগাদ বিদেশি টেলিনর কোম্পানির বিনিয়োগ ছিল ৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর বিপরীতে শুধু ২০০৪ সালে শত ভাগ, ২০০৫ সালে পঞ্চাশ ভাগ, ২০০৬ ও ২০০৭ সালে ষাট শতাংশ নগদ লভ্যাংশ তাদের মূল কোম্পানিতে মুনাফার আকারে নিয়ে গেছে।

সবচেয়ে অবাক করার বিষয় ২০০৯ সালে সরকারের বিভিন্ন মহল থেকে যখন গ্রামীণফোনের ওপর পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার চাপ আসতে থাকল তখন ২০০৮ সালে পরিচালনা পর্ষদ প্রতিটি সাধারণ শেয়ারের বিপরীতে চারটি শেয়ার লভ্যাংশ আকারে অনুমোদন করল অর্থাৎ এক লাফে তাদের বিনিয়োগ পাঁচ গুণ করে ফেলা হলো। যদিও একটি ডলারও বিদেশ থেকে কোম্পানিটিতে পুনর্বিনিয়োগ হয়নি! এই অর্থ বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ থেকে আয়কৃত মুনাফা অর্থ।

এরপর অনেক গড়িমসির পর মাত্র ১০ শতাংশ নতুন শেয়ার ইস্যুর শর্তে তারা পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হলো। তাও ফেস ভ্যালু বা অভিহিত মূল্যের সাত গুণ দাম নির্ধারণ করে। অর্থাৎ বাংলাদেশের মানুষকে উদ্যোক্তাদের সমস্কেলে আসতে হলে ৩৫ গুণ টাকা খরচ করতে হলো। ১৪ বছরের মাথায় (১৯৯৬ সাল  থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত) পৃথিবীর আর কোনো  দেশে অথবা কোন ব্যবসায় মূল অর্থ ৩৫ গুণ বৃদ্ধি করে ফেলা যায়? এটা প্রশ্নবিদ্ধ বলে মত দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা যায়, বর্তমানে গ্রামীণফোনের মালিকানার ৯০ শতাংশ টেলিনর গ্রুপ,৩ দশমিক শুন্য ছয় শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগকারীদের হাতে,৪ দশমিক ১৩ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী আর মাত্র ২ দশমিক ৮১ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।

২০০৯ সালে কোম্পানিটি ফের নগদ লভ্যাংশের দিকে ঝুঁকে পড়ে। এ বছর ৬০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়। পরে ২০১০ সালে দু’দফায় মিলে ১২০ শতাংশ, ২০১১ সালে ২০৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ, ২০১২ সালে ও ২০১৩ সালে ১৪০ শতাংশ,২০১৪ সালে ১৬০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন করা হয়।

জিপির আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৩ সালে কোম্পানির নিট প্রফিট ছিল ১ হাজার ৪৭০ কোটি টাকা। অথচ কোম্পানিটি নগদ লভ্যাংশের মাধ্যমে শেয়ার হোল্ডারদের দিয়েছে ২ হাজার ৫৮ কোটি টাকা। এভাবে ২০১২ সালে জিপির ১ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার নিট মুনাফা হলেও লভ্যাংশ বিতরণ করা হয় ২ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা।

আরো জানা যায়, ২০১১ সালে শেয়ার হোল্ডারদের ২০৫ শতাংশ লভ্যাংশের মাধ্যমে জিপি শেয়ার হোল্ডারদের দিয়েছে ৩ হাজার ৮৭৪ কোটি টাকা। কিন্তু তাদের লাভ ছিল ১ হাজার ৮৯০ কোটি টাকা। এভাবে জিপির উদ্বৃত্ত তহবিল থেকে ২০১৩ সালে নিট লাভের চেয়েও ৫৮৮ কোটি টাকা,২০১২ সালে ৭০০ কোটি টাকা ও ২০১১ সালে ১ হাজার ৯৮৪ কোটি টাকা বেশি লভ্যাংশ দিয়েছে। যেহেতু ৫৬ শতাংশ বেশি শেয়ার টেলিনর কোম্পানীর। ফলে মোট লাভের অধিকাংশ টাকাটাই তারা নরওয়েতে নিয়ে গেছেন।

আর মাত্র ২ দশমিক ৮১ শতাংশ  সাধারণ শেয়ারের বিপরীতে সামান্য টাকা পেয়েছে এদেশের পুঁজিবাজারের ক্ষুদ্র নগন্য বিনিয়োগকারীরা। কোম্পানিটি তাদের মুনাফার অংশ বাবদ প্রতিবছর মিলিয়ন মিলিয়ন মার্কিন ডলার নিয়ে যাচ্ছে। এভাবে  জিপি লভ্যাংশের সঙ্গে মূল বিনিয়োগের টাকাও তুলে নিচ্ছে। উদ্বৃত্ত তহবিল থেকে নিট লাভের চেয়েও বেশি গুন লভ্যাংশ প্রদানের ফলে কোম্পানিটি ভবিষ্যতে ঝুঁকির মধ্যে পড়বে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০০৯-২০১০ অর্থবছরে এদেশ থেকে প্রায় ৯শ কোটি টাকা নিয়ে গেছে জিপি। যা ওই বছরে নরওয়ের টেলিনর কোম্পানির প্রতিনিধিত্বকারী এ প্রতিষ্ঠানটির বিদেশ থেকে আনীত বিনিয়োগের ৩৫ গুণেরও বেশি। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) সূত্রে এ তথ্য জানা

সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পাওয়া হিসাব অনুযায়ী ২০০৯-১০ অর্থবছরে গ্রামীণ ফোন এদেশে ২৪ কোটি ১৪ লাখ টাকা আনলেও এর বিপরীতে ৮শ ৬৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা মূল কোম্পানিতে পাঠিয়েছে। একইভাবে ওরাসকম টেলিকম বা বাংলালিংক ২শ ৪০ কোটি ৪২ লাখ টাকা এনে ৫শ ৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকা পাঠিয়েছে। একজিয়াটা বা রবি ৩শ ৩২ কোটি ৪৮ লাখ টাকা এনে ৬শ ৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা পাঠিয়েছে।

প্যাসিফিক টেলিকম বা সিটিসেল ৭৪ কোটি ৭৮ লাখ টাকা এনে ১শ ২৩  কোটি ৫২ লাখ টাকা পাঠিয়েছে। এছাড়া রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি  টেলিটকের জন্য বিদেশ থেকে মাত্র ৩৩ লাখ টাকা এনেও তারা পাঠিয়েছে ৫১ কোটি ৬২ লাখ টাকা। তুলনামূলকভাবে ওই অর্থবছরে মোবাইল কোম্পানিগুলোতে বিদেশ থেকে আসা মোট অর্থের চেয়ে পাঠানো অর্থের পরিমাণ ছিল কম। এর একমাত্র কারণ এয়ারটেলের বিশাল বিনিয়োগ। ওই বছরে তারা ২ হাজার ১৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা এদেশে এনেছে। কিন্তু তারা নিয়েছে ৩শ ৩৬ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।

এ প্রসঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড.এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, নিট লাভের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি লভ্যাংশ ঘোষণা করার বিষয়টি আইনগতভাবে কোন বিধি নিষেধ আছে কিনা তা পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে খতিয়ে দেখা উচিত। এটা সত্য যে, বিনিয়োগের চেয়ে বেশিগুণ অর্থ লাভের আশায় তারা এদেশে বিনিয়োগ করে। তাদের এই অর্থ মূল কোম্পানিতে প্রত্যাবাসন বেআইনি নয়। তবে বিদেশ থেকে কোম্পানিটিতে পুনর্বিনিয়োগ না হওয়া সমীচীন নয়।

সূত্র মতে, এসবের পাশপাশি জিপি নানা অনিয়মের সাথে জড়িত। ২০০৭ ও ২০০৮ সালে অবৈধ ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল (ভিওআইপি) ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রামীণফোনকে দুই দফায় প্রায় ৪শত ১৮ কোটি টাকা জরিমানা করে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি)। ২০০৮-০৯ সালে নিয়মবহির্ভূতভাবে কর রেয়াত ও রেলওয়ের ইজারা বাবদ গ্রামীণফোনের কাছে সরকারের পাওনা দাঁড়ায় ৬৫ কোটি টাকারও বেশি।

মোবাইল ফোনের সিম কার্ড সম্পর্কে তারা বলছে এটা তাদের অরিজিনাল কোম্পানির সিম এবং সেখান থেকেই তারা নিয়ে আসছেন। এদেশে যদি এটা পাওয়াও যায়, তবু তারা এটা কিনতে বাধ্য নয়। এদেশে যদি এটার দাম ৫ টাকাও হয়, তারা তাদের দেশ থেকে এটা ২৫ টাকা দেখিয়ে কিনে আনেন।

তার মানে তারা একটা লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) খুলছেন। ফলে,এদেশের ৫ টাকার বদলে তারা ২৫ টাকা নিয়ে যাচ্ছে। জিপির একটি সার্ভিস মোবিক্যাশের মাধ্যমে মোবাইল ফোনে টাকা লেনদেন করা হচ্ছে। যা সুস্পষ্ট ব্যাংক কোম্পানি আইনের লঙ্ঘন; অবৈধ ব্যাংকিংয়ের আওতায় পড়ে। এছাড়া জিপির বিরুদ্ধে শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া  গেছে। ১৯৯৭ সালে এ প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু থেকে এ পর্যন্ত শত শত কর্মকর্তা-কর্মচারী স্থায়ী নিয়োগের মাধ্যমে কাজ করতে থাকেন।

কিন্তু প্রতারণার মাধ্যমে শ্রমিকদের  বেতন-ভাতা কম দিয়ে বহুজাতিক এ কোম্পানিটি দেশের শত শত শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করে আসছে। তবে প্রতিকারের কোনো উপায় না পেয়ে নীরবেই এ বঞ্চনা সহ্য করে যাচ্ছেন জিপির  শ্রমিক-কর্মচারীরা। জিপির লিমিটেডের শ্রমিক-কর্মচারীর নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় আন্তর্জাতিক গ্রুপ  টেলিনরের আইন অনুযায়ী। আর শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতার কাঠামোও নির্ধারণ করে দেয় টেলিনর গ্রুপ। এদেশে কার্যক্রম শুরুর পর থেকেই জিপি শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন ভাতা দিয়ে আসছে টাকার অংকে।

অথচ টেলিনর  গ্রুপ সারা বিশ্বে তাদের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা দেয় আন্তর্জাতিক মানদন্ডে বা ডলারে। টেলিনরের ২০০৬ সালের বেতন কাঠামো অনুযায়ী একজন অফিস সহকারীর বেতন ছিল ৩৫০ ডলার। টাকার অংকে যার পরিমাণ (গতকালের ডলারের হিসাব) ২৭ হাজার ১৭০ টাকা। অথচ ওই সময় একজন অফিস সহকারী জিপির কাছ থেকে পেতেন মাত্র ৪ হাজার ৪০০ টাকা। এভাবে বিভিন্ন ক্যাটাগরির শত শত শ্রমিক-কর্মচারীকে বছরের পর বছর ধরে ঠকিয়ে আসছে জিপি।

অভিযোগ রয়েছে, দেশে কর্মরত জিপির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা টেলিনরের কাছ  থেকে ডলারে বেতন-ভাতা আনছেন। অথচ কর্মচারীদের টাকার অঙ্কে বেতন ভাতা দিচ্ছেন। এভাবে শ্রমিকদের সঙ্গে প্রতারণা করে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করছেন তারা।

অর্থনীতিবিদদের মতে, এ বহুজাতিক মোবাইল প্রতিষ্ঠান তাদের বিনিয়োগের কয়েকগুণ মুনাফা হিসেবে তাদের নিজ দেশে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি পাচ্ছে। জিপির শেয়ার বাংলাদেশের নাগরিকরা খুব অল্প সংখ্যকই পাচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দেশের জনগণের মধ্যে যদি অনেক পরিমাণে ছাড়া হতো তাহলে দেশের অর্থনীতি থেকে মুনাফা হিসেবে বিদেশে এতে বেশি টাকা যাওয়ার সুযোগ তৈরি হতো না। তাদের অভিমত, বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো যে পরিমাণ মূলধন এদেশে বিনিয়োগ করে তারচেয়ে বেশি মুনাফা নিজ কোম্পানিতে পাচার করায় অর্থনীতিতে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। মুনাফার অর্থ বিনিয়োগকারী তার নিজের দেশে পাঠানোর কারণে বিনিয়োগকৃত দেশের লেনদেনের ভারসাম্যে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।

এ ব্যাপারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন অর্থনীতিবিদ বলেন,  এসব কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ায় তাদের আর্থিক বিবরণী পর্যালোচনার মাধ্যমে তাদের এসব তথ্য পাওয়া যায়। কিন্তু এদেশের  বেশিরভাগ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগকৃত প্রকল্পের কোম্পানিগুলো এ তালিকার বাইরে রয়ে গেছে। তাই আমাদের  কাছে বোধগম্য নয়, কী পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা তারা বিনিয়োগ করছে, আর, কতোটুকুই বা তারা নিজেদের  দেশে মুনাফার আকারে নিয়ে যাচ্ছে?

এসব ব্যাপারে মতামত জানতে জিপির জনসংযোগ কর্মকর্তা (ডিজিএম) মো:হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এসব বিষয়ে মতামত দেয়া তার এখতিয়ার বহির্ভূত। তাহলে এবিষয়ে কে মতামত দিবেন, জানতে চাইলে তিনি এসংক্রান্ত তথ্যপ্রমাণ নিয়ে তার সাথে যোগাযোগ করতে বলেন।

বিশেষ প্রতিবেদক