ডিএসই, শেয়ারবাজার, বিএসইসি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১৫ কোম্পানি অস্বাভাবিক শেয়ারের দর বাড়ার কারন খুঁজতে এবার শোকজ করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। শেয়ার দরে অস্বাভাবিক উল্লম্ফনের পেছনে কারসাজি বা বিধি বহির্ভুতভাবে মূল্য সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশ হয়েছে কিনা জানতে চেয়ে ডিএসই এ শোকজ প্রদান করেন। উল্লেখ্য এর আগে ১২ কোম্পানি শেয়ারদর অস্বাভাবিক বাড়ার কারনে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি)এদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য শিগগিরই তদন্ত শুরু করছে।

(বিএসইসি)সার্ভিল্যান্স বিভাগ অধিকাংশই স্বল্পমূলধনী ও জুন ক্লোজিং হওয়ায় শেয়ার দরে অস্বাভাবিক পরিবর্তনের পেছনে কারসাজি হচ্ছে এ কারনে তদন্ত করছে। এ কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে জেমিনি সি ফুডের শেয়ার দর ৯০ শতাংশ, জাহিন স্পিনিং এর শেয়ার দর ৪৬ দশমিক ৩৪ শতাংশ, ফার কেমিক্যালের শেয়ার দর ২২ দশমিক ৩৯ শতাংশ, জাহিন টেক্সটাইলের শেয়ার দর ২৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ, আলহাজ্ব টেক্সটাইলের শেয়ার দর ৪৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ, সিভিও পেট্রোকেমিক্যালের শেয়ার দর ২৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ, বিডি ওয়েল্ডিং এর শেয়ার দর ৩৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ, রেনউইক যজ্ঞেস্বরের শেয়ার দর ২০ দশমিক ৮৫ শতাংশ, কাশেম ড্রাইসেলের শেয়ার দর ২৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং এর শেয়ার দর ৩৫ শতাংশ, বিচ হ্যাচারির শেয়ার দর ২৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ এবং মুন্নু জুট স্টাফলারের শেয়ার দর ২৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ বেড়েছে। অপরদিকে অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারদর ৭ দশমিক ৫১ শতাংশ কমেছে।

বিএসইসি’র সার্ভিল্যান্স বিভাগের এক ঊর্ধতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ডিএসই-তে তালিকাভুক্ত সাম্প্রতিক সময়ে যেসব কোম্পানির শেয়ার দরে অস্বাভাবিক হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটছে সেগুলো আমাদের নজরদারিতে আছে। কারসাজির কোন ঘটনা ঘটেছে কিনা সে বিষয়ে তদন্ত চলছে। কারসাজি প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে দর বাড়তে পারে এমন কোন তথ্য প্রকাশ হয়নি বলে নোটিশের জবাবে বলা হয়। এই কোম্পানিগুলোর মধ্যে লিব্রা ইনফিউশনের শেয়ার দর ৩১ শতাংশ, কোহিনূর কেমিক্যালসের শেয়ার দর ২৩ শতাংশ, এটলাস বাংলাদেশের শেয়ার দর ২১ শতাংশ, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টসের শেয়ার দর ২০ শতাংশ, নর্দার্ণ জুটের শেয়ার দর ৪৭ শতাংশ,  জেমিনি সি ফুডের শেয়ার দর ৯০ শতাংশ, জাহিন স্পিনিং এর শেয়ার দর ৪৭ শতাংশ, ফার কেমিক্যালের শেয়ার দর ২৩ শতাংশ, জাহিন টেক্সটাইলের শেয়ার দর ২৮ শতাংশ, আলহাজ্ব টেক্সটাইলের শেয়ার দর ৪৫ শতাংশ, সিভিও পেট্রোকেমিক্যালের শেয়ার দর ২৯ শতাংশ, বিডি ওয়েল্ডিং এর শেয়ার দর ৩৯ শতাংশ, রেনউইক যজ্ঞেস্বরের শেয়ার দর ২১ শতাংশ এবং মুন্নু জুট স্টাফলারের শেয়ার দর ২৫ শতাংশ বেড়েছে। অপরদিকে অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারদর ৮ শতাংশ কমেছে। এর মধ্যে অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার দরে কারসাজির অভিযোগে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) তদন্ত করছে।

অন্য কোম্পানিগুলোর বিষয়ে বিএসইসি’র সার্ভিলেন্স বিভাগের এক উর্ধতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, যেহেতু কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে কোন মূল্য সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশ হয়নি তাই এইখানে অন্য কোন পক্ষ থেকে কারসাজি হয়েছে কিনা আমরা খতিয়ে দেখবো। কারসাজির ঘটনা ঘটে থাকলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

লিব্রা ইনফিউশন: ওষধ ও রসায়ন খাতের জুন ক্লোজিং এক কোটি ২৫ লাখ টাকা মূলধনী এ কোম্পানিটির শেয়ার দর আগস্টের ২ তারিখে ছিল ৩৩৭ দশমিক ১০ টাকা। ১০ আগস্ট লেনদেন শেষে এ কোম্পানিটির শেয়ারদর হয়েছে ৪৪০ দশমিক ৫০ টাকা। অর্থাৎ মাত্র ৬ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৩১ শতাংশ। বর্তমানে কোম্পানিটির পিই রেশিও ১৪১ দশমিক ৯৭। ২০১৫ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির কর পরিশোধের পর নীট মুনাফা হয়েছে ২৬ লাখ টাকা। ২০১৪ অর্থবছরে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ২০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

কোহিনূর: ওষধ ও রসায়ন খাতের জুন ক্লোজিং ১০ কোটি ১৬ লাখ টাকা মূলধনী এ কোম্পানিটির শেয়ার দর জুলাই এর ২৮ তারিখে ছিল ৩৪৫ দশমিক ৩০ টাকা। ১১ আগস্ট লেনদেন শেষে এ কোম্পানিটির শেয়ারদর হয়েছে ৪২৪ দশমিক ১০ টাকা। অর্থাৎ মাত্র ১০ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ২৩ শতাংশ। বর্তমানে কোম্পানিটির পিই রেশিও ৫০ দশমিক ৪২। ২০১৫ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির কর পরিশোধের পর নীট মুনাফা হয়েছে ৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা। ২০১৪ অর্থবছরে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ২৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

এটলাস বাংলাদেশ: প্রকৌশল খাতের জুন ক্লোজিং ২৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা মূলধনী এ কোম্পানিটির শেয়ার দর জুলাই এর ২৬ তারিখে ছিল ১২৮ দশমিক ৫০ টাকা। ১৩ আগস্ট লেনদেন শেষে এ কোম্পানিটির শেয়ার দর হয়েছে ১৫৫ দশমিক ১০ টাকা। অর্থাৎ মাত্র ১৪ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ২১ শতাংশ। ২০১৫ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটি ২ কোটি ২১ লাখ টাকা লোকসান করেছে। ২০১৪ অর্থবছরে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ৩৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

ইস্টার্ন লুব্রিকেন্ট: বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের জুন ক্লোজিং এক কোটি টাকা মূলধনী এ কোম্পানিটির শেয়ার দর আগস্টের ৩ তারিখে ছিল ৩৫১ দশমিক ৫০ টাকা। ৯ আগস্ট লেনদেন শেষে এ কোম্পানিটির শেয়ার দর হয়েছে ৪১৯ দশমিক ২০ টাকা। অর্থাৎ মাত্র ৪ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ২০ শতাংশ। ২০১৫ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটি ১৮ লাখ টাকা নীট মুনাফা করেছে। ২০১৪ অর্থবছরে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ৩০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

নর্দার্ণ জুট: পাট খাতের জুন ক্লোজিং এক কোটি ৭৯ লাখ টাকা মূলধনী এ কোম্পানিটির শেয়ার দর জুলাই এর ২৯ তারিখে ছিল ১৯৪ দশমিক ১০ টাকা। ১২ আগস্ট লেনদেন শেষে এ কোম্পানিটির শেয়ার দর হয়েছে ২৮৫ দশমিক ১০ টাকা। অর্থাৎ মাত্র ১০ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৪৭ শতাংশ। ২০১৫ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটি ২৩ লাখ টাকা নীট মুনাফা করেছে। ২০১৪ অর্থবছরে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ ক্যাশ ও ৫ শতায়শ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

জাহিন স্পিনিং: বস্ত্র খাতের ডিসেম্বর ক্লোজিং ৭৪ কোটি ৫২ লাখ টাকা মূলধনী এ কোম্পানিটির শেয়ারদর জুলাই মাসের ২৩ তারিখে ছিল ২০ দশমিক ৫০ টাকা।  ১০ আগস্ট লেনদেন শেষে এ কোম্পানিটির শেয়ারদর হয়েছে ৩০ টাকা। অর্থাৎ মাত্র ১২ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৪৬ দশমিক ৩৪ শতাংশ। বর্তমানে কোম্পানিটির পিই রেশিও ১৫ দশমিক ৬৮। ২০১৫ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির কর পরিশোধের পর নীট মুনাফা হয়েছে ৭ কোটি ১৭ লাখ টাকা। ২০১৪ অর্থবছরে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ১৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

ফার কেমিক্যাল: ওষধ ও রসায়ন খাতের জুন ক্লোজিং ১০৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা মূলধনী এ কোম্পানিটির শেয়ার দর জুলাই মাসের ১৩ তারিখে ছিল ৪৬ টাকা।  ১০ আগস্ট লেনদেন শেষে এ কোম্পানিটির শেয়ার দর হয়েছে ৫৬ দশমিক ৩০ টাকা। অর্থাৎ মাত্র ১৬ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ২২ দশমিক ৩৯ শতাংশ। বর্তমানে কোম্পানিটির পিই রেশিও ১৭ দশমিক ৫৪। ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির কর পরিশোধের পর নীট মুনাফা হয়েছে ২৬ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ২০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। এর আগে সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের কারণে কোম্পানিটিকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছিল বিএসইসি।

জাহিন টেক্সটাইল: বস্ত্র খাতের জুন ক্লোজিং ৬২ কোটি ৬২ লাখ টাকা মূলধনী এ কোম্পানিটির শেয়ারদর জুলাই মাসের ১৩ তারিখে ছিল ১৬ দশমিক ২০ টাকা।  ১০ আগস্ট লেনদেন শেষে এ কোম্পানিটির শেয়ারদর হয়েছে ২০ দশমিক ৭০ টাকা। অর্থাৎ মাত্র ১৬ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ২৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ। বর্তমানে কোম্পানিটির পিই রেশিও ১৫ দশমিক ০৭। ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির কর পরিশোধের পর নীট মুনাফা হয়েছে ৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। ২০১৩-২০১৪ অর্থ বছরে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

আলহাজ্ব টেক্সটাইল: বস্ত্র খাতের জুন ক্লোজিং ১৫ কোটি ২৩ লাখ টাকা মূলধনী এ কোম্পানিটির শেয়ারদর জুলাই মাসের ১২ তারিখে ছিল ৯০ টাকা।  ১১ আগস্ট লেনদেন শেষে এ কোম্পানিটির শেয়ারদর হয়েছে ১৩১ দশমিক ৮০ টাকা। অর্থাৎ মাত্র ১৮ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৪৬ দশমিক ৪৪ শতাংশ। বর্তমানে কোম্পানিটির পিই রেশিও ১২১ দশমিক ৪১। ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির কর পরিশোধের পর নীট মুনাফা হয়েছে এক কোটি ২২ লাখ টাকা। ২০১৩-২০১৪ অর্থ বছরে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ২০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। কোম্পানিটি গত কয়েক বছর ধরে ক্রেডিট রেটিং করেনি।

সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল: বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের জুন ক্লোজিং ১৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা মূলধনী এ কোম্পানিটির শেয়ারদর জুলাই মাসের ৩০ তারিখে ছিল ৩৪৮ টাকা।  ১১ আগস্ট লেনদেন শেষে এ কোম্পানিটির শেয়ারদর হয়েছে ৪৪৮ দশমিক ৪০ টাকা। অর্থাৎ মাত্র ৮ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ২৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ। বর্তমানে কোম্পানিটির পিই রেশিও ৬৫ দশমিক ০৫। ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির কর পরিশোধের পর নীট মুনাফা হয়েছে ১০ কোটি ২৩ লাখ টাকা। ২০১৩-২০১৪ অর্থ বছরে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। বর্তমানে কোম্পানিটি ৫ কোটি ১০ লাখ টাকা পুঞ্জিভুত লোকসানে রয়েছে। কিন্তু কোম্পানিটি ক্রেডিট রেটিং করেনি। এর আগে চলতি বছরের শুরুতে অস্বাভাবিকহারে শেয়ার দর বাড়ার ঘটনা তদন্তে কমিটি করেছিল বিএসইসি। সেজন্য বেশকিছু প্রতিষ্ঠান ও বিনিয়োগকারীকে জরিমানার সম্মুখীন হতে হয়েছে।

বিডি ওয়েলডিং: প্রকৌশল খাতের ডিসেম্বর ক্লোজিং ৪২ কোটি ৯২ লাখ টাকা মূলধনী এ কোম্পানিটির শেয়ারদর জুলাই মাসের ১২ তারিখে ছিল ১৯ দশমিক ৫০ টাকা।  ৯ আগস্ট লেনদেন শেষে এ কোম্পানিটির শেয়ারদর হয়েছে ২৭ টাকা। অর্থাৎ মাত্র ১৭ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৩৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ।  ২০১৫ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটি লোকসানে রয়েছে। ২০১৪ অর্থ বছরে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। গত দুই বছর ধরে কোম্পানিটি ক্রেডিট রেটিং করছে না।

জেমিনি সি ফুড: খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের সেপ্টেম্বর ক্লোজিং এক কোটি ১০ লাখ টাকা মূলধনী এ কোম্পানিটির শেয়ারদর জুলাই মাসের ২৩ তারিখে ছিল ২৫০ টাকা।  ১০ আগস্ট লেনদেন শেষে এ কোম্পানিটির শেয়ারদর হয়েছে ৪৭৫ দশমিক ৪০ টাকা। অর্থাৎ মাত্র ১২ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৯০ শতাংশ। বর্তমানে কোম্পানিটির পিই রেশিও ৪০ দশমিক ০৩। ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির কর পরিশোধের পর নীট মুনাফা হয়েছে ৯৭ লাখ টাকা। ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের সাড়ে ৭ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

রেনউইক যজ্ঞেস্বর: প্রকৌশল খাতের জুন ক্লোজিং ২ কোটি টাকা মূলধনী এ কোম্পানিটির শেয়ারদর জুলাই মাসের ২৯ তারিখে ছিল ২৪২ দশমিক ৬০ টাকা।  ১১ আগস্ট লেনদেন শেষে এ কোম্পানিটির শেয়ারদর হয়েছে ২৯৩ দশমিক ২০ টাকা। অর্থাৎ মাত্র ৯ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ২০ দশমিক ৮৫ শতাংশ। বর্তমানে কোম্পানিটির পিই রেশিও ৭৫ দশমিক ০৫। ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির কর পরিশোধের পর নীট মুনাফা হয়েছে ৫৮ লাখ টাকা। ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ২২ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। কিন্তু কোম্পানিটি গত কয়েক বছর ধরে ক্রেডিট রেটিং করেনি।

মুন্নু জুট স্টাফলার: পাট খাতের ডিসেম্বর ক্লোজিং ৪০ লাখ টাকা মূলধনী এ কোম্পানিটির শেয়ারদর আগস্ট মাসের ২ তারিখে ছিল ২৩৫ টাকা।  ১১ আগস্ট লেনদেন শেষে এ কোম্পানিটির শেয়ারদর হয়েছে ২৯৩ টাকা। অর্থাৎ মাত্র ৭ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ২৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ। বর্তমানে কোম্পানিটির পিই রেশিও ৪১৪ দশমিক ৭১। ২০১৫ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির কর পরিশোধের পর নীট মুনাফা হয়েছে এক লাখ ৪০ হাজার টাকা। ২০১৪ অর্থবছরে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। কিন্তু কোম্পানিটি গত কয়েক বছর ধরে ক্রেডিট রেটিং করেনি।

অলটেক্স: বস্ত্র খাতের জুন ক্লোজিং ৫২ কোটি ৮০ লাখ টাকা মূলধনী এ কোম্পানিটির শেয়ার দর জুলাই এর ৩০ তারিখে ছিল ২৬ দশমিক ৪০ টাকা। ১২ আগস্ট লেনদেন শেষে এ কোম্পানিটির শেয়ার দর হয়েছে ২৪ দশমিক ৫০ টাকা। অর্থাৎ মাত্র ৯ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার দর কমেছে ৮ শতাংশ। ২০১৫ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটি ৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকা নীট মুনাফা করেছে। ২০১৪ অর্থবছরে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। এদিকে শেয়ার কারসাজির অভিযোগে কোম্পানিটির বিরুদ্ধে তদন্ত করছে বিএসইসি।

 

আমিনুল ইসলাম

সিনিয়র রিপোর্টার

শেয়ার বার্তা ২৪ ডটকম