শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা অনুযায়ী, দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির ফ্রি ফ্লোট শেয়ারের সংখ্যা ১০ শতাংশে উন্নীত হচ্ছে। কোম্পানির উদ্যোক্তারা পাবলিক মার্কেটে শেয়ার ছাড়া শুরু করতে যাচ্ছেন।

গত আগস্টে কোম্পানির একজন উদ্যোক্তা শেয়ার ছাড়ার ঘোষণা দেওয়ার পর গতকাল ১৪ আগস্ট আরেক উদ্যোক্তা পরিচালক শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গিয়েছে।

জানা যায়, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের উদ্যোক্তা পরিচালক এসএম মাহবুবুল আলম তার কাছে থাকা কোম্পানির ৫ কোটি ৪০ লাখ শেয়ারের মধ্যে ১ লাখ শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন। ডিএসইর পাবলিক মার্কেটে আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে বিদ্যমান বাজারদরে এ শেয়ার ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

চলতি বছরের ২৫ আগস্ট ডিএসইর মাধ্যমে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের উদ্যোক্তা পরিচালক এসএম আশরাফুল আলম তার কাছে থাকা কোম্পানিটির ৬ কোটি ৬০ লাখ শেয়ারের মধ্যে ১ লাখ শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দেন। তিনি ডিএসইর পাবলিক মার্কেটের মাধ্যমে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে বিদ্যমান বাজারদরে এ শেয়ার ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন।

দুই স্টক এক্সচেঞ্জে জমা দেওয়া কোম্পানিটির শেয়ারধারণ প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি বছরের আগস্টে কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালক এসএম আশরাফুল আলম ৪৪ হাজার ১৮৪টি, সেপ্টেম্বরে ৭ হাজার ৯১৬টি এবং নভেম্বরে ১২ হাজার ৯১৬টি শেয়ার বিক্রি করেছেন।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত তিন কোম্পানি ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ ও বার্জার পেইন্ট বাংলাদেশকে এক বছরের মধ্যে ফ্রি ফ্লোট শেয়ারের পরিমাণ ১০ শতাংশে উন্নীত করার নির্দেশনা দিয়েছিল বিএসইসি। এর পরিপ্রেক্ষিতে কমিশনের কাছে তিন বছরের মধ্যে ৪ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ শেয়ার ছাড়ার প্রস্তাব দেয় ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ।

বাকি ৫ শতাংশ শেয়ার পরবর্তী সময়ে ছাড়ার কথা জানায় কোম্পানিটি। তবে কমিশনের পক্ষ থেকে ন্যূনতম ১০ শতাংশ শেয়ার ছাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করার কথা বলা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে এ বছরের মে মাসে ওয়ালটনের পক্ষ থেকে শেয়ার ছাড়ার বিষয়ে একটি পরিমার্জিত প্রস্তাব দেয়া হয়। এ প্রস্তাব অনুসারে ৪ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ শেয়ার ওয়ালটনের ট্রাস্ট ও উদ্যোক্তা পরিচালকদের সন্তানদের মধ্যে বণ্টন করা হবে।

আর বাকি ৫ শতাংশ শেয়ার তিন বছরে পুঁজিবাজারে ছাড়া হবে। কোম্পানিটির এ প্রস্তাবের বিষয়টি পর্যালোচনা করে কমিশন পাবলিক মার্কেটে ন্যূনতম ১০ শতাংশ শেয়ার ছাড়ার কথা জানায়। এক্ষেত্রে সময়সীমার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না দিয়ে আপাতত কোম্পানিটিকে শেয়ার ছাড়তে বলা হয়।