শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত উসমানিয়া গ্লাস শীট ফ্যাক্টরী গ্রাহকদের কাছ থেকে পাওনা টাকা দীর্ঘদিন ধরে আদায় না হওয়া সত্ত্বেও কোন সঞ্চিতি (প্রভিশনিং) গঠন করছে না। এ নিয়ে কোম্পানিটির ২০২১-২২ অর্থবছরের আর্থিক হিসাব নিরীক্ষায় নিরীক্ষক আপত্তিকর মন্তব্য (কোয়ালিফাইড ওপিনিয়ন) দিয়েছে।

নিরীক্ষক জানিয়েছেন, উসমানিয়া গ্লাস গ্রাহকদের কাছে ১১ লাখ ৭২ হাজার টাকা পায়। যা দীর্ঘসময় পার হয়ে গেলেও আদায় হচ্ছে না। যা আদায় নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। যাতে করে সঞ্চিতি গঠন করা উচিত। কিন্তু কোম্পানি কর্তৃপক্ষ তা করেনি। এতে করে মুনাফা ও সম্পদ বেশি দেখানো হচ্ছে।

এদিকে আন্তর্জাতিক হিসাব মান (আইএএস)-৩৬ অনুযায়ি স্থায়ী সম্পদের ইমপেয়ারম্যান্ট টেস্ট করেনি উসমানিয়া গ্লাস শীট কর্তৃপক্ষ। অথচ প্রতিবছর ইমপেয়ারম্যান্ট টেস্ট করানো উচিত। এর মাধ্যমে আর্থিক হিসাবে দেখানো সম্পদ মূল্য ও ওই সম্পদের প্রকৃত মূল্যের মধ্যে পার্থক্য আছে কিনা, তা দেখা হয়। যদি প্রকৃত মূল্য কম হয়ে থাকে, তাহলে অবচয়ের ন্যায় ব্যয় দেখাতে হয়। যাতে করে সম্পদ ও মুনাফা কমে আসে।

সরকার নিয়ন্ত্রিত উসমানিয়া গ্লাসের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১৭ কোটি ৪১ লাখ টাকা। যার ৪৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকার ঋণাত্মক রিজার্ভ রয়েছে। তারপরেও ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের কোম্পানিটির শেয়ার বুধবার (০৭ ডিসেম্বর) লেনদেন শেষে দাঁড়িয়েছে ৭৪.৬০ টাকায়।

এ কোম্পানিটির ২০২১-২২ অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ২.৬৬ টাকা। নিয়মিত লোকসানে থাকা কোম্পানিটি থেকে শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ প্রাপ্তি বন্ধ হয়ে গেছে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে থেকে।

এদিকে টানা লোকসানের খপ্পরে উসমানিয়া গ্লাস শিট ফ্যাক্টরি চার বছর ধরে লভ্যাংশ দিচ্ছে না। কোম্পানি সর্বশেষ অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ২ টাকা ৬৬ পয়সা। এর আগের অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ৬ টাকা ৬৬ পয়সা।