শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, আমাদের দেশের পুঁজিবাজার উন্নত দেশগুলোর বিপরীত। আমাদের বাজারে ৮০ শতাংশ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী ও ২০ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী। এর উল্টো অবস্থা হলে ফ্লোর প্রাইসের প্রয়োজন হতো না।

তবে উন্নত দেশগুলোর স্টক এক্সচেঞ্জে ৯০ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, বাকী ১০ শতাংশ রিটেইল। কিন্তু আমাদের দেশে ঠিক তার উল্টো। আমাদের বাজারে প্রাতিষ্ঠানিক ইনভেস্টর থাকলে ফ্লোর প্রাইজ নিয়ে আমরা চিন্তাও করতাম না।

আমি আইএসকোর একজন কর্মকর্তা, বিপাকে পড়ে আমাকে ফ্লোর প্রাইজের কথা ভাবতে হয়েছে। শুধুমাত্র রিটেইল ইনভেস্টরদের কথা ভেবে কমিশনকে ফ্লোর প্রাইজের কথা চিন্তা করতে হয়েছে।

সোমবার ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ (Prospects and Challenges of Bangladesh capital market শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, আমরা যখন এসেছি তখন ছিলো করোনা, একদম বন্ধ মার্কেট। আমরা এসেই কাজ করেছি কিভাবে পুঁজিবাজারকে চালু করা যায়। বন্ধ মার্কেটকে পুনরায় চালু করতে আমরা ঠিকই প্রতিদিন অফিস করেছি। কিন্তু আমরা ছাড়াও মার্কেটে যারা কাজ করে, যারা মধ্যস্থতাকারী আছেন তারা অফিস করছিলেন না। তারা ভয়ে ঘর থেকে বের হচ্ছিলেন না। তার পরেও আমরা মার্কেটকে সাড়ে ৬ হাজার পয়েন্টে নিয়ে এসেছি।

বিনিয়োগ শিক্ষার বিষয়ে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, বিনিয়োগকারী এবং বাজার উভয়ের জন্য বিনিয়োগ শিক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য স্কুল পর্যায়ের পাঠ্যক্রমে বিনিয়োগ শিক্ষা কিভাবে যুক্ত করা যায় সে ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।

এদিন সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি সারমিন রিনভী। এসময় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমান, চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) আসিফ ইব্রাহিম, মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট মনিরুজ্জামান, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর সংগঠন বিএপিএলসির সাবেক প্রেসিডেন্ট আজম জে চৌধুরী।