শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: ম্যানুপুলেশন, সিরিয়াল ট্রেডিং, টাকা ছাড়া কোটি কোটি টাকার শেয়ার ক্রয় এবং ‘জেড ক্যাটাগরি’ শেয়ারে ১:২  ও ১:৩ মত মার্জিন লোন দিয়ে শেয়ার ক্রয় করা এনএলআই সিকিউরিটিজের নিয়মিত ঘটনা। আর এসব অনিয়ম সবকিছুই হচ্ছে এনএলআই সিকিউরিটিজের ট্রেডার তারেক মজুমদারের ওয়ার্ক ষ্টেশনের থেকে। তিনি এসব অনিয়মকে বছরের পর বছর নিয়মে রুপান্তর করেছে। অভিযোগ রয়েছে, এনএলআই সিকিউরিটিজের সিইও শাহেদ ইমরানের প্রশ্রয় দিনের দিনের এসব অনিয়ম করছে তারেক মজুমদার।

ঢাকা ডাইং, আরডি ফুড, সুহৃদ ইন্ডাস্টিজ, আমান কটন এবং ইমাম বাটনের মতো কোম্পানিগুলোর শেয়ারে মাইনাস ইক্যুইটি কোডে ১:২ ও ১:৩ লোন দিয়ে কারসাজি করছে। বিএসইসি’র বিভিন্ন সময়ে তদন্তে এনএলআই সিকিউরিটিজের এসব বিষয়ে সম্পৃক্ততা পেয়েছে। কিন্তু কোন এক অজানা কারণে হাউজটির বিরুদ্ধে কোন দৃশম্যান শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তবে সম্প্রতি ঢাকা ডাইং ও আরডি ফুডের কারণে প্রতিষ্ঠানিটির সিইও কে বেশ কয়েকবার তলব করেছে বিএসইসি।

যখন কোন শেয়ার একটু একটু করে বাড়তে শুরু করে ঠিক তখনই এনএলআই সিকিউরিটিজের ট্রেডার তারেক মজুমদার ঐ কোম্পানিটির শেয়ার যারা ক্রয় করেন তাদেরকে খুঁজে বের করে অবাস্তব সব সুবিধার আশ্বাস দিয়ে তাদেরকে এনএলআই সিকিউরিটিজে বিও অ্যাকাউন্ট ওপেন করায়। এর পর কোন টাকা ছাড়াই এসব অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকার ঐ নিদিষ্ট কোম্পানিটির শেয়ার কিনে দেয়।

এছাড়া নাম মাত্র ডিপোজিটের পরিপ্রেক্ষিতে ১:২ ও ১:৩ মার্জিন লোন দিয়ে ‘জেড ক্যাটগরি’র শেয়ার কিনে দেয়। এসময় তারেক মজুমদার ও এনএলআই সিকিউরিটিজের আরো দুই ১ জন কর্মকর্তার বেনামের বিও অ্যাকাউন্টে ঐ শেয়ারটির ক্রয় করেন। এসব অ্যাকাউন্টেও টাকা ছাড়া শেয়ার ক্রয় করে। এতে করে শেয়ারটির দাম বেড়ে যায়।

এ সুযোগে নিদিষ্ট কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়ে গেলে তারেক ও এনএলআই সিকিউরিটিজের দুই একজন কর্মকর্তা তাদের হাতে থাকা শেয়ার বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা মুনাফা হাতিয়ে নেয়। এ পদ্ধতিতে তারেক মজুমদার ও হাউজটির সিন্ডিকেট বাহিনী গত পাঁচ বছরে অন্তত ৫০ কোটি টাকা মুনাফা তুলে নিয়েছে এনএলআই সিকিউরিটিজ থেকে। এ সর্ম্পকিত বেশ কিছু অ্যাকাউওন্টের তথ্য দৈনিক দেশ প্রতিক্ষণের হাতে রয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, এনএলআই সিকিউরিটিজের সিইও শাহেদ ইমরানের নেতৃত্বে হাউজটির সিন্ডিকেট বাহিনী এসব অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে।
এ বিষয় জানতে চাইলে এনএলআই সিকিউরিটিজের সিইও শাহেদ ইমরানপুরো ঘটনাগুলো অস্বীকার করেন। তবে জানা গেছে, এনএলআই সিকিউরিটিজ নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে লোক দেখানোর জন্য তারেক মজুমদারকে সাসপেন্ড করেছে। এ বিষয়টিও জানতে চাইলে তিনি ফোন কেটে দেন।