শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৮৪টি কোম্পানির মধ্যে টানা তিন বছর শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে পাঁচ কোম্পানির। এই পাঁচ কোম্পানির মুনাফা বৃদ্ধির হার ছিলো আগের বছরের চেয়ে ৫০ শতাংশের বেশি।ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে তথ্য জানা গেছে। টানা পাঁচ বছর ইপিএস বৃদ্ধির এই পাঁচ কোম্পানির হলো: এবি ব্যাংক, বিকন ফার্মা, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স এবং মতিন স্পিনিং মিলস লিমিটেড।

এই পাঁচ কোম্পানির মধ্যে এবি ব্যাংকের ২০১৮ সালে ইপিএস ছিলো ০৬ পয়সা, ২০১৯ সালে ১৬ পয়সা, ২০২০ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ পয়সায়। বিকন ফার্মাসিটিক্যালসের ২০১৯ সালে ইপিএস ছিলো ৫১ পয়সা, ২০২০ সালে ১ টাকা ৫৬ পয়সা, ২০২১ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩ টাকা ৭৪ পয়সায়।

বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলসের ২০১৯ সালে ইপিএস ছিলো ৩ টাকা ৫৫ পয়সা, ২০২০ সালে ৫ টাকা ৮০ পয়সা, ২০২১ সালে ১১ টাকা ৫৭ পয়সায়। গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের ২০১৮ সালে ইপিএস ছিলো ৫৪ পয়সা, ২০১৯ সালে ১ টাকা ০১ পয়সা এবং ২০২০ সালে ১ টাকা ৫৩ পয়সায়। মতিন স্পিনিংয়ের ২০১৯ সালে ইপিএস ছিলো ৯৭ পয়সা, ২০২০ সালে ২ টাকা ১৬ পয়সা এবং ২০২১ সালে ৬ টাকা ৩১ পয়সায়।

এই পাঁচ কোম্পানির মধ্যে এবি ব্যাংক গত তিন বছরের মধ্যে ২০১৯ সালে ৫ শতাংশ স্টক এবং ২০২০ সালে ৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছে। ২০২১ সালের ডিভিডেন্ড এখনো ঘোষণা করেনি। বিকন ফার্মাসিটিক্যালস ২০১৯ সালে ৫ শতাংশ ক্যাশ, ২০২০ সালে ৫ শতাংশ ক্যাশ এবং ২০২১ সালে ১৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে।

বাংলাদেশ সাব মেরিন ক্যাবলস ২০১৯ সালে ১৬ শতাংশ ক্যাশ, ২০২০ সালে ২০ শতাংশ ক্যাশ এবং ২০২১ সালে ৩৭ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স ২০১৮ সালে ৫ শতাংশ স্টক, ২০১৯ সালে ৫ শতাংশ ক্যাশ ও ৫ শতাংশ বোনাস এবং ২০২০ সালে ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। মতিন স্পিনিং ২০১৯ সালে ১৫ শতাংশ ক্যাশ, ২০২০ সালে ১৮ শতাংশ ক্যাশ এবং ২০২১ সালে ৪০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে।

আয় ও ডিভিডেন্ডের সঙ্গে কোম্পানিগুলোর শেয়ারদরও বেড়েছে। ২০২০ সালে এবি ব্যাংকের শেয়ারদর ছিলো ৬ টাকা ৭০ পয়সায়। আর ২০২২ সালে তা বেড়ে অবস্থান করছে ১২ টাকা ৫০ পয়সায়। বিকন ফার্মা ২০১৯ সালে শেয়ারদর ছিলো ১৮ টাকা ৮০ পয়সায়। আর ২০২১ সালে তা বেড়ে অবস্থান করছে ২৩১ টাকা ৪০ পয়সায়। বাংলাদেশ সাবমেরিনের ২০১৯ সালে শেয়ারদর ছিলো ৭৮ টাকা ৮০ পয়সায়। আর ২০২১ সালে তা বেড়ে অবস্থান করছে ২০৮ টাকা ৬০ পয়সায়।

গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের ২০১৮ সালে শেয়ার দর ছিলো ১২ টাকা ২০ পয়সায়। আর ২০২১ সালে তা বেড়ে অবস্থান করছে ৪৭ টাকা ৩০ পয়সায়। মতিন স্পিনিংয়ের ২০১৯ সালে শেয়ার দর ছিলো ২৮ টাকা ৭০ পয়সায়। আর ২০২১ সালে তা বেড়ে অবস্থান করছে ৬৫ টাকা ৫০ পয়সায়। সর্বশেষ শেয়ারদর অনুযায়ী কোম্পানিগুলোর পিই রেশিও তথ্যমতে এবি ব্যাংকের ২১.৩১, বিকন ফার্মার ৪৪.৬৫, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলসের ১৬.৬৩, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের ২৬.৫৬ এবং মতিন স্পিনিংয়ের ৫.৮৩ পয়েন্ট।

এই পাঁচ কোম্পানির রিজার্ভ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এবি ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন ৮৩৫ কোটি ৮৪ লাখ টাকার বিপরীতে রিজার্ভ রয়েছে ১ হাজার ৭৩৩ কোটি টাকা, বিকন ফার্মার পরিশোধিত মূলধন ২১৩ কোটি টাকার বিপরীতে রিজার্ভ রয়েছে ৩০৪ কোটি টাকা, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলসের পরিশোধিত মূলধন ১৬৪ কোটি ৯১ লাখ টাকার বিপরীতে রিজার্ভ রয়েছে ৬২৮ কোটি টাকা,

গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের পরিশোধিত মূলধন ২০ কোটি ৫৫ লাখ টাকার বিপরীতে রিজার্ভ রয়েছে ১১ কোটি ১৬ লাখ টাকা এবং মতিন স্পিনিংয়ের পরিশোধিত মূলধন ৯৭ কোটি ৫০ লাখ টাকার বিপরীতে রিজার্ভ রয়েছে ৩৩৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা।