শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: দেশের পুঁজিবাজারে সরকারি ট্রেজারি বন্ডের লেনদেন চালু এক থেকে দেড় মাসের মধ্যেই হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ছানাউল হক। আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে ডিএসইর পর্ষদের সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন। সভায় ডিএসইর চেয়ারম্যান মো. ইউনূসুর রহমান, স্বতন্ত্র পরিচালক সালমা নাসরিন এনডিসি ও বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. মোস্তাফিজুর রহমান এবং শেয়ারহোল্ডার পরিচালক মো. শাকিল রিজভী উপস্থিত ছিলেন।

সভা শেষে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ছানাউল হক জানান, ডিএসইর নতুন পর্ষদ দায়িত্ব নেয়ার পর কভিড-১৯ এর কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে সৌজন্যসাক্ষাৎ করা সম্ভব হয়নি। আজ এ সাক্ষাৎ করার সুযোগ হয়েছে। মুদ্রানীতিতে পুঁজিবাজার বান্ধব কিছু ঘোষণা দেয়ার কারণে আমরা বাংলাদেশ ব্যাংককে ধন্যবাদ জানিয়েছি।

সরকার, মন্ত্রনালয়, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), বাংলাদেশ ব্যাংক, স্টক এক্সচেঞ্জ ও স্টেকহোল্ডারদের সহযোগিতায় বর্তমানে পুঁজিবাজার একটি পর্যায়ে এসেছে। এটিকে কীভাবে স্থিতিশীল রাখা যায় সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। পুঁজিবাজার স্থিতিশীল রাখতে অর্থবাজারের সঙ্গে একটি কার্যকর সমন্বয় থাকা প্রয়োজন। বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে আমরাদেরকে আশ্বস্ত করেছে।

পুঁজিবাজারে সরকারের ট্রোজারি বন্ডগুলোকে লেনদেনযোগ্য করার বিষয়ে অনেকদিন থেকেই আলোচনা হচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা অনেকদূর এগিয়েছি। বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আমাদের কিছু কাজ বাকী ছিল সেগুলো চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক, বিএসইসি ও স্টক এক্সচেঞ্জ মিলে একটি প্রতিবেদন চূড়ান্ত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর মধ্যে শীগ্রই এ বিষয়ে একটি চুক্তি হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরবর্তী পর্ষদ সভায় এটি অনুমোদন হয়ে গেলে আমরা এক থেকে দেড় মাসের মধ্যেই ট্রেজারি বন্ডের লেনদেন চালু করতে পারব। অলটারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট বোর্ড, এসএমই প্লাটফর্ম এগুলোও আমরা টেস্ট করেছি। আশা করছি এগুলোও দ্রুত চালু হয়ে যাবে।

পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগের বিষয়ে তিনি বলেন এ নিয়েও আমরা আলোচনা করেছি। বাংলাদেশ ব্যাংক ধারাবাহিকভাবে আমাদেরকে সহযোগিতা দিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে। বর্তমানে বিএসইসির সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি কার্যকর সমন্বয় আমরা দেখতে পাচ্ছি। আশা করি সামনের দিনগুলোতে এটি অব্যাহত থাকবে।

মোবাইল অ্যাপের ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের উপর ফি আরোপের বিষয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয় নি। শুধুমাত্র সক্রিয় ও নিষ্ক্রিয় গ্রাহকদের তথ্য আমরা জানতে চেয়েছি। যারা অ্যাপের রেজিস্ট্রেশন নিয়েও এর মাধ্যমে লেনদেন করছে না তাদের তো এটি রেখে কোনো লাভ নেই। আমাদেরকে গ্রাহক প্রতি অর্থ পরিশোধ করতে হয়। তাই অ্যাপের মাধ্যমে বাজারে অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছে। যারা অ্যাপের মাধ্যমে লেনদেন করবেন তাদেরই রেজিস্ট্রেশন থকা উচিত বলে জানান তিনি।