শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: টানা শেয়ারের দাম বাড়লেও বিএসইসির রাডারে ধরা পড়ছে না বিডি অটোকার্স। নিয়ন্ত্রক সংস্থা নিরবে দেখেও এ বিষয় না দেখার ভান করছেন। বাজারে নানা গুজব ছড়িয়ে শীর্ এক ব্রোকারেজ হাউজ দাম বাড়াচ্ছে।

কৃত্রিমভাবে বিক্রেতার অভাব ঘটিয়ে টানা বেড়ে চলছে প্রকৌশল খাতের দুর্বল মৌলের কোম্পানি বাংলাদেশ অটোকার্সের (বিডি) শেয়ারদর। বিরতীহীনভাবে বেড়ে ১৬ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর ১০৯.২০ টাকা থেকে দাঁড়িয়েছে ৩৬৭ টাকায়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এতথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, ১৬ কার্যদিবস আগে ৩ জুন তারিখে ১০৯.২০ টাকা দর নিয়ে কোম্পানির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়। ১৬ কার্যদিবসের মাথায় গত বৃহ্স্পতিবার (২৮ জুন) কোম্পানিটির শেয়ারদর উঠে দাঁড়ায় ৩৬৭ টাকায়। এ সময়ে এর শেয়ারদর বাড়ে ২৩৬.২৬ শতাংশ।

বিডি অটোকার্সের শেয়ার দর অব্যাহতভাবে বাড়ার কারণে চলতি মাসে দু’বার কোম্পানিটিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় ডিএসই। ডিএসইর নোটিশের জবাবে গত ৪ জুন ও ২১ জুন কোম্পানিটির পক্ষ থেকে ডিএসইকে জানানো হয়েছে, শেয়ার দর অস্বাভাবিক বাড়ার কারণে তাদের কাছে কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই। তারপরও থেমে নেই কোম্পানিটির শেয়ারদর।

আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই ২০১৭ হতে মার্চ ২০১৮) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে মাত্র ৮৩ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ৩৪ পয়সা। সর্বশেষ শেয়ারদর অনুযায়ী কোম্পানিটির মূল্য আয় অনুপাত ৩৩১.৬৩ শতাংশ, যা বিনিয়োগের জন্য চরম ঝুঁকিপূর্ণ।

কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা ৩৮ লাখ ৬২ হাজার ৫১২টি। স্বল্প মূলধনী হওয়ার কারণেই কোম্পানিটির শেয়ারদর লাগামহীনভাবে বাড়ছে। এটি একটি নেগেটিভ রিজার্ভের কোম্পানী। বর্তমানে কোম্পানিটির নেগেটিভ রিজার্ভের পরিমাণ হলো ২ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।

অর্থাৎ এর শেয়ারপ্রতি নেগেটিভ রিজার্ভ রয়েছে ৭.২২ টাকা। অর্থাৎ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা রয়েছে ৮৩ পয়সা। অন্যদিকে, শেয়ারপ্রতি নেগেটিভ রিজার্ভ রয়েছে ৭.২২ টাকা। এতে দেখা যায়, কোম্পানিটি নগদ অর্থের ঘাটতিতে রয়েছে এবং দারে-কর্জে পরিচালিত হচ্ছে।

উল্লেখ্য, বিদায়ী ২০১৭ অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ৯৭ পয়সা। ওই বছর বিনিয়োগকারীদের কোম্পানিটি ৩ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল।