শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম: পুঁজিবাজারে ব্যাংক ও সহযোগী প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগের তথ্য প্রতিদিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠানোর আদেশ নিয়ে নেতিবাচক প্রভাবের যে আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল, তা সত্য হয়নি। টানা উত্থানে থাকা পুঁজিবাজার সূচক বেড়ে সাড়ে দশ বছর আগের অবস্থান ছাড়িয়ে গেছে। লেনদেনও হয়েছে ব্যাপক। আর এক পর্যায়ে ২০১০ সালের ২৮ অক্টোবরের ২ হাজার ৯৪৬ কোটি ৩৭ লাখ ১৪ হাজার টাকার লেনদেনকে ছাড়িয়ে যায়।

মুলত পুঁজিবাজারে একের পর এক নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হচ্ছে। বর্তমান কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বাজারের একের পর এক চমক দেখা যাচ্ছে। ফলে সাধারন বিনিয়োগকারীদের মাঝে বাজার নিয়ে আস্থা বাড়ছে। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে আরো উচ্চতায় স্থান করে নিয়েছে পুঁজিবাজার। এ দিন লেনদেনে ৩ হাজার কোটি টাকার মাইলফলক। বেড়েছে সব সূচক।

বেড়েছে লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বেশিরভাগের শেয়ার ও ইউনিট দর। পাশাপাশি বেড়েছে টাকার পরিমাণে লেনদেনও। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। এদিন ডিএসইতে ২ হাজার ৯৪৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ২৮৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা বেশি। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৬৬১ কোটি ৭০ লাখ টাকার।

ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আজ ৪৯.৫৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ৭৪৮.৯২ পয়েন্টে। ডিএসইর এই সূচকটি চালুর পর থেকে আজকেই সর্বোচ্চ অবস্থান। এর চেয়ে বেশি অবস্থানে আর কখনো উঠেনি সূচকটি। আজ ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৯.৭৯ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ০.০৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৪৬৮.৮৩ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ৪২৭.৬২ পয়েন্টে।

আজ ডিএসইতে ৩৭৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ২০৪টির বা ৫৪.৪০ শতাংশের, শেয়ার দর কমেছে ১৪৬টির বা ৩৮.৯৩ শতাংশের এবং ২৫টির বা ৬.৬৭ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৩৩.৯২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৬৪৯.৩১ পয়েন্টে। সিএসইতে আজ ৩২০টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৭১টির দর বেড়েছে, কমেছে ১২৩টির আর ২৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ১১৬ কোটি ২২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।