শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি বিডি অটোকারসের লভ্যাংশ ও রাইট শেয়ারে প্রস্তাবিত উচ্চ প্রিমিয়ামে বিনিয়োগকারীরা অসন্তুষ্ট। যে কারণে কোম্পানিটির শেয়ার দরে বড় পতন নেমে আসে। এছাড়া, কোম্পানিটির শেয়ারদর আকাশচুম্বী অবস্থায় পৌঁছেছিল। এর শেয়ারদর আরও সংশোধন হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

জানা যায়, লেনদেনের ওপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের পর বুধবার বিডি অটোকার কোম্পানির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়। লেনদেন ফেরার প্রথম দিনে বিডি অটোকারের প্রায় ১১ শতাংশ দরপতন হয়েছে। এর আগে কারসাজির কারণে গত ১৬ আগস্ট বিডি অটোকার, লিগ্যাছি ফুটওয়ার ও মুন্নু স্ট্যাফলার্সের লেনদেনে ৩০ কার্যদিবসের জন্য স্থগিতাদেশ দেয় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

গত মঙ্গলবার কমিশন সভায় কোম্পানি ৩টির মধ্যে বিডি অটোকার এবং লিগ্যাছি ফুটওয়ারের লেনদেনে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নেয়। তবে লেনদেনের ওপর কিছুটা নিয়ন্ত্রণ রাখতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শেয়ার দুটি স্পট মার্কেটে কেনাবেচার নির্দেশনা দেয়।

এদিকে, লেনদেন স্থগিতকালে বিডি অটোকার এবং লিগ্যাছি ফুটওয়ারের পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০১৮ সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য লভ্যাংশ সুপারিশ করে। বিডি অটোকারের পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের ৩ শতাংশ নগদ এবং ১২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ প্রদানের সুপারিশ করে।
একই সঙ্গে এলপিজি গ্যাস সরবরাহ সুবিধা সংযোজনের জন্য মূলধন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয় পর্ষদ।

এক্ষেত্রে বিদ্যমান একটি শেয়ারের বিপরীতে একটি রাইট শেয়ার বিক্রি করে সাড়ে ৪২ কোটি টাকা মূলধন বাড়াতে প্রস্তাব করে। রাইট শেয়ারের ক্ষেত্রে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ারের ইস্যু মূল্য ১০০ টাকা প্রিমিয়ামসহ ১১০ টাকা প্রস্তাব করে।

লভ্যাংশ ঘোষণা ও স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়ার কারণে লেনদেনে ফেরার প্রথমদিন শেয়ারটির দরে কোনো সার্কিট ব্রেকার ছিল না। লেনদেনের শুরুতেই ১৫ শতাংশ দর হারিয়ে শেয়ারটি ৩৭০ টাকায় নেমেছিল। তবে লেনদেনের শেষাংশে হারানো দর কিছুটা ফিরে পায়।

কোম্পানিটির দিনের সর্বশেষ লেনদেন হয় ৩৮৮ টাকা ৯০ পয়সায়। আর স্থগিতাদেশের আগে বিডি অটোকারের শেয়ারদর ছিল ৪৩৬ টাকা। গত জুন মাসের শুরুতেও শেয়ারটি ১০০ টাকা দরে কেনাবেচা হয়েছিল। মাত্র আড়াই মাসে শেয়ারটির শেয়ারদর প্রায় প্রায় সাড়ে চার গুণ ছাড়ায়।