trampশেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: নানা জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটে অবশেষে টিপিপি থেকে বেরিয়ে গেল যুক্তরাষ্ট্র। টিপিপি চুক্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অস্বস্তি ছিল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বাজার হারানোর শঙ্কায় ২০১৫ সালে ওয়াশিংটনে টিকফা বৈঠকে এ ব্যাপারে উদ্বেগ জানায় বাংলাদেশ। কারণ এই চুক্তি অনুযায়ী, ভিয়েতনাম যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বিনা শুল্কে তৈরি পোশাক রফতানি করতে পারবে। সেখানে বাংলাদেশকে একই পণ্যের জন্য প্রায় ১৬ শতাংশ শুল্ক দিতে হয়। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের টিপিপি বাতিলের ঘোষণায় লাভবান হবে বাংলাদেশ।

এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ১২টি দেশের অংশীদারত্বের চুক্তি ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ (টিপিপি) থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল সোমবার তিনি এক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষরের মাধ্যমে নিজের দেশকে প্রত্যাহার করে নেন। ট্রাম্পের মতে, টিপিপি চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের ‘কর্মসংস্থান হত্যাকারী’ এবং ‘স্বার্থের ধর্ষণকারী’।

নির্বাচনী প্রচারণার সময় দেওয়া ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতিগুলোর মধ্যে টিপিপি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেওয়া ছিল অন্যতম। এ ছাড়া তিনি উত্তর আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (নাফটা) থেকেও যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছিলেন।

গত সোমবার ওই চুক্তি বাতিলের নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষরের পর বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতা ও কর্মীদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন ট্রাম্প। এ ছাড়া তিনি ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করেন।

দীর্ঘ আলোচনার পর ২০১৫ সালে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। তবে তা অনুসমর্থন করা হয়নি। চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী অন্য দেশগুলো হল অস্ট্রেলিয়া, জাপান, ব্রুনাই, কানাডা, চিলি, মালয়েশিয়া, মেক্সিকো, নিউজিল্যান্ড, পেরু, সিঙ্গাপুর ও ভিয়েতনাম।

দেশগুলো বর্তমান বিশ্ব বাণিজ্যের ৪০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে। টিপিপি চুক্তির লক্ষ্য অর্থনৈতিক বন্ধন সুদঢ় করা এবং প্রবৃদ্ধি সমৃদ্ধ করা। যদিও টিপিপির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে বড় ধরনের বিরোধিতা রয়েছে। এই চুক্তির যারা বিরোধিতা করেন তাদের মতে, এই চুক্তি থেকে বহুজাতিক বড় বড় কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানই লাভবান হবে। এতে বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের কর্পোরেট কোম্পানিগুলোর ব্যবসা ব্যাপকভাবে সম্প্রসারিত হবে। তারা আরও বলেন, এ চুক্তিটির সমঝোতা চালানো হয়েছে গোপনে। এটা করা হয়েছে বড় বড় কর্পোরেশনের পক্ষে।