কেয়া কসমেটিকসের বিনিয়োগকারীদের লোকসান পিছু ছাড়ছে না
শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি কেয়া কসমেটিকসের ভবিষ্যত কি। এ প্রশ্ন খোদ বিনিয়োগকারীদের। টানা দরপতনে এ শেয়ারের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলছেন বিনিয়োগকারীরা। তাছাড়া স্মরনকালের ক্ষতি এখনো বিনিয়োগকারীরা কাটিয়ে উঠতে পারেনি।
তার মধ্যে নতুন করে লোকসানে রয়েছেন কেয়া কসমেটিকসের বিনিয়োগকারীরা। কোম্পানির প্রতি বছর ভালো ডিভিডেন্ড দিলেও ফেসভ্যালুর নিচে রয়েছে। বর্তমান বাজারে ওষুধ ও রসায়ন খাতের যে সকল কোম্পানি রয়েছে তার মধ্যে দরের দিক থেকে সর্বনিন্ম অবস্থানে রয়েছে কেয়া কসমেটিকস।
৩০ জুন ২০১৬ সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য ১৮ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ সুপারিশ করেছে কেয়া কসমেটিকসের পরিচালনা পর্ষদ। কোম্পানির অনুমোদিত মূলধন আড়াইশ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার কোটিতে উন্নীত করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
অনুমোদিত মূলধন বাড়ানোর জন্য কোম্পানির সংঘস্মারক ও সংঘবিধিতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনতে হবে। এজন্য এজিএমে শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন চাইবে কোম্পানি।
গেল হিসাব বছরে ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৮৭ পয়সা। আগের বছর ইপিএস ছিল ২৯ পয়সা, সে বছর বিতরণকৃত ২০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ সমন্বয় করলে যা দাঁড়ায় ২৪ পয়সা। ৩০ জুন কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়ায় ১৫ টাকা ৭৭ পয়সা।
ডিএসইতে সর্বশেষ ১০ টাকায় কেয়া কসমেটিকসের শেয়ার হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বোচ্চ দর ছিল ১৬ টাকা ৩০ পয়সা ও সর্বনিম্ন ৯ টাকা ৫০ পয়সা।
উল্লেখ্য, গত বছর গ্রুপের আরো তিন কোম্পানি কেয়া কসমেটিকসের সঙ্গে একীভূত হয়েছে। এর অংশ হিসেবে কোম্পানিগুলোর আয়-ব্যয়, সম্পদ ও দায়দেনা সবই কেয়া কসমেটিকসের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
২০০১ সালে শেয়ারবাজারে আসা কেয়া কসমেটিকসের বর্তমান অনুমোদিত মূলধন ৭৫০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ৭০৭ কোটি ৭০ লাখ ২০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১৯৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ারের মধ্যে বর্তমানে উদ্যোক্তা-পরিচালক ৬৩ দশমিক ৬ শতাংশ,
প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ৭ দশমিক ৮৪ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর হাতে রয়েছে বাকি ২৮ দশমিক ৫৬ শতাংশ শেয়ার। সর্বশেষ এজিএমে অনুমোদিত নিরীক্ষিত মুনাফা ও বাজারদরের ভিত্তিতে এ শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত ৪১ দশমিক ৬৭।