kharul-lagoএইচ কে জনি: যেসব কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি টাকার নিচে, সেসব কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করতে খুব শিগগিরই ভেঞ্চার ক্যাপিটাল রুলস গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে। আজ রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৬ ‘ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ইনভেস্টমেন্ট ফর স্টার্টআপ’ শীর্ষক সেমিনারে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন এ কথা বলেন।

বেসিসের সাবেক সভাপতি ও ভিসিপিইএবির প্রতিষ্ঠাতা শামীম আহসান টাই গ্লোবালের চেয়ারম্যান ভেষ্ক শুকলা এবং ভেঞ্চার ক্যাপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শওকত হোসেন সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান; বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড একচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন।

অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরী, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথরিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম, আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ খান, গ্রীণ ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারজানা চৌধুরী প্রমুখ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, ভেঞ্চার ক্যাপিটাল নিয়ে বিশ্বে অনেক সফলতার গল্প আছে। আমাদের দেশেও এমন হতে পারে। আমরা লো-পেইড আপ কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করতে চাই। ন্যূনতম ৩০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন হলে তারা বাজারে তালিকাভুক্ত হতে পারবে- এ ধরনের সুযোগ আমরা তৈরি করে দিতে চাই। সে লক্ষ্যে কাজ চলছে।

তিনি বলেন, ‘এসব লো পেইডআপ কোম্পানিকে বাজারে তালিকাভুক্তির জন্য আমরা আইন করছি। যা শিগগিরই গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।’
বিএসইসি চেয়ারম্যানবলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু অন্যান্য দেশের তুলনায় জিডিপিতে পুঁজিবাজারের অবদান অনেক কম। ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ইনভেস্টমেন্ট এই অবদানকে অনেকগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে।

এদিকে এখনই স্বল্পমূলধনী কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করার মোক্ষম সময় বলে মনে করেন আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ খান। তিনি বলেন, ভেঞ্চার ক্যাপিটালের মাধ্যমেই এটা হতে পারে।

আরিফ খান বলেন, ভেঞ্চার ক্যাপিটালের মাধ্যমে ছোট ছোট কোম্পানিগুলোকে এগিয়ে নিয়ে আসার মোক্ষম সময় এখনই। সরকার এখন তাদের আরও নীতি সহায়তা দিতে পারে। বিশেষ করে ট্যাক্স ইনসেনটিভে। আর বাংলাদেশ ব্যাংকও এখানে বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। তিনি বলেন, যারা ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ম্যানেজ করে তাদের ৩ ধরনের ট্যাক্স দিতে হয়। যেখানে কিছুটা প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। তবে নতুন উদ্যোক্তা তৈরিতে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল সহায়ক হতে পারে। যা বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আরও এগিয়ে নিতে অবদান রাখবে।

গ্রীণ ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারজানা চৌধুরী বলেন, দেশের প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে আলোচনা করতেই আজ আমরা এখানে মিলিত হয়েছি। অসংখ্য তরুণ আজ উদ্যোক্তা হতে চায়; যাদের ট্যাক্স ইনসেনটিভ দেওয়া উচিত। দেওয়া উচিত নতুন প্রোডাক্টের ক্ষেত্রে নীতি সহায়তা।