bsrm lagoশেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশলী খাতের কোম্পানি বাংলাদেশ রি-রোলিং মিলস (বিএসআরএম) লিমিটেড লেনদেন বাড়ার পেঝনে রয়েছে নানা কাহিনী। আলোচিত বিএসআরএম গ্রুপের দুই কোম্পানির অর্ধবার্ষিক প্রতিবেদনে কোম্পানি দুটি প্রত্যাশার চেয়ে অনেক কম মুনাফা দেখানোয় হতাশ হয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা ছিল কোম্পানি ২টির অর্ধাবার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন সন্তোষজনক হলে এর প্রভাবে এ কোম্পানির শেয়ার দর চাঙ্গা হবে।

কিন্ত বাস্তবে তা হয়নি। প্রত্যাশার অনুযায়ী কোম্পানিটির আর্থিক প্রতিবেদন সন্তোষজনক নয়। যে কারণে বিনিয়োগকারীদের হতাশার প্রতিফলন ঘটেছে কোম্পানি দুটির শেয়ারের দরে। যার ফলে বিনিয়োগকারীরা হতাশ হয়ে এ কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করে ফেলছেন। যা সামগ্রিক বাজারেও পড়েছে নেতিবাচক প্রভাব।

গত রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিএসআরএম লিমিটেড এবং বিএসআরএম স্টিল লিমিটেড নামের কোম্পানি দুটির শেয়ারের দাম কমেছে ৮ শতাংশের বেশি হারে। অন্যদিকে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স প্রায় ২৫ পয়েন্ট কমেছে।

এদিকে বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশ রি-রোলিং মিলস (বিএসআরএম) লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার দর কমেছে ১৩.৪৮ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটি পুরো সপ্তাহে ৪৯ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৬টি শেয়ার লেনদেন করেছে। যার বাজার মূল্য ছিল ৭৮ কোটি ৮২ লাখ ৬৭ হাজার টাকা। তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা সিঙ্গার বাংলাদেশের শেয়ার দর বেড়েছে দশমিক ১৫ শতাংশ।

কোম্পানিটি সপ্তাহজুড়ে ৩৪ লাখ ২০ হাজার ৫৪৭টি শেয়ার লেনদেন করেছে। যার বাজার মূল্য ছিল ৬৬ কোটি ৫৪ লাখ ২০ হাজার টাকা। তালিকার তৃতীয় স্থানে থাকা সামিট পাওয়ারের ৯.৬৬ শতাংশ দর কমেছে। কোম্পানিটি সপ্তাহজুড়ে ১কোটি ৭৬ লাখ ২৭ হাজার ৭১টি শেয়ার লেনদেন করেছে। যার বাজার মূল্য ছিল ৬১ কোটি ৯৭ লাখ ৫৮ হাজার টাকা।

এই তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- এমজেএল বাংলাদেশ, ন্যাশনাল ব্যাংক, বিএসআরএম স্টিলস, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, তিতাস গ্যাস, ব্র্যাক ব্যাংক এবং পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির অব বাংলাদেশ লিমিটেড।