dseশেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা:

পুঁজিবাজারে সপ্তাহজুড়ে বাজার পরিস্থিতি স্থিতিশীলতার আভাস দিচ্ছে। বাজার বর্তমানে একটানা যেমন বাড়ছে না, তেমনি বাজার একটানা কমেছে না। এটা স্থিতিশীল বাজারের আভাস বলে মনে করছেন বাজার ‍বিশ্লেষকরা। এছাড়া সপ্তাহজুড়ে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সব ধরনের মূল্যসূচক বেড়েছে।

এদিকে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. এম খাইরুল হোসেন বৃহস্পতিবার বলেছেন, কোরবানি ঈদের পর লেনদেন আরো বাড়বে বলে। বর্মান বাজার পরিস্থিতিতে বাজার স্বাভাবিক রয়েছে। এছাড়া বাজারের সার্বিক পরিস্থিতি আরো স্থিতিশীল থাকবে বলে তিনি মনে করেন। বর্তমান বাজহার পরিস্থিতিতে বিনিয়োগের উপযোগী রয়েছে।

বিনিয়োগকারীরা বুঝে শুনে বিনিয়োগ করলে লোকসান হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে ভালো মৌল ভিত্তি কোম্পানিতে বিনিয়োগ করতে হবে। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান সঙ্গে বাংলাদেশ মাচের্ন্ট ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশ।

ডিএসইএক্স মূল্যসূচকের পাশাপাশি ডিএসই-৩০ ও ডিএসই শরিয়াহ সূচক বেড়েছে। একইসঙ্গে বেড়েছে বাজার মূলধন ও আর্থিক লেনদেন। ডিএসই’র ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। শেষ সপ্তাহে ডিএসই’র প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৫২.০৪ পয়েন্ট বা ১.১৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬০১.০৯ পয়েন্টে। আর ডিএসই-৩০ সূচক ১৫.০৪৫ পয়েন্ট ও ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৫.৩৩ পয়েন্ট বেড়েছে।

এ সময় ডিএসইতে ২ হাজার ৩৬১ কোটি ৪৭ লাখ টাকার আর্থিক লেনদেন হয়েছে। যা এর আগের সপ্তাহে হয়েছিল ২ হাজার ২২৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা। এ হিসাবে ৬.১৯ শতাংশ আর্থিক লেনদেন বেড়েছে। মোট লেনদেনের ৮৯.১৯ শতাংশ এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ১.৬৯ শতাংশ ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ৮.৬০ শতাংশ এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত এবং ০.৫২ শতাংশ জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে লেনদেন হয়েছে।

ডিএসইতে ৩২৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৪৮টির, কমেছে ১৫৪টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪টির। সাপ্তাহিক লেনদেনে ডিএসই’র মূল্য-আয় (পিই) অনুপাত বেড়েছে ০.১৩ পয়েন্ট বা ০.৮৮ শতাংশ। সপ্তাহের শুরুতে পিই ছিল ১৪.৭৩। যা বর্তমানে রয়েছে ১৪.৮৬ পয়েন্টে।

এ সময়ে বাজার মূলধন বেড়েছে ০.৮৫ শতাংশ। সপ্তাহের শুরুতে ডিএসই’র বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ২০ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা। সপ্তাহের শেষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ২৩ হাজার ২৩৮ কোটি টাকায়। টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে শাহজিবাজার পাওয়ারের শেয়ার। এ সময়ে কোম্পানিটির ১৫১ কোটি ৬৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা গত সপ্তাহের মোট লেনদেনের ৬.৪২ শতাংশ।

দ্বিতীয় স্থানে থাকা লাফার্জ সুরমার লেনদেন হয়েছে ৮৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা, যা সপ্তাহের মোট লেনদেনের ৩.৭৪ শতাংশ। ৭৮ কোটি ২৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ডরিন পাওয়ার জেনারেশনস। লেনদেনে এরপর রয়েছে যথাক্রমে- এমজেএল বাংলাদেশে, সিঙ্গার বাংলাদেশ, বিএসআরএম লিমিটেড, স্কয়ার ফার্মা, ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল টিউবস ও ইউনাইটেড পাওয়ার।