olymoicশেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে আজ সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দর না বাড়লেও লেনদেনের শীর্ষে ছিল অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ। সারা দিনে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানিটির ৫ লাখ ৬৭ হাজারের বেশি শেয়ার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ২০ কোটি ৪৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। দিন শেষে লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় এক নম্বরে উঠে আসে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ।

বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, চলতি বছরের শুরু থেকেই অলিম্পিক শেয়ারের দর ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। আজ সর্বশেষ ৩৬০ টাকায় কোম্পানিটির শেয়ার কেনাবেচা হয়, ১৪ জানুয়ারি যা ছিল ২৪৮ টাকার ঘরে। এদিকে আজ লেনদেন বাড়লেও দিন শেষে শেয়ারদর আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কমেছে। গত এক বছরে অলিম্পিক শেয়ারের সর্বনিম্ন দর ছিল ২৪৫ টাকা ও সর্বোচ্চ ৩৬৬ টাকা।

olumpic 1 year২০১৫ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য ৩০ শতাংশ নগদ ও ২০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ। নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, সমাপ্ত হিসাব বছরে এ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৬ টাকা ৯০ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৭ টাকা ৩৯ পয়সা। ২০১৪ হিসাব বছরের জন্য লভ্যাংশ আকারে শেয়ারহোল্ডারদের ২০ শতাংশ নগদ ও ৩৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেয় অলিম্পিক।

অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬ টাকা ২৬ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩ টাকা ৯০ পয়সা। ৩১ মার্চ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৫২ পয়সা। অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে ‘ডাবল এ প্লাস’।

জানা গেছে, ক্রমবর্ধমান চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে মূল পণ্য বিস্কিটের উত্পাদনসক্ষমতা বাড়াচ্ছে অলিম্পিক। অন্যদিকে বলপয়েন্ট কলম, সেরেল বার ও চাটনির মতো গৌণ পণ্যগুলোর উত্পাদন বন্ধ করে দিয়েছে তারা। ড্রাইসেলস ব্যাটারি কোম্পানিটির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পণ্য, যার উত্পাদন অব্যাহত রয়েছে।

১৯৮৯ সালে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ১৯০ কোটি ৪১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। রিজার্ভ ১৪৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। মোট শেয়ারের মধ্যে কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালক ২৮ দশমিক ৯২ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ১৯ দশমিক ২২, বিদেশী বিনিয়োগকারী ৩৯ দশমিক শূন্য ৭ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে বাকি ১২ দশমিক ৭৯ শতাংশ শেয়ার।