পুঁজিবাজারে আস্থার জন্য স্বচ্ছতা প্রয়োজন: খায়রুল হোসেন
শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন বলেছেন, পুঁজিবাজারে আস্থার জন্য স্বচ্ছতা প্রয়োজন। ডিএসইকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্ট্রাটেজিক ইনভেস্টর খুঁজতে হবে। আর এ নিয়ে যদি ডিএসইর বিশেষ কোনো প্রস্তাবনা থাকে, তবে আগেই বিএসইসিকে জানাতে হবে। ডিএসইর আবেদনের ভিত্তিতে কৌশলগত বিনিয়োগকারী খোঁজার সময় বাড়ানো হবে।
তিনি বলেন, যদি নগদ টাকার বিনিময়ে স্ট্রাটেজিক ইনভেস্টর পাওয়া না যায়, তবে ডিএসইকে উন্নত করার বিকল্প প্রস্তাব কোনো দেশ থেকে আসলে বিএসইসিকে জানাতে হবে। বিএসইসি সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। ডিএসইর আয় বাড়াতে নির্দিষ্ট যেকোনো প্রস্তাব বিবেচনা করবে বিএসইসি।
শনিবার (১৬ জুলাই) রাজধানীর মতিঝিলের মধুমিতা ভবনে ডিএসই ব্রোকারস অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) নতুন অফিসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে লাল ফিতা কেটে নতুন অফিস উদ্বোধন করেন।
খায়রুল হোসেন বলেন, একটি শক্তিশালী শেয়ারবাজার গঠনের লক্ষ্যে বিএসইসি নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে পাবলিক ইস্যু রুলস-২০১৫ গঠন করা হয়েছে। এতে শেয়ারবাজারে আসতে হলে কোম্পানিগুলোকে অনেক বেশি তথ্য প্রদান করতে হয়। যাতে অনেক স্বচ্ছতা এসে গেছে।
এ সময় শেয়ারবাজারের উন্নয়নে ডিবিএর কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও বিনিয়োগকারীদের সাথে দূরত্ব কমিয়ে আনার আহ্বান করেন খায়রুল হোসেন। এ ছাড়া প্রত্যেকটি ব্রোকারেজ হাউসে গুজব ছড়িয়ে বিনিয়োগকারীদের প্রভাবিত করা বন্ধ করার আহ্বান করেন।
খায়রুল হোসেন বলেন, শেয়ারবাজারের স্বার্থে অনেক সংস্কার করা হয়েছে এবং আরো সংস্কার দরকার আছে। তবে সংস্কারের কারণে কারো কাজে সমস্যা হলে তা সমাধান করা হবে।
এদিকে স্টক এক্সচেঞ্জের জন্য আগামী ডিসেম্বরে স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার আনার সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন খায়রুল হোসেন। কিন্তু ডিসেম্বরে এসে যদি সময় বাড়ানোর দাবি করা হলে, তা পুরো মার্কেটের জন্য দুঃসংবাদ হবে। এ ক্ষেত্রে সময় চাইলে হয়তো বাড়ানো হবে। তবে এই পার্টনার পাওয়ার জন্য স্টক এক্সচেঞ্জ যে কাজ করছে তা দেখাতে হবে। পুঁজিবাজারে স্বার্থে ডিবিএ মার্কেট মেকিং রুল ও পলিসিগত বিষয়ে কাজ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন অধ্যাপক স্বপন কুমার বালা।
ডিবিএর প্রেসিডেন্ট আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, আগামী তিন মাসের মধ্যে সংগঠনটির নির্বাচন হবে। এই নির্বাচনে নতুন নেতৃত্ব উঠে আসবে। কমিশনের নেতৃত্বে সারা দেশে বিনিয়োগকারীদের আর্থিক শিক্ষা প্রদান করা হবে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) নতুন এমডি এ কে এম মাজেদুর রহমান বলেন, অর্থনীতির সঙ্গে শেয়ারবাজার অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। এত দিন অর্থনীতির ব্যাংক সেক্টরে কাজ করেছি এখন পুঁজিবাজার নিয়ে কাজ করব। এটি আমার জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ এবং তা গ্রহণ করতে আগ্রহী।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএসইসির চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন ও সভাপতি হিসেবে ডিবিএর প্রেসিডেন্ট আহসানুল ইসলাম টিটু উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক স্বপন কুমার বালা, সালাম শিকদার, ডিএসইর চেয়ারম্যান বিচারপতি সিদ্দিকুর রহমান মিয়া, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম মাজেদুর রহমান, ডিবিএর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।