fortune lagoশেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পাদুকাশিল্প খাতে আরও একটি কোম্পানি পুঁজিবাজারে যুক্ত হতে যাচ্ছে। প্রিমিয়াম ছাড়া ফরচুন সু লিমিটেড বাজার থেকে ২২ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। শিগগিরই কোম্পানিটির প্রসপেক্টাস অনুমোদন ও প্রকাশ করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্র জানায়।

নিয়ন্ত্রণ কমিশনের অনুমোদিত ‘কোম্পানির প্রসপেক্টাস নিয়ে কাজ চলছে। শিগগিরই অনুমোদন ও প্রকাশ করা হবে’। এমন তথ্য জানিয়েছেন কোম্পানির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের সিনিয়র এ্যাসিসটেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট তানভীর রেজা। শনিবার সকালে টেলিফোনে  তিনি বলেন, প্রসপেক্টাসের কাজ আমরা অনেক এগিয়ে নিয়েছি। আশা করা যায়, দ্রুত এটা বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে প্রকাশ করা হবে।

ফরচুন সু লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিও অনুমোদন করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। গত জুন মাসের শেষ নাগাদ আইপিও অনুমোদন করা হলেও কোম্পানির এখনো প্রসপেক্টাস অনুমোদন বা প্রকাশ করা হয়নি। যে কারণে কোম্পানির তথ্য জানতে অনেক বিনিয়োগকারী অপেক্ষা করছেন।

তবে নাম প্রকাশ না করার অনুরোধে ফরচুন সু লিমিটেডের ঊর্ধতন এক কর্মকতা বলেন, আইপিওতে কোম্পানির কাজের অনেক ব্যস্ততা বাড়ে। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আমরা এটা প্রকাশের চেষ্টা করবো। কোম্পানির কারখানা এবং উৎপাদন সম্পর্কে তিনি বলেন, কোম্পানির বিশাল পরিসরের কারখানা বরিশালের বিসিক নগরীতে রয়েছে।

আমাদের পণ্য ৯৯ শতাংশ দেশের বাইরে রপ্তানী করা হয়। বিদেশে পণ্যের চাহিদা বেশি থাকায় আমাদের ব্যবসার পরিসর আরো বৃদ্ধি করাই মূলত উদ্দেশ্য। সে কারণেই কোম্পানির আইপিওতে আসা।

কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে দুটি মার্চেন্ট ব্যাংক। কোম্পানির আগামী সম্পর্কে ইম্পিরিয়াল ক্যাপিটাল লিমিটেডের সিইও সালাউদ্দিন শিকদার বলেন, বর্তমানে এই খাতে তিনটি কোম্পানি তালিকাভুক্ত রয়েছে। তালিকাভুক্ত হলে অন্য কোম্পানিগুলোর মতোই ফরচুন সু বেশ ভালো করবে।

বর্তমানে শেয়ারবাজারে পাদুকাশিল্প খাতের তিনটি কোম্পানি তালিকাভুক্ত রয়েছে। এগুলো হলো অ্যাপেক্স ফুট, বাটা শু ও লিগেসি ফুট। ফরচুন শু তালিকাভুক্ত হলে সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে চারটিতে।

বিএসইসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে, ফরচুন শু কোম্পানিটি আইপিওতে ২ কোটি ২০ লাখ শেয়ার ছেড়ে বাজার থেকে ২২ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। নতুন বিধান অনুযায়ী, কোম্পানিটি স্থির মূল্য বা ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতিতে বাজারে আসবে। আইপিওতে ফরচুন শুর প্রতিটি শেয়ার বিক্রি হবে ১০ টাকা অভিহিত মূল্য বা ফেসভ্যালুতে।

বিএসইসি জানিয়েছে, ফরচুন শু কোম্পানিটি বাজার থেকে ২২ কোটি টাকা সংগ্রহ করে তা দিয়ে ভবন নির্মাণ, মেশিন ও সরঞ্জাম কেনায় ব্যয় করবে। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাস শেষে নয় মাসে এটির শেয়ার প্রতি আয় বা ইপিএস দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ২২ পয়সা। কোম্পানিটির শেয়ারের ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে ইম্পিরিয়াল ক্যাপিটাল ও প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট।