bsec lagoশেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে সদ্য তালিকাভুক্ত কোম্পানি একমি ল্যাবরেটরিজের শেয়ার কিনতে বিনিয়োগকারীদের ঋণ সুবিধা দিতে নিষেধাজ্ঞা জানিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, একমির শেয়ার কিনতে ঋণ সুবিধা না দেওয়ার জন্য স্টক ব্রোকার্স, মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এবং পোর্ট ফোলিও ম্যানেজারদের অনুরোধ জানানো হয়েছে। কোম্পানির লেনদেনের প্রথম ৩০ দিনে এই ঋণ সুবিধা দেওয়া যাবে না।

প্রসঙ্গত, ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড মঙ্গলবার থেকে পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু করবে।  ডিএসইতে কোম্পানিটির ট্রেডিং কোড হবে ” একমিল্যাব”। আর কোম্পানি কোড হবে ১৮৪৯১। অন্যদিকে সিএসইতে কোম্পানিটির স্ক্রীপ কোড হবে ” একমিল্যাব”। আর কোম্পানিটির স্ক্রীপ আইডি হবে ১৩০৩০।

এর আগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৫৬৭তম সভায় কোম্পানিটিকে ৫ কোটি সাধারণ শেয়ার বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে আইপিওতে ছাড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়।

এর মধ্যে ৫০ শতাংশ বা আড়াই কোটি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য; ১০ শতাংশ বা ৫০ লাখ শেয়ার মিউচ্যুয়াল ফান্ডের জন্য। যার প্রতিটি শেয়ারের কাট-অফ মূল্য ৮৫ টাকা ২০ পয়সা, বাকি ৪০ শতাংশ বা ২ কোটি শেয়ার সাধারণ বিনিযোগকারী, ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারী ও এনআরবিদের জন্য।

এই শেয়ারের কাট-অফ মূল্য ১০ শতাংশ কমে বা ৭৭ টাকায় সাধারণ বিনিয়োগকারী, ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারী ও এনআরবিদের জন্য প্রস্তাব করা হয়। আইপিও আবেদনের মাধ্যমে কোম্পানিটি ৪০৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা উত্তোলন করে। এই টাকা দিয়ে কোম্পানিটি ৩টি নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে খরচ করবে।

কোম্পানিটির বিগত ৫ বছরের নিরীক্ষিত বিবরণী অনুযায়ী, শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ০৭ পয়সা। আর ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছর অনুযায়ী ইপিএস হয়েছে ৫ টাকা ৭০ পয়সা। কোম্পানির শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য বা এনএভি ৭০ টাকা ৩৭ পয়সা। ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। আর রেজিষ্টার টু দি ইস্যুর দায়িত্বে রয়েছে প্রাইম ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।