sharebarta lagoশেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয়, এমন কোম্পানির ক্ষেত্রে ব্যবসায় ও উৎপাদক এ দুটি ক্যাটাগরি করা হবে। উৎপাদক কোম্পানিকে কিছুটা ছাড় দিয়ে ব্যবসায় কোম্পানির চেয়ে আড়াই শতাংশ কম কর্পোরেট করারোপ হতে পারে।

এছাড়া শেয়ারবাজারে ছোট বিনিয়োগকারীদের কিছুটা ছাড় দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত মুনাফায় কর নেই, এ সীমা কিছুটা বাড়ানো হতে পারে। তবে পুঁজিবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ গত অর্থবছরের মতো থাকছে না।

মূলত কালো টাকা বাজারে বিনিয়োগের সুযোগ থাকলেও এর আগে খুব কম সংখ্যক বিনিয়োগকারীই এই সুবিধা নিয়েছে, যার কারণে সরকার এই বাজেটে কালো টাকা বাজারে বিনিয়োগের সুযোগ দিচ্ছে না।

অন্যদিকে ঢাকা স্টক একচেঞ্জের পক্ষ থেকেও কালো টাকা বিনিয়োগের দাবি এই বছরে জানানো হয়নি। কারণ আগ্রহ কম থাকার কারণেই ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদই এবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে এই প্রস্তাব রাখেনি।

এছাড়া আজ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের প্রস্তাবিত বাজেটে বাংলাদেশে ব্যবসারত বিদেশী বাণিজ্যিক কর হার বাড়ানোর প্রস্তাবও থাকছে। এর আগে আইসিএমবির পক্ষ থেকে বাজারে বিদেশী ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বীমাকে বাজারে তালিকাভুক্তিকে বাধ্য করার জন্য কোম্পানিগুলোর ওপর আরোপিত কর বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল।

সরকার পুঁজিবাজারে প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাধ্য করতেই কর হার বাড়াচ্ছে। এছাড়া দুই স্টক একচেঞ্জের ডিমিউচুয়ালাইজেশন পরবর্তী লাভজনক প্রতিষ্ঠানের কর অবকাশ অব্যাহত থাকছে। এর আগে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে জাতীয় বাজেটকে সামনে রেখে পুঁজিবাজারের জন্য ছয়টি প্রস্তাব দিয়েছিল ডিএসই।

প্রস্তাবগুলো হচ্ছে : ডিমিউচুয়ালাইজেশন পরবর্তী স্টক এক্সচেঞ্জকে ৫ বছরের জন্য সম্পূর্ণ কর অবকাশ সুবিধা প্রদান, সিকিউরিটিজ লেনদেনে উৎসে কর হ্রাস, করমুক্ত লভ্যাংশের পরিমাণ বাড়ানো এবং স্টক এক্সচেঞ্জের শেয়ার হস্তান্তর করার ক্ষেত্রে স্ট্যাম্প ডিউটি অব্যাহতিসহ আরও দুটি।

এইদিন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএসইর পক্ষ থেকে বলা হয়, নৈতিক কারণে পুঁজিবাজারে অপ্রদর্শিত অর্থ (কালো টাকা) বিনিয়োগের বিপক্ষে ডিএসই। তাই ডিএসইর প্রস্তাবনায় কালো টাকা বিনিয়োগের বিষয়ে কোন কিছু বলা হয়নি।

ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, অপ্রদর্শিত টাকা বিনিয়োগের সুযোগ থেকে থাকলে তা শেয়ারবাজারের জন্যও আছে। অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ দেয়া হলে বাধা নেই। তবে স্টক এক্সচেঞ্জে অফিসিয়ালি এর অনুমোদন নেই।

ডিএসইর চেয়ারম্যান বিচারপতি মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান মিয়া বলেন, ডিমিউচুয়ালাইজেশন পরবর্তী স্টক এক্সচেঞ্জকে ৫ বছর মেয়াদী ক্রম হ্রাসমান হারে যে কর অবকাশ সুবিধা দেয়া হয়েছে, তাতে দ্বিতীয় বৎসর ৮০ শতাংশ কর রেয়াত সুবিধা ছিল। তার সঙ্গে আরও ২০ শতাংশসহ শতভাগ কর রেয়াত সুবিধা দেয়া ইতিবাচক।