sharebarta lagoশেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: আগামী সপ্তাহে বাজার কেমন হতে পারে এ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের কৌতুহলের শেষ নেই। তবে সার্বিক বাজারের পরিস্থিতি ইতিবাচক থাকায় বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে বলে বাজার বিশ্লেষকরা মনে করছেন। এছাড়া সপ্তাহের শেষের দিন সুচকের ইতিবাচক প্রবনতা দেখা গেছে। বৃহস্পতিবার লেনদেনের শুরুতে সুচকের নিন্মমুখী প্রবনতা শুরু হলেও দিনশেষে সুচকের উর্ধ্বমুখী প্রবনতায় শেষ হয়।

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে লেনদেনের শেষের দিকে বাইয়ারদের আধিপত্য বেশী থাকায় দিন শেষে একটি বুলিশ ক্যান্ডেল তৈরি হয়। বৃহস্পতিবার লেনদেনের শুরুতে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ টেক্সটাইল সেক্টরের দিকে, ফলে টেক্সটাইল খাতের কোম্পানির অধিকাংশ শেয়ারের দর বাড়ছে। এ ধারা আরো কয়েক দিন থাকতে পারে বলে লেনদেনের গতিতে বুঝা যাচ্ছে।

grap 1মার্কেট ফ্রেম দেখলে দেখা যায় দিনের শুরুতে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ টেক্সটাইল সেক্টরের দিকে। ৩৮.২ % ফিবনাচ্চিতে এসে ইনডেস্ক বাউন্স করল। ফিবনাচ্চি রেশিও ৩৮.২ % একটি শক্তিশালী লেবেল হিসেবে বিবেচিত।

ডিএসইএক্স ইনডেক্স লেনদেনের শুরু থেকেই বৃদ্ধি পেতে থাকে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ডিএসই এক্স ইনডেক্স এবং লেনদেন উভয়ই বাড়তে থাকে এবং দিন শেষে ডিএসইএক্স ইনডেক্স বুলিশ ক্যান্ডেলস্টিক তৈরি করে। ডিএসই এক্স ইনডেক্স ২১.৯৭ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে ৪৩৮৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে, যা আগের দিনের তুলনায় ০.৫০% বৃদ্ধি পেয়েছে।

বর্তমানে ডিএসই এক্স ইনডেক্স এর পরবর্তী সাপোর্ট ৪৩৫০ পয়েন্টে এবং রেজিটেন্স ৪৪৬৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আজ বাজারে এম.এফ.আই এর মান ছিল ৬৮.৯৮ এবং আল্টিমেট অক্সিলেটরের মান ছিল ৬১.৯৭। ডিএসই এক্স ইনডেক্স এর জঝও এর মান হচ্ছে ৫৭.২০।

indexপরিশোধিত মূলধনের দিক থেকে দেখা যায়, বাজারে চাহিদা বেশী ছিল ১০০-৩০০ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধনী প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের যা আগেরদিনের তুলনায় ১৯.৬৬% বেড়েছে।

অন্যদিকে বেড়েছে ৩০০ কোটি টাকার উপরে পরিশোধিত মূলধনী প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের যা আগেরদিনের তুলনায় ১৯.০১% বেশী। অন্যদিকে ০-২০ এবং ২০-৫০ কোটি টাকার পরিশোধিত মুলধনী প্রতিষ্ঠানের লেনদেনের পরিমান গতকালের তুলনায় ১৮.০২% এবং ৯.৮৫% কমেছে।

পিই রেশিও ৪০ এর উপরে থাকা শেয়ারের লেনদেন আগের দিনের তুলনায় ৫.২২% কমেছে। অন্যদিকে পিই রেশিও ২০-৪০ এর মধ্যে থাকা শেয়ারের লেনদেন আগের দিনের তুলনায় ২৭.৮২% বেড়েছে।

ক্যাটাগরির দিক থেকে এগিয়ে ছিল ‘এন’ ক্যাটাগরির শেয়ারের লেনদেন যা আগেরদিনের তুলনায় ৪৭.৬২% বেশী ছিল। বেড়েছে ‘জেড’ ক্যাটাগরির শেয়ারের লেনদেন যা আগেরদিনের তুলনায় ৩৫.৭২% বেশী ছিল।

এদিকে বাজার ঊর্ধমুখী ধারায় থাকলে একসময় বস্ত্র খাতের তলানীতে পড়ে থাকা শেয়ার গুলোতে জোয়ারের সম্ভাবনা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত বস্ত্র খাত ও বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতও সিমেন্ট খাতের লেনদেনে সেই আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

বস্ত্র খাত, বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাত, সিমেন্ট খাত, ভাল হলে বাজার স্বয়ংক্রিয় ভাবে চাঙ্গা হবে। এদিকে চলতি সপ্তাহে লেনদেনে কিছুটা ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে পারে বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

share 1এদিকে ‘কেমন যেতে পারে আগামী সপ্তাহে বাজার’ এ নিয়ে শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকমে বিনিয়োগকারীদের ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে। অধিকাংশ বিনিয়োগকারীরা বাজার ভাল হবে বলে মন্তব্য করেছেন।

রুবেল হোসেন নামে এক বিনিয়োগকারী লিখেছেন, বর্তমান বাজারের সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক। বাজারের এ পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীরা জ্বালানী খাতের শেয়ারে বিনিয়োগের উপযোগী।

বরকত উল্লাহ নামে আরেক বিনিয়োগকারী লিখেছেন, বাজারের অবস্থান অব্যশই ভাল হবে। সরকারের নীতি নির্ধারকরা বাজারকে ভাল করতে আন্তরিক ভাবে চেষ্ঠা করছে।এর সুফল বিনিয়োগকারীরা খুব শিগরিই পাবে।

মনিরুল ইসলাম নামে আরেক বিনিয়োগকারী লিখেছেন, আগামী সপ্তাহে সুচক ও লেনদেন বাড়বে। বাজার স্বাভাবিক গতিতে চলতে শুরু করছে।এ ধারা অব্যাহত থাকলে সামনে বাজার আরো ভাল হবে।

আবদুল মালেক নামে আরেক বিনিয়োগকারী লিখেছেন, বাজার আগামী সপ্তাহে ভাল হতে পারে। আগামী সপ্তাহে বাজার ভাল থাকলে পরের সপ্তাহে সুচক নিন্মমুখী হবে।

share 2জাহিদ হাসান নামে আরেক বিনিয়োগকারী লিখেছেন, আগামী সপ্তাহে তিনদিন বাজার পজেটিভ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বুধ, বৃহস্পতিবার বাজারে প্রেফিট টেকিং চলবে।

তামজিদ আহম্মেদ মুকিত নামে আরেক বিনিয়োগকারী লিখেছেন, বাজার খুব একটা ভাল হবে না। কারন সামনে রমজান। প্রতি বছরই রমজানে বাজার খারাপ খাকে।

নরুল ইসলাম ডাবলু নামে আরেক বিনিয়োগকারী লিখেছেন, পুঁজিবাজারকে উন্নতি করার জন্য সবমহলে আন্তরিক ভাবে কাজ করছে। সরকার পুঁজিবাজার উন্নয়নে আন্তরিক। এখন দরকার বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরানো। বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে পারলে বাজার দ্রুত ঘুরে দাঁড়াবো।

textileআলী আশরাফ নামে আরেক বিনিয়োগকারী লিখেছেন, পুঁজিবাজার অব্যশই ভাল হতে হবে। বিনিয়োগকারীরা আর কত কাল ধৈর্য্য ধারন করবে। এবার রমজান মাসে বাজার ভাল থাকবে। এখান থেকে সুচকের ২০০ প্লাস হবে।

ফারুক চৌধুরী নামে আরেক বিনিয়োগকারী লিখেছেন, বাজার তিন চার ভাল থাকবে। তারপর আবার বাজার কারেকশন হবে।

ইসমাইল হোসেন জনি নামে আরেক বিনিয়োগকারী লিখেছেন,পুঁজিবাজারের সার্বিক পরিস্থিতি ভাল থাকলে টেক্সটাইল খাতের শেয়ারে ভাল হবে।

কিং তুহিন নামে আরেক বিনিয়োগকারী লিখেছেন, অনেকে বলছে রোজার কারনে বাজার নেগেটিভ হবে। আমার প্রশ্ন বাজার কি রোজা রাখে যে দূর্বল হয়ে যাবে। নতুন সাপ্তাহে বাজার ভাল যাবে । যদি সকল সাধারন বিনিয়োগকারী একটু কঠোর মনোভাব নিয়ে গেমলারদের ফাঁদে পা না দিয়ে কোন শেয়ার লসে বিক্রয় না করেন অথবা উচ্চ দামে শেয়ার না কেনে।

শাহিন নামে আরেক বিনিয়োগকারী লিখেছেন,এর চেয়ে আর কি খারাপ হবে? এখন ভাল হতে হবে, সময়ের দাবি।

তানসিব তাকিব নামে আরেক বিনিয়োগকারী লিখেছেন, বাজেট এর কারনে বাজার উঠানামার মধ্যে থাকতে পারে।