dse lago curentশেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে সপ্তাহজুড়ে উত্তাল পাতাল পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সুচকের কিছুটা উর্ধ্বমুখীতে আশার আলো দেখতে শুরু করছেন বিনিয়োগকারীরা।

তারা আগামী সপ্তাহে বাজার স্থিতিশীল দেখতে চায়। তাই বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রক আরো কঠোর হতে হবে। তেমনি দ্রুত লেনদেন বাড়াতো হবে। লেনদেন বাড়লে বাজার দ্রুত স্থিতিশীল হবে।

এদিকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের সঙ্গে কমেছে সব ধরনের মূল্য সূচক। আলোচিত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ। ঢাকা স্টক একচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, আগের সপ্তাহের চেয়ে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ১৪৬ কোটি টাকার। আলোচিত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪৮৮ কোটি ৪৯ লাখ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৬৩৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকার।

প্রসঙ্গত, গত ২৩ মে পবিত্র শবেবরাতের ছুটি থাকায় আলোচিত সপ্তাহে এক কার্যদিবস কম লেনদেন হয়েছে। সমাপ্ত সপ্তাহে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯১ দশমিক ৫২ শতাংশ।

‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানির লেনদেন হয়েছে ১ দশমিক ৫৮ শতাংশ। ‘এন’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৬ দশমিক ০৭ শতাংশ। ‘জেড’ ক্যাটাগরির লেনদেন হয়েছে দশমিক ৮৩ শতাংশ।

এদিকে, ডিএসই ব্রড ইনডেক্স বা ডিএসইএক্স সূচক কমেছে দশমিক ১১ শতাংশ বা ৪ দশমিক ৮৭ পয়েন্ট। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসই৩০ সূচক কমেছে দশমিক ৬৫ শতাংশ বা ১১ দশমিক ২৫ পয়েন্ট। অপরদিকে, শরীয়াহ বা ডিএসইএস সূচক কমেছে দশমিক ০৮ শতাংশ বা দশমিক ৮৮ পয়েন্টে।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩২৯টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৪১টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ১৫১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৪টির। আর লেনদেন হয়নি ৩টি কোম্পানির শেয়ার। এদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৯৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার। প্রধান সূচক কমেছে দশমিক ১৯ শতাংশ।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ২৭৩টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১২৮টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ১১০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৫টির।