artohattaশেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে লোকসানের কারণে মহিউদ্দিন শাহারিয়ার (৩৫) নামে এক বিনিয়োগকারীর আত্মহত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (২৪ মে) রাতে রাজধানীর সবুজবাগের মাদারটেক এলাকার শান্তিপাড়ায় নিজ বাসায় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। বুধবার (২৫ মে) সকালে সবুজবাগ থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

মহিউদ্দিন শাহারিয়ারের দুলাভাই আরিফুল ইসলাম বলেন, মহিউদ্দিন ২ বোন ও ১ ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট। সে উচ্চমাধ্যমিক পাস করার পরে বেকার সময় কাটায়। পরে বাবার জমি বেচে শেয়ার ব্যবসা শুরু করে। ২০১০ সালের শেয়ারবাজার ধসে মহিউদ্দিন ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা লোকসানে পড়ে। এতে সে মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। ২০১০ সালের ধস থেকে শেয়ারবাজার ঘুরে না দাঁড়ানোয় লোকসান আরও বেড়ে যায়। এতে সে মানসিকভাবে আরও বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। আর এ কারণে মহিউদ্দিন আত্মহত্যা করেছে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, বুধবার (২৫ মে) সকাল ৮টার দিকে মহিউদ্দিনকে ঘুম থেকে ওঠার জন্য ডাকাডাকি ও দরজায় ধাক্কাধাক্কি করা হলেও তার কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। পরে পুলিশে খবর দিলে সকাল ১০টার দিকে তারা এসে দরজা ভেঙে লাশ উদ্ধার করে।

সবুজবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোলাইমান গাজী বলেন, শেয়ার ব্যবসায় ১০-১২ লাখ টাকা লোকসানের ফলে মহিউদ্দিন শাহারিয়ার মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন। এতে তার মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। গত ১৪ মে তাকে মানসিক ডাক্তারের মাধ্যমে চিকিৎসাও দেওয়া হয়। ধারণা করা হচ্ছে মহিউদ্দিন এ অবস্থা থেকে আত্মহত্যা করেছেন। মরদেহ উদ্ধারের পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালে শেয়ারবাজারে ধসের ফলে লোকসানের কবলে পড়ে ৬ বিনিয়োগকারী আত্মহত্যা ও ৩ জন হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন। এদের মধ্যে ২০১২ সালের ৩০ জানুয়ারি লিয়াকত আলী (যুবরাজ) নামের এক বিনিয়োগকারী ঢাকায় আত্মহত্যা করেন।

এ ছাড়া ২ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামে দিলদার হোসেন, ২৯ মার্চ সিলেটে সামসুল হক সরদার শাহিন, ২২ ডিসেম্বরে ভৈরব পৌর এলাকায় রানী বাজারে মাজহারুল হক নামে বিনিয়োগকারীরা আত্মহত্যা করেন। হার্ট অ্যাটাকে একই বছরের ৩১ জানুয়ারি ঢাকার শান্তিনগরে শাহাদাৎ, ২৮ জুন বরিশালে মাসুক উর রহমান সুমন ও ২৫ নভেম্বর ঢাকায় মফিজুল ইসলাম মারা যান।