bank asiaশেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড বিধিবহির্ভূতভাবে দুই কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়ায় পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালককে সতর্ক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সম্প্রতি পরিচালনা পর্ষদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আইনের ব্যত্যয় ঘটেছে বলে মনে করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ কারণে গত ২৭ এপ্রিল ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মেহমুদ হোসেনকে সতর্ক করে পৃথক পৃথক চিঠি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

জানা যায়, সম্প্রতি ব্যাংকের এশিয়ার পরিচালনা পর্ষদ ইস্টার্ন ব্যাংকের ইভিপি (এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট) জুনায়েদ মাসরুর এবং ব্র্যাক ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) শেখ মো. আনিসুজ্জামানকে পদোন্নতি দিয়ে যথাক্রমে এসইভিপি (সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট) ও এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট (ইভিপি) পদে নিয়োগ দেয়।

ব্যাংকের চিঠিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি আপনাদের ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় দুই শীর্ষ কর্মকর্তার পদোন্নতি দেওয়া হয়। যা ২৭ অক্টোবর ২০১৩ সালে ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতিবিভাগের জারীকৃত সার্কুলার নং ১১-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। যার দায় পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এড়াতে পারেন না। তাই আগামীতে এই ধরনের কর্মকাণ্ড পরিহার করার ক্ষেত্রে আরও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এ বিষয়ে ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মেহমুদ হোসেনের বক্তব্য চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা বলেন, ‘ব্যাংক এশিয়ায় নিয়োগে বিআরপিডি সার্কুলারের ব্যত্যয় ঘটায় বাংলাদেশ ব্যাংক পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালককে সতর্ক করে চিঠি দিয়েছে।’ ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পদোন্নতি, বদলির বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের (বিআরপিডি) ২৭ অক্টোবর ২০১৩ একটি সার্কুলার জারি করে।

১১ নম্বর সার্কুলারের (আ)(চ)-এ বলা হয়েছে, প্রধান নির্বাহীর দুই ধাপ অধস্তন ব্যতীত অন্য সব স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বদলি ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ-সংক্রান্ত ক্ষমতা প্রধান নির্বাহীর ওপর ন্যস্ত থাকবে, যা তিনি ব্যাংকের অনুমোদিত চাকরিবিধি অনুযায়ী প্রয়োগ করবেন।

ব্যাংক এশিয়ার প্রধান নির্বাহীর পরের দুই ধাপে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এএমডি) ও উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) পদ রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী এ দুই পদের নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতির দেবে পর্ষদ। আর বাকি পদগুলোর সিদ্ধান্ত নেবেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।