powerশেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: রাষ্টায়ত্ত ২৬ কোম্পানির শেয়ার অফলোড প্রক্রিয়ায় রয়েছে। বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে এসব কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হবে। ইতোমধ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতের কোম্পানি আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেড ((এপিএসসিএল) অফলোড প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। অফলোড করতে ইতোমধ্যে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশকে (আইসিবি) ১ মাসের মধ্যে প্রতিবদন তৈরি করতে নির্দেশ দিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।

আগামী জুন মাসের মধ্যে আশুগঞ্জ পাওয়ার কোম্পানির অফলোড সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম শেষ হবে। আইসিবির বিশেষ একটি সূত্র সোমবার এমন তথ্য নিশ্চিত করে। সূত্র জানায়, আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেড প্রাথমিকভাবে ১ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। মন্ত্রণালয় এক মাসের সময় দিয়েছে সব প্রক্রিয়া সম্পাদন করতে। একইভাবে আরো ২৬ টি কোম্পানি অফলোড প্রক্রিয়ার আনবে সরকার।

জানা গেছে, চলতি মে মাসের প্রথম সপ্তাহে আন্ত:মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে রাষ্ট্রায়ত্ত ২৬ টি কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করতে তাগিদ দেয়া হয়। আগামী জুন এবং সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেয়ার ছাড়ার আবেদন জমা দিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

অর্থমন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব কামরুন নাহারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সদস্য মো. আরিফ খান, নির্বাহী পরিচালক মাহবুব আলম, আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফায়েকুজ্জামান এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও কোম্পানির প্রতিনিধিরা।

২০১০ সালের ১৩ জানুয়ারি থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত ২৬ প্রতিষ্ঠানকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির বৈঠক হয়। এরপরে ২০১২ সালে শুধুমাত্র বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল তালিকাভুক্ত হয়। আরপিও পদ্ধতিতে শেয়ার ছাড়ে ছাড়ে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন। মেঘনা পেট্রোলিয়াম এবং যমুনা অয়েল বাজারে বাড়তি শেয়ার বিক্রি করে।

তালিকাভুক্তির প্রথম সারিতে থাকা কোম্পানিগুলো হল –  রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কম্পানি, জালালাবাদ গ্যাস কম্পানি, বিটিসিএল, টেলিফোন শিল্প সংস্থা, টেলিটক, চিটাগাং ড্রাইডক, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস, বাংলাদেশ ক্যাবল শিল্প লিমিটেড, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কম্পানি লিমিটেড।

রাষ্ট্রায়ত্ত অন্য কোম্পানিগুলো হল- এসেনশিয়াল ড্রাগস লিমিটেড, বাখরাবাদ গ্যাস, পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস, রুরাল পাওয়ার, হোয়েকস্ট বাংলাদেশ লিমিটেড, প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রমোশন ডেভেলপমেন্ট, মিরপুর সিরামিকস, হোটেল ইন্টারন্যাশনালের (সোনারগাঁও হোটেল), ছাতক সিমেন্ট, কর্ণফুলী পেপার মিলস, জিএম কোম্পানি এবং বাংলাদেশ ব্লেড ফ্যাক্টরি লিমিটেড।

ইতোমধ্যেই বাজারে আসা তিতাস গ্যাস, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, যমুনা অয়েল ও পাওয়ারগ্রিড কোম্পানিকে আরও কিছু শেয়ার ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেড প্রাথমিকভাবে ১ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেড (এপিএসসিএল) দেশের বৃহত্তম বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানি। এ কোম্পানি বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের অন্তর্ভুক্ত পিডিবি-এর অধীনে পরিচালিত। এপিএসসিএল ২৮ জুন ২০০০ সালে কোম্পানি আইন ১৯৯৪ এ নিবন্ধিত হয়।

বর্তমানে কোম্পানিটি দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ১৬ শতাংশ বিদ্যুৎতের জোগান দেয়। কোম্পানিটির ৯টি ইউনিটের মাধ্যমে মোট ১ হাজার ১২৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা আছে। বর্তমানে ৯৮২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে।