ইসলামী ব্যাংকের হঠাৎ দর বাড়ার কারন
শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই)গেইনারের শীর্ষে অবস্থান করছেন। তবে হঠাৎ ইসলামী ব্যাংকের গেইনার ও লেনদেন বাড়া নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মাঝে চলছে নানা আলোচনা।
কোম্পানির ডিভিডেন্ড ঘোষনার পর রেকর্ড ডেটের কারণে কি লেনদেন ও দর বাড়ছে এ প্রশ্ন বিনিয়োগকারীদের। বৃহস্পতিবারের লেনদেনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারের। এদিন কোম্পানিটির শেয়ারের দর বেড়েছে ১০ শতাংশ।
বুধবার ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারের সমাপনী মূল্য ছিল ২৩ টাকা। বৃহস্পতিবার দিনশেষে কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী মূল্য গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২৫.৩ টাকায়। দিনের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারের দরসীমা ছিল ২৩ টাকা থেকে ২৫.৩ টাকা। আজ লেনদেনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারের। এদিন কোম্পানিটির শেয়ারের দর বেড়েছে ৯.৪৯ শতাংশ। দিনশেষে ২৭.৭০ টাকায় লেনদেন শেষ হয়।
এদিকে আজও সবচেয়ে বেশি তারল্য যোগ হয়েছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের শেয়ারধারী পোর্টফোলিওগুলোতে। কারণ লেনদেনের শুরু থেকেই এই শেয়ারটি ছিল হল্টট্রেড।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক প্রফেসর আবু আহমেদ ইসলামী ব্যাংকের হঠাৎ শেয়ার দর বাড়া প্রসঙ্গে বলেন, অনেক কোম্পানিই এবছর ২০% ডিভিডেন্ড দিয়েছে। এমনকি এসআইবিএলওতো ২০% ডিভিডেন্ড দিয়েছে সেটির দামতো একদিনের জন্য ১৫ টাকাও হয়নি? কাজেই ডিভিডেন্ড কিংবা রেকর্ড ডেট কোনো বিষয়ই নয়। এই ব্যাংকটি বাড়ার পেছনে মুল কারণ হলো আবার নতুন করে কোনো গ্রুপ এটি কেনা শুরু করেছে।
তিনি আরও বলেন, গত বছরের শেষ দিকে কয়েকটি গ্রুপ এই ব্যাংকের শেয়ার কেনা শুরু করলে ১৬ টাকা থেকে ৩১ টাকা পর্যন্ত হয়েছিল। তারপর মাঝখানে কমে ২২ টাকায় নেমে আসে। এখন আবার কারা যেনো এটি কেনা শুরু করেছে। তাদের কেনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এটির দর কোথায় গিয়ে দাড়ায় বলা যাচ্ছেনা।
একাধিক বিনিয়োগকারী জানিয়েছেন, সরকারের পক্ষ থেকে যাদেরকে পরিচালনা পরিষদে নেয়া হয়েছে তাদের কারণেই মুলত ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার হল্টট্রেড হয়েছে। দু’একজন বলেছেন, এই নতুন পরিচালকদের পদে থাকার জন্য নুন্যতম যে পরিমাণ শেয়ার থাকতে হবে তা ধারন করার জন্য প্রচুর শেয়ার কিনতে হচ্ছে যার ফলে শেয়ারটি হল্টট্রেড হয়েছে।
অন্য দু’একজন বলেছেন, ইতিপূর্বে সরকার সমর্থক যারা পরিচালক হওয়ার জন্য শেয়ার কিনেছিলেন তারা এখন নতুন করে আবার শেয়ার সংখ্যা বাড়িয়ে স্বতন্ত্র পরিচালক হওয়ার জন্য আসন্ন এজিএমএ দাড়াবেন। নবনির্বাচিত পরিচালকদের এবং শেয়ার হোল্ডারদের সমর্থন নিয়ে তারা ২ জুন অনুষ্ঠিতব্য এজিএম এ পরিচালনক মনোনিত হবেন। ইসলামী ব্যাংক হল্টট্রেড হওয়ার এটিই মূল রহস্য।
কিন্তু ইসলামী ব্যাংকের একটি শীর্ষ বলেছেন, ইসলামী ব্যাংকের গ্রোথ এবং প্রোফিট এবং বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে শীর্ষস্থানটি ধরে রাখার ফলে এর দাম ৫০ টাকার ওপরে থাকা উচিত। সে দৃষ্টিভঙ্গির কারণেই দর বাড়ছে। কিন্তু কোনো গ্রুপের কেনা বা পরিচালকদের কেনার কোনো খবর আমাদের কাছে নেই।